চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উচ্চহারে কর আরোপ করতে পারেন। সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী রাষ্ট্র মেক্সিকোতে কারখানা খুলছেন চীনা ব্যবসায়ীরা।

গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনী প্রচারণার সময় ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বাণিজ্য নীতির অংশ হিসেবে চীনা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। প্রথম দফা ক্ষমতায় আসার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর ৭ দশমিক ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছিল। এবার তিনি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শনিবার সিএনএন জানিয়েছে, টেক্সাস সীমান্ত থেকে প্রায় এক ঘণ্টা পথের দূরত্বে উত্তর মেক্সিকোতে বড় আকারে বিভিন্ন শিল্পের কারখানা স্থাপন করেছে চীনা ব্যবসায়ীরা। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো বাণিজ্য চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পেতে চীনা কোম্পানিগুলো এসব উৎপাদন স্থানান্তর করছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম প্রশাসনে মেক্সিকো এবং কানাডার সাথে এই চুক্তিটি করেছিলেন। কিন্তু এবার তিনি মেক্সিকো ও অন্যান্য দেশের উপর শুল্ক আরোপের এবং বকেয়া আদায়ের জন্য একটি ‘বহিরাগত রাজস্ব পরিষেবা’-এর হুমকি দিচ্ছেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় কার্যকাল শুরু হতে আর কয়েকদিন বাকি। এই কোম্পানিগুলো এবং তাদের মেক্সিকান আয়োজকরা এখন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা এলে কী করবেন তার বিকল্প পরিকল্পনা করছে।

মেক্সিকোর মন্টেরিতে আসবাবপত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কুকা হোম নর্থ আমেরিকার সভাপতি ম্যাট হ্যারিসন আশঙ্কা করছেন যে, ট্রাম্প অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করলে মেক্সিকোতে তাদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ অন্ধকার হতে পারে।

তিনি বলেন, “সহজভাবে বলতে গেলে, মেক্সিকোর উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ আমাকে ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেবে। আমরা অপেক্ষা করছি ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর কী হয় তা দেখার জন্য - আমরা উন্নতি অব্যাহত রাখতে পারি কিনা।”

কিন্তু সিজার সান্তোস, যিনি তার জমিতে প্রচুর চীনা বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছেন, তিনি এখনো ভালো ব্যবসার আশা করছেন।

তিনি সিএনএনকে বলেন, “এমনকি মেক্সিকান পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরেও, অনেক কোম্পানি বিশ্বাস করে যে এটি এখনো চীনে উৎপাদনের চেয়ে একটি ভাল বিকল্প।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ল ক আর প আর প ক ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।

এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ