শায়েস্তাগঞ্জে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন আজ
Published: 17th, January 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন আজ শুক্রবার। উদ্বোধনের পর বিভিন্ন কলেজের কার্যক্রম এই অস্থায়ী কার্যালয় থেকে শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে এ উপলক্ষে শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক ও সুধীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড.
এ সময় তিনি বলেন, “শিগগিরই স্থায়ীভাবে আঞ্চলিক কার্যালয় করতে যাচ্ছি আমরা। এজন্য সাংবাদিক ও সুধীজনের সহযোগীতা প্রয়োজন।”
ভিসি বলেন, “বসে থাকলে চলবে না। উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে উন্নত যোগাযোগের মাধ্যম শায়েস্তাগঞ্জে টেকনিক্যাল ও বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। আমি সব ধরনের সহযোগিতা করব। এখান থেকে দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠবে। তাহলে চাকরির পেছনে দৌড়াতে হবে না। চাকরি তাদের পেছনে ঘুরবে। সহজে কর্মসংস্থান তৈরি হবে।”
তিনি বলেন, “দেশের নানা স্থানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য অনার্স-মাস্টার্স কলেজ করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে এইসব কলেজগুলোতে পড়ালেখা হয় না। শিক্ষকদের ঠিক মতো বেতন দেওয়া হয় না। এইসব কলেজের কার্যক্রম বন্ধ করা হবে।”
শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মঈনুল হাসান রতনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব হোম দাস, থানার ওসি দিলীপ কান্ত নাথ, শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গাজী গোলাম মোস্তুফা, পঞ্চাশ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নাছির উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক মো. মানিক মিয়া, বাহুবল অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রব শাহিন, সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ আশরাফ উদ্দিন মামুন, মো. শাহ হুমায়ূন কবীর, শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আ স ম আফজল আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন সাঁই, সহ-সভাপতি সৈয়দ আজিজুর রহমান ছয়ফুর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুমন, শাহ মোস্তুফা কামাল, মো. মহিবুর রহমান, মোহাম্মদ শফিক মিয়া, তোফায়েল আহমেদ মনির, শামীম আহমেদ, মো. শামীম চৌধুরী, উপজেলা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল মুহিন শিপন, সাংবাদিক অপু দাস, আব্দুস শহিদ, জনি আহমেদ, আজমান আলী, ইনজামামুল হক নাঈম, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শামছুল আলম রিপন, সাংস্কৃতিক কর্মী জিতু আহমেদ মাখন, অ্যাডভোকেট অলিউর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষকমণ্ডলী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকবৃন্দ ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে প্রধান অতিথি ভিসি অধ্যাপক ড. এএসএম আমানুল্লাহকে ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মাননা জানানো হয়।
ঢাকা/মামুন/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন কল জ র আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।