ভারতজুড়ে অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরতে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতি-শুক্রবার ১২ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রায় ৩০দিনের বেশি সময় ধরে ভারতের দিল্লি, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ থেকে একাধিক বাংলাদেশিকে নাগরিক গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবার আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদেরকে দেশেও ফেরত পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গ থেকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ৭ জন বাংলাদেশিকে। এদিন পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হলদিবাড়ি এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশিকে আটক করে হলদিবাড়ি থানার পুলিশ।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক ইতিবাচক দিকে নিয়ে যেতে চায় ভারত
সীমান্তে এখন উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিদের নাম রিপন ইসলাম (২৮) ও তোফিরুল ইসলাম (৩২)। তারা দুজনই বাংলাদেশের নীলফামারীর কালীগঞ্জের বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার জানান, উদ্দেশ্যহীনভাবে সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখলে তাদের আটক করা হয়। গ্রেপ্তার দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিদেশি আইনের ১৪ ধারায় মামলা হয়েছে।
রাজ্যটির উত্তর-২৪ পরগনা জেলার বারাসাতের নবপল্লী থেকে শিখা দাস ও তার মেয়ে শর্মি দাসকে গ্রেপ্তার করেছে বারাসাত পুলিশ। ভুয়া নথি দিয়ে ভারতীয় আধার কার্ড, ভোটার কার্ড তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে নবপল্লী এলাকায় বসবাস করছিল বলে অভিযোগ।
এছাড়া রাজ্যটির নদীয়া জেলার হাঁসখালি থানা এলাকা থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে ৩ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন-অভি মিয়া, সুজন মিয়া ও তানিয়া আক্তার। শুক্রবার ৩ জনকে রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ওই তিন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী কিভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং তাদের সাথে আরো কোনো বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এদেশে আত্মগোপন করে আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
মহারাষ্ট্রের উল্লাসনগরে অভিযান চালিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তিন বাংলাদেশি নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত তিনজন উল্লাসনগর মানপাড়া পুলিশ থানার অন্তর্গত এলাকায় বসবাস করছিল। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে কোনো বৈধ নথি পাওয়া যায়নি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, দালালকে ৫ থেকে ১০ হাজার রুপি দিলেই খুব সহজেই সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে অনুপ্রবেশ করা যায়। শুধু তাই নয় দালালদের হাত ধরেই খুব সহজেই মিলে যায় ভারতীয় পাসপোর্ট, আধার কার্ড ভোটার কার্ড, প্যান কার্ডসহ সব ভারতীয় পরিচয়পত্র।
অন্যদিকে, গুজরাটে ভুয়া ভারতীয় পরিচয়পত্র জোগাড় করে নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাংলাদেশি নাগরিক ইউসুফ সরদারকে। বাংলাদেশি দালালকে মাত্র ১ হাজার টাকা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। বাংলাদেশের নড়াইলের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী ইউসুফ গত কয়েক বছর ধরে গুজরাটের সুরাটে বসবাস করছিল।
বৃহস্পতিবার বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে সুরাটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের সদস্যরা। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ভুয়া ভারতীয় আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার কার্ড এবং বাংলাদেশি পাসপোর্টের ফটোকপি।
এছাড়া কেরালার পেরামভাবুর এলাকা থেকে এক বাংলাদেশি নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তসলিমা নামে মধ্যে বয়সী ওই নারী বিহারের এক ব্যক্তির সাথে বসবাস করছিলেন। যদিও গ্রেপ্তারের সময় ভারতে বসবাসের কোনো বৈধ নথি বা পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি।
ঢাকা/সুচরিতা/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।