সফলতার শীর্ষে পৌঁছাতে যা যা করতে পারেন
Published: 17th, January 2025 GMT
জীবনে সফল হওয়ার জন্যে পরিকল্পনা মাফিক ‘ডেইলি রুটিন’ অনুসরণ করার বিকল্প নেই। সঠিক পরিশ্রম ও পরিকল্পনা থাকলে একজন মানুষ পৌঁছাতে পারে সফলতার শীর্ষে। বিশ্বের সকল সফল ব্যক্তিরাই নিজেদের কাজের জন্যে একটি রুটিন মেনে চলেছেন। আসুন, জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে কাজের জন্যে একটি ভালো রুটিন তৈরি করা যায়।
সকালের জন্যে কার্যকর একটি রুটিন তৈরি করুন: সকলেই জানেন যে সকালের জন্যে একটি ভালো রুটিন জীবনের জন্যে কতটা কার্যকর। সকালে যে কাজ আপনার মন করতে চায় এবং সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেই কাজ করা প্রয়োজন। চাইলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটিও সকালে করতে পারেন। এতে করে নিজে যেমন কনফিডেন্স পাবেন, তেমনি সকালটিও ভালো যাবে।
কাজের জন্যে একটি নির্দিষ্ট সময় ও স্থান রাখুন: যেকোন কাজের জন্যে সময় ঠিক করে নেওয়া জরুরি। সময়মত কাজ করলে কাজ বেশি আগানো যায়। সপ্তাহ পর হিসাব মিলিয়ে দেখা যায় কতটা কাজ বাকি আছে। রুটিন অনুযায়ী কাজ না রাখলে দেখা যাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা হয়নি, বা কম হয়েছে। কাজের জন্যে আলাদা একটি ঘর রাখাও জরুরি বা ডেস্ক। যেখানে শুধুই কাজ করা হবে। কাজ ছাড়া সেখানে না থাকাই ভালো। অনেকেই পরিবারের সাথে থেকে কাজ করতে পারেন না ঠিকঠাক, হয়তো পরিবারের কেউ তাকে কাজে ডাকে বা কোন ঝামেলায় জড়িয়ে যায়। তাই কাজের জন্যে নির্দিষ্ট সময় ও স্থান রাখা প্রয়োজন এতে কাজ ভালো হয়।
লক্ষ নির্ধারণ করুন: যেকোন কাজ ভালো করার জন্যে একটি লক্ষ থাকা প্রয়োজন। লক্ষ নির্ধারণ না করলে কাজ শেষ করা কঠিন হয়ে পড়বে। কাজের জন্যে একটি লিস্ট করা প্রয়োজন। কোন কাজটি আগে করা হবে, কতদিনের মধ্যে করা হবে সে বিষয়ে লক্ষ্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এসব লক্ষ্য পূরণ হলে নিজেকে নিজে উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন এতে কাজের প্রতি আরো অনুপ্রেরণা বাড়বে।
গভীরভাবে কাজে মনযোগ দিন: অনেকেই দেখা যায় কাজের সময় ফোন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহার করেন। এতে করে কাজ ঠিকঠাক হয়ে ওঠে না। তাই কাজের সময়টুকু শুধুমাত্র কাজের জন্যেই রাখা প্রয়োজন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে হাঁটাচলা করা যেতে পারে এতে একগুঁয়েমি কেটে আরো সতেজ অনুভব করা যাবে। কাজ শেষে পুরোপুরি সময় নিজেকে ও পরিবারকে দিন।
নিজের প্রতি যত্ন নিন: কাজের ফাঁকে ফাঁকেও নিজের জন্যে যত্ন নিতে হবে। নিজে সুস্থ না থাকলে লক্ষ্যে পৌঁছানো কষ্টকর হয়ে যাবে। কাজের ত্রিশ মিনিট পর পর পানি পান করুন এবং একটি হাঁটুন বা শরীরকে নাড়াচাড়া করুন। যদি সম্ভব হয়, অফিসের লাঞ্চের সময় সাস্থ্যকর খাবার খান এবং একটু বিশ্রাম নিন। এতে অফিসের কাজ থেকে মানসিকভাবে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন এবং নিজের কাজ ভালোভাবে করার জন্যে নিজেকে রিফ্রেশ করতে পারবেন।
সূত্র: দ্যা হেভেন, ওয়ান্ডারমাইন ও ফুল ফোকাস অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক জ র জন য ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
নিজেদের সফলতার গল্প শোনালেন তরুণ ফ্রিল্যান্সাররা
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা তরুণদের অনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শিখে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন। ফ্রিল্যান্স কাজের সঙ্গে যুক্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তরুণদের সাফল্যের গল্প তুলে ধরতে গতকাল রোববার ‘ফ্রিল্যান্সিং ফ্যাক্টরি’ নামের একটি বিশেষ সেশনের আয়োজন করেছিল গ্রামীণফোন একাডেমি। রাজধানীর বসুন্ধরায় গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় ‘জিপি হাউস’-এ অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বিভিন্ন জেলার শতাধিক তরুণ ফ্রিল্যান্সার নিজেদের অভিজ্ঞতা ও সাফল্যের গল্প তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, ‘তরুণেরা ফ্রিল্যান্স কাজের মাধ্যমে নিজেদের ক্যারিয়ার তৈরি করছেন। উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন ফ্রিল্যান্সাররা। গ্রামীণফোন একাডেমির মাধ্যমে আমরা এই তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছি এবং তাঁদের বৈশ্বিক সুযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।
আরও পড়ুনফ্রিল্যান্সারদের জন্য নতুন সুবিধা চালু করল ফাইভার২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫অনুষ্ঠানে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সফলভাবে যোগাযোগের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে তরুণ ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি নিজেদের দক্ষতা ও আয় বাড়ানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিলা আক্তার বলেন, ‘আমি পড়ালেখার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করেছি। এরপর ফ্রিল্যান্সিং করার অর্থ দিয়ে ল্যাপটপ কিনেছি।’
আরও পড়ুনশাশুড়ির কিনে দেওয়া ল্যাপটপে ফ্রিল্যান্সিং, পপির মাসিক আয় ৩ লাখ টাকা২৯ নভেম্বর ২০২৪গ্রামীণফোন একাডেমি জানিয়েছে, এ ধরনের অনুষ্ঠানের নিয়মিত আয়োজন করা হবে, যাতে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তের তরুণেরা অনলাইন কাজের মাধ্যমে নিজেদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারেন। গ্রামীণফোন একাডেমি থেকে ফ্রিল্যান্সিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে হাতে–কলমে প্রশিক্ষণের সুযোগও পাওয়া যাবে।