সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙা শিল্পে একের পর এক মালিক ঋণখেলাপির তালিকায় নাম উঠাচ্ছেন । গত এক দশকে অর্ধশতাধিক মালিক ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করায় মামলার আসামি হয়েছেন। একাধিক মালিক অর্থঋণ আদালতে ব্যাংকের দায়ের হওয়া মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলহাজতে আছেন। অনেকে রয়েছেন আত্মগোপনে। আবার এ শিল্পে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরা ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে তাদের ইয়ার্ডকে গ্রিন শিপইয়ার্ডে রূপান্তর করেছেন। নিয়মিত স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করে কাটিং অব্যাহত রাখছেন। তবে ৫ আগস্টের পর ১০টির বেশি জাহাজভাঙা কারখানায় লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে ওই জাহাজভাঙা কারখানাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। লুটপাটের ঘটনার পর দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়ায় আক্রান্ত কারখানাগুলো সচল হচ্ছে না। এতে এসব কারখানার মালিকরাও ঋণখেলাপি হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে জাহাজভাঙা কারখানার মালিকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দাবি করেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার জাহাজভাঙা কারখানাকে শিল্পের মর্যাদা দিলেও পরিকল্পিত শিল্প গড়ে তুলতে সহযোগিতা করেনি। ফলে এই শিল্প থেকে প্রতি বছর দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা হলেও এই শিল্প ছিল অবহেলিত।
জাহাজভাঙা কারখানায় অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ইয়ার্ডে ৯ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬৯ মেট্রিক টন ওজনের ১৬৩টি স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করা হলেও চলতি বছরে নানা জটিলতায় অর্ধেকও আমদানি হয়নি।  
গত ১৩ জানুয়ারি আত্মগোপনে থাকা রুবাইয়া ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি ও শিপব্রেকার্স শিল্পপতি হারুন অর রশিদকে ঢাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গত সোমবার দুটি চেকের মামলায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 
এর আগে দুটি চেকের মামলার পরোয়ানামূলে পুলিশ হারুন অর রশিদকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। ওই মামলাগুলোয় আসামি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তার স্ত্রী আনজুমান আরা বেগম ও পরিচালক ছেলে হাসনাইন হারুন। তাদের বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক মামলা। 
একইভাবে অর্থঋণ আদালতে মামলা সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন তানিয়া শিপব্রেকার্সের মালিক আবুল কালাম হাবিবসহ একাধিক শিপব্রেকার্স। ঋণখেলাপি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে আত্মগোপনে রয়েছে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন কুসুম, দিদারুল আলম, সিরাজদ্দৌলাসহ একাধিক জাহাজভাঙা কারখানার মালিক। তবে গিয়াস উদ্দিনের ভাইয়ের দাবি, তাকে অপরহণ করা হয়েছে। তার সন্ধান এখনও মেলেনি। কুসুমের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান নিলামে বেচাবিক্রিও হয়েছে।
জানা গেছে, নব্বইয়ের দশকে দেড় শতাধিক শিপব্রেকিং কারখান ছিল চাঙ্গা। বিদেশ থেকে আনা স্ক্র্যাপ জাহাজগুলোয় লাখো শ্রমিক কাটিংয়ের কাজ করতেন। স্ক্র্যাপ জাহাজের আউটফিটিং মালামালগুলো ক্রয় করতে ভিড় করতেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ব্যবসায়ীরা। কিন্তু গত এক দশকে দেশে অর্থনীতির মন্দাভাবে এ ব্যবসায় নেমে আসে ধস। বর্তমানে ছোট-বড় ১৫ থেকে ২০টি শিপইয়ার্ডে কার্যক্রম চালু রয়েছে। জাহাজভাঙা কারখানা কমে আসায় বেকার হয়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। 
চট্টগ্রাম আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো.

হানিফ বলেন, ‘দুটি চেকের মামলায় হালিশহর থানা পুলিশ হারুন অর রশিদকে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার পক্ষে কোনো জামিন আবেদন ছিল না।’ 
বেঞ্চ সহকারী আরও বলেন, ‘হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি মামলায় তার সাজা হয়েছে। অনেক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আমাদের কোর্টে দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আমাদের কোর্টে থাকা চেকের মামলা দুটি গত মে মাসে নগরীর বাদামতলী এলাকার আলম স্টিল করপোরেশনের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়।’ 
আদালত সূত্র জানায়, হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে খেলাপিসহ নানা অভিযোগে ৪৫টির মতো মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩০টির মতো মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। ১৩টি ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতেও তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন। 
আদালত সূত্র জানায়, গত ১২ জানুয়ারি ঢাকার মতিঝিল থানা পুলিশ হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার করে। পরে নগরীর ডবলমুরিং ও হালিশহর থানা 


পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। মতিঝিলের দিলকুশা এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। এর আগেও ২০১৯ সালে হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জামিনে গিয়ে পলাতক হয়ে পড়ে। রুবাইয়া ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ছাড়ড়াও হারুন অর রশিদের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে–এইচ স্টিল রি–রোলিং মিলস লিমিটেড, ন্যাশনাল আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, রুবাইয়া প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, চিটাগাং ইস্পাত লিমিটেড ও আমানত স্টিল লিমিটেড। ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেন, মতিঝিল থানা পুলিশ হারুন অর রশিদকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
তবে এর আগে হারুন-উর রশিদ সমকালকে বলেছিলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, শিপইয়ার্ড ব্যবসায় মন্দা ও করোনার কারণে ব্যবসায় ব্যাপক লোকসান দিয়েছেন তিনি। কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর ভুলের কারণেও তাঁর ক্ষতি হয়েছে। রুবাইয়া ভেজিটেবলেই প্রায় ৪০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। তবে করোনার আগে সাউথইস্ট ব্যাংকের ৭০ কোটি টাকা ও জনতা ব্যাংকের ৭৩ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতপশিল করেছেন। কিন্তু করোনার কারণে আবারও খেলাপি হয়ে গেছেন তিনি।
সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় রুবাইয়া ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ তালাবদ্ধ প্রায় দশ বছর ধরে। মাঝে কিছুদিন খুললেও দারোয়ান ছাড়া কারখানায় কেউ নেই। এটিই ব্যবসায়ী হারুনের ঋণ নেওয়ার প্রধান প্রতিষ্ঠান। আশির দশকে জাহাজভাঙা শিল্পের মাধ্যমে তাঁর ব্যবসায় উত্থান। ২০০২ সালে তিনি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গড়ে তোলেন ভোজ্যতেল পরিশোধনাগার রুবাইয়া ভেজিটেবল অয়েল। প্রতিষ্ঠার পর কয়েক বছর ব্যবসা ভালো হলেও পরে ক্রমশ লোকসান দিতে থাকে রুবাইয়া ভেজিটেবল। ২০১৪ সালের শেষ দিকে এ কারখানা বন্ধ করে দেন তিনি। 
সাউথইস্ট ব্যাংকের পাহাড়তলী শাখার ১৪২ কোটি ৮৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে করা একটি মামলায় রুবাইয়া ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুন-উর রশিদ, চেয়ারম্যান আনজুমান আরা বেগম ও পরিচালক হাসনাইন হারুনকে ২০২১ সালে ৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দেওয়ানি আটকাদেশ কার্যকর করার জন্য অর্থঋণ আইনের ৩৫ ধারা অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত এ আদেশ দেন। ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর এনসিসি ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার পৃথক আরেকটি মামলায় মা-বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ঋণখেলাপির মামলায় অর্থঋণ আদালত এ আদেশ দেন। ২০১৪ সালে দায়ের হওয়া চেক প্রতারণার দুটি মামলায়ও সাজাপ্রাপ্ত হন হারুন-উর রশিদ। আদালত একটি মামলায় তাঁকে এক বছর কারাদণ্ড ও ৫ কোটি টাকা জরিমানা করেন। অন্য মামলায় আদালত তাঁকে এক বছর কারাদণ্ড ও ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন। 
হুমায়ুন কবির নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় ২০১৯ সালে একবার গ্রেপ্তার হন হারুন-উর রশিদ। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাঁকে তখন গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে। তখন জামিনে বের হয়ে কিছু ব্যাংকের ঋণ পুনঃতপশিল করেন তিনি। কিন্তু ঋণের তুলনায় এটি নগণ্য হলেও কিছু ব্যাংক তাঁকে আবার ঋণ দিয়েছে। এখন নতুন পুরোনো সব ব্যাংকই আছে বেকায়দায়। এছাড়া ছেলে হাসনাইন হারুনকে চেক প্রতারণার একটি মামলায় ২০২১ সালে ১২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে হালিশহর থানা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে ১১টি সাজা পরোয়ানা এবং ২৪টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিলো। তাছাড়া আরও ২৪টি মামলার বিচার চলছে।
বাংলাদেশ শিপব্রেকার্স এন্ড রিসাইক্লার্স এসোসিয়েশন ( বিএসবিআরএ) সভাপতি মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ও ডলার সংকটের কয়েকটি ইয়ার্ডে জাহাজ আমদারি কমে গেছে। পরিস্থিতি স্বভাবিক হলে পুরো দমে কাযক্রম চলবে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঋণখ ল প গ র প ত র কর ঋণখ ল প ব যবস য় পর য় ন এক ধ ক

এছাড়াও পড়ুন:

চিম্বুকে ভালুকের আক্রমণে একজন আহত, ৫ বছরে ১০ জন হামলার শিকার

বান্দরবান-চিম্বুক-থানচি সড়কের পোড়াবাংলা পটোসিংপাড়ায় আজ শুক্রবার সকালে ভালুকের আক্রমণে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।

বন বিভাগ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০২১ সাল থেকে ভালুকের আক্রমণ বেড়েছে। গত পাঁচ বছরে ১০ জন আক্রমণের শিকার হয়েছেন। আক্রমণের শিকার ব্যক্তিদের অধিকাংশ ম্রো জনগোষ্ঠীর। ভালুকের কারণে আহত হওয়ার ঘটনায় আবেদন না করায় এই পর্যন্ত কেউ ক্ষতিপূরণ পায়নি বলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পোড়াবাংলা পটোসিংপাড়ার কাইনপ্রে ম্রো (৩৫) পাড়া থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে জুমখেতে কাজ করতে যান। সেখানে জুমের পাশে কলাবাগানে কাজ করার সময় হঠাৎ কালো রঙের একটি ভালুক তাঁর ওপর আক্রমণ করে। ভালুকটি তাঁর পেটে ও মুখে আঘাত করতে থাকে। তাঁর চিৎকারে আশপাশে জুমের লোকজন এগিয়ে আসেন।

আহত কাইনপ্রে ম্রোর ভাই তনরুই ম্রো জানিয়েছেন, আশপাশের লোকজনের এগিয়ে আসা দেখে ভালুকটি কাইনপ্রে ম্রোকে ছেড়ে দিয়ে বনে পালিয়ে যায়। তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে কাইনপ্রে ম্রোকে উদ্ধার করে দুপুরে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পোড়াবাংলা পটোসিংপাড়া জেলা শহর থেকে ৩১ কিলোমিটার দূরে। পাড়াটি রুমা উপজেলার গালেংগ্যা ইউনিয়নে পড়েছে।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আহত কাইনপ্রে ম্রোর পেটে ও মাথায় গভীর ক্ষত আছে। এ জন্য তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, থানচি তিন্দু ইউনিয়নে মেনপই ম্রো নামের একজন ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল প্রথম ভালুকের আক্রমণের শিকার হন। ওই একজনসহ ২০২১ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৫ বছরে ১০ জন ভালুকের আক্রমণে আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে থানচিতে দুজন, রুমাতে তিনজন, আলীকদমে একজন ও বান্দরবান সদর উপজেলা চিম্বুক পাহাড়ে চারজন রয়েছেন। কারও মৃত্যু না হলেও তাঁদের মধ্যে কেউ চোখ হারিয়েছেন, কারও হাত–পা পঙ্গু হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা একজন মারমা ও একজন খুমি ছাড়া অন্যরা সবাই ম্রো।

বন বিভাগের বান্দরবানের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আবদুর রহমান জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বনাঞ্চল কেটে উদ্যান বাগান ও জুমচাষ করা এলাকাগুলোতে ভালুকের আক্রমণ বেড়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, বাগানের কারণে ভালুক ও অন্যান্য বন্য প্রাণীরা আবাসস্থল ও বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যসংস্থান হারাচ্ছে। জীবনের তাগিদে তারা মানুষের সঙ্গে মুখোমুখি হতে বাধ্য হচ্ছে। বন নির্ভর মানুষকে অন্যভাবে আয়ের সংস্থানের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বনাঞ্চল সংরক্ষণ না হলে বন্য প্রাণীর সঙ্গে সহাবস্থান গড়ে উঠবে না। এভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করা না হলে বন্য প্রাণী ও মানুষ কারও জন্য মঙ্গলজনক হবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট, তরুণেরা কেন আগাম ভোট দিচ্ছেন
  • ‘হুক্কা’ প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জাগপা
  • চিম্বুকে ভালুকের আক্রমণে একজন আহত, ৫ বছরে ১০ জন হামলার শিকার