মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার রাথুরা গ্রামে গলা কেটে এক নারীকে হত্যার ঘটনায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অসুস্থ স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেওয়ায় তাঁকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার হওয়া সেকেন্দার আলী (৬৬)। গতকাল শনিবার মানিকগঞ্জ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন তিনি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ইয়াসমিন খাতুন।

পুলিশ সুপার জানান, রাথুরা গ্রামের সেকেন্দার আলী ও লায়লা আরজু দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ের বিয়ে হওয়ার পর তারা নিজ নিজ কর্মস্থলে বসবাস করেন। ১৫ জানুয়ারি বাড়ি থেকে লায়লার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন তাঁর ভাই ময়নুল ইসলাম মুকুল ঘিওর থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার পর পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, এ ঘটনায় সেকেন্দার আলী যুক্ত। পরে তাঁকে শুক্রবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তিনি স্ত্রীকে হত্যার কারণ পুলিশকে জানান।

সেকেন্দার আলী পুলিশকে বলেন, তাঁর স্ত্রী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড ও ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। ২০২২ সাল থেকে তিনি অসুস্থ। এ কারণে তারা আলাদা কক্ষে থাকতেন। একপর্যায়ে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করবেন বলে জানান। স্ত্রী অনুমতি না দেওয়ায় গত ১৪ জানুয়ারি রাতে তাদের ঝগড়া হয়। পরদিন সকালেও ঝগড়ায় লিপ্ত হন তারা। একপর্যায়ে স্ত্রী লায়লা খাট থেকে নিচে পড়ে গেলে রান্না ঘর থেকে ফল কাটার ছুরি এনে তাঁর গলায় খোঁচা দেন বলে জানিয়েছেন সেকেন্দারা আলী। এ সময় স্ত্রীর গলা দিয়ে রক্ত বের হলে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে দিয়ে বাজারে চলে যান তিনি। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি ফিরে চিৎকার করে বলেন, তাঁর স্ত্রীকে কে বা কারা গলা কেটে হত্যা করেছে।

পুলিশ সুপার বলেন, মামলার দু’দিনের মধ্যে হত্যার রহস্য উন্মোচনসহ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার আসামি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত তাঁকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ স ক ন দ র আল

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন