গার্দিওলার বিশ্বাস সিটি পুরোনো ছন্দে ফিরেছে
Published: 20th, January 2025 GMT
ইপসউইচকে তাদেরই মাঠে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। রোববার (২০ জানুয়ারি, ২০২৫) এই ম্যাচ জিতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের সেরা চারে উঠে এসেছে দলটি। অথচ এই ম্যাচের আগেও নাজেহাল অবস্থা ছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। গত বছরের সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ থেকে ইপসউইসকে হারানোর আগ পর্যন্ত ২৬ ম্যাচ খেলা সিটিজেনদের জয় ছিল মাত্র ৯টি!
স্বাভাবিকভাবেই ৬-০ গোলের জয় দারুণ উদীপ্ত করেছে ম্যানসিটিকে। সেই আত্মবিশ্বাসেই দলটির ম্যানেজার পেপ গার্দিওলা জানালেন- তারা আগের অবস্থায় ফিরে এসেছেন।
ইপসউইচের বিপক্ষে সিটি বিরতির আগে ও পরে ৩টি করে গোল করে। প্রথমার্ধে ফিল ফোডেনের জোড়া গোলের সাথে একবার জালের ঠিকানা পেয়েছেন মাতিও কোভোচিচ। বিরতির পর গোল পান দুদিন আগেই সাড়ে ৯ বছরের জন্য সিটির সাথে নতুন চুক্তি করা আর্লিং হালান্ড। বাকি গোল দুটি করেন জেরেমি ডকু এবং জেমস এমকেতি।
আরো পড়ুন:
সিটির সঙ্গে সাড়ে নয় বছরের চুক্তি করে হালান্ড বললেন- ‘প্রিয় ডিফেন্ডাররা, আমি এখানে থাকতে এসেছি’
জয়বঞ্চিত ক্লান্ত ম্যানসিটি
২২ ম্যাচ শেষে সিটির পয়েন্ট ৩৮। সমান ম্যাচে নিউক্যাসেলেরও পয়েন্ট ৩৮। তবে গোল ব্যবধানে (+৩) এগিয়ে থাকায় সেরা চারে গার্দিওলার দল। শীর্ষ থাকা লিভারপুল ১২ পয়েন্ট এগিয়ে। ২১ ম্যাচে অল রেডদের সংগ্রহ ৫০ পয়েন্ট।
ম্যাচ শেষে আবেগাপ্লুত সিটি ম্যানেজার গার্দিওলা জানান, “আমরা সত্যিই খুশি। আমরা আবার সেই দল হয়ে উঠেছি যেভাবে বিগত ১০ বছর সবাই আমাদের চিনত।”
বড়দিনের পর এটাই ম্যানসিটির সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক জয়। ম্যাচ শেষে দলের পারফরম্যান্সের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে ম্যানসিটির স্প্যানিশ ম্যানেজার জানান, “খুব ভালো, হয়তো আমাদের সেরা না, কিন্তু আমাদের ধারাবাহিকতার কাছাকাছি। বল পায়ে সবাই ছিল দ্রুত, তীক্ষ্ণ; একে অপরের সাথে বোঝাপড়া ভালো ছিল।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী
বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।
প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’