ম্যাচ প্রতি রেকর্ড ১৫০০ ডলারে বিপিএল আম্পায়ারিংয়ে সৈকত
Published: 17th, January 2025 GMT
আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্রথমবারের মতো দায়িত্ব পালন করছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত। চট্টগ্রামে চিটাগং কিংস-খুলনা টাইগার্স ম্যাচে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ১৬ জানুয়ারি অন্যরকম অভিষেক ঘটে তার।
মাত্র ১২ সদস্যের এলিট প্যানেলের একজন সৈকত। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত বছরের মার্চে এলিট প্যানেলে নাম লিখিয়ে রেকর্ড গড়েন সাবেক এই ক্রিকেটার। আইপিএলের মতো লিগে এলিট প্যানেলের আম্পায়ারদের দেখা গেলেও বিপিএলে এবারই প্রথম দেখা গেছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এলিট প্যানেলের সদস্য হিসেবে সৈকতকে সম্মানি দিতে কোনো কার্পণ্য করছে না। বিপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড অঙ্কের অর্থ দেওয়া হচ্ছে তাকে। ম্যাচ প্রতি সৈকত পাবেন ১৫০০ ডলার। টাকায় যা দাঁড়ায় ১ লাখ ৮১ হাজার টাকার মতো।
আরো পড়ুন:
টাকা পেয়েই ‘দুর্বার’ রাজশাহী
মা হারালেন খালেদ, চিটাগং কিংসের শোক
রাইজিংবিডিকে সৈকতের ম্যাচ প্রতি সম্মানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু। দেশি আম্পায়ারদের সঙ্গে বিবেচনা করলে প্রায় চারগুণ বেশি অর্থ পাচ্ছেন সৈকত। বিপিএলে মাসুদুর রহমান মুকুলরা তথা দেশি আম্পায়াররা পাচ্ছেন ম্যাচ প্রতি ৫০ হাজার টাকা করে। এই মৌসুমে ৩৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়। আর বিদেশি আম্পায়ারদের সঙ্গে মেলালে সৈকত পাচ্ছেন প্রায় তিনগুণ বেশি অর্থ। এবার বিদেশিরা ম্যাচ প্রতি পাচ্ছেন ৬০০ ডলার করে। এর আগের মৌসুমে বিদেশিরা পেয়েছেন ৫০০ ডলার করে। এবার ১০০ ডলার বাড়ানো হয়েছে।
রাইজিংবিডিকে মুঠোফোনে মিঠু বলেন, “এলিট প্যানেলের আম্পায়ারকে আমরা ১৫০০ ডলার করে দিচ্ছি। অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে এলিট প্যানেলের আম্পায়ারদের সম্মানি আরও বেশি। তার অন্তর্ভুক্তি বিপিএলের গুরুত্বও বাড়বে।”
আইপিএলে এলিট প্যানেলের একজন আম্পায়ার ম্যাচ প্রতি পেয়ে থাকেন ৪ হাজার ডলার করে। অবশ্য আইপিএলে যেরকম অর্থের ছড়াছড়ি সেই হিসেবে বিপিএলের সঙ্গে তুলোনা করা বেমানান বটে।
এলিট প্যানেলে নাম লেখানোর আগে বিপিএলে ৮৩ ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন সৈকত। ৪৮ ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন মাঠে, আর ৩৫ ম্যাচ ছিলেন টিভি আম্পায়ার হিসেবে।
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল প এল র ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।
সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’
সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’