১৫ মাস পরে সোমবার গাজায় শান্তির প্রথম পূর্ণ দিবস ছিল। উদ্ধারকর্মী এবং বেসামরিক নাগরিকরা উপত্যকায় ধ্বংসের মাত্রা দেখতে করতে শুরু করেছেন।

গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে,তারা আশঙ্কা করছে যে ধ্বংসস্তূপের বিশাল সমুদ্রের নিচে এখনো ১০ হাজারেরও বেশি মৃতদেহ চাপা পড়ে আছে।

মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বিবিসিকে বলেছেন, তারা ১০০ দিনের মধ্যে মৃতদেহ উদ্ধার করার আশা করছেন, কিন্তু বুলডোজার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ঘাটতির কারণে তা বিলম্বিত হতে পারে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের অনুমান, ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে গাজায় ৪৬ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।

চলতি মাসে মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতের যে সংখ্যা প্রকাশ করেছে বাস্তবে নিহতের সংখ্যা তারচেয়েও ৪০ শতাংশ বেশি হতে পারে। 

সোমবার গাজা সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,সংঘর্ষের সময় তাদের নিজস্ব ৪৮ শতাংশ কর্মী নিহত, আহত বা আটক হয়েছেন এবং তাদের ৮৫ শতাংশ যানবাহন এবং ২১টি স্থাপনার মধ্যে ১৭টি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।

জাতিসংঘ পূর্বে অনুমান করেছিল যে গাজাজুড়ে ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) অনুসারে, যুদ্ধের ফলে গাজার ২০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন, তাদের আয় নেই এবং বেঁচে থাকার জন্য তারা সম্পূর্ণরূপে খাদ্য সহায়তার উপর নির্ভরশীল।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করায় এয়ার ইন্ডিয়ার ৬০ কোটি ডলার ক্ষতির আশ

পাকিস্তান ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়ার ৬০ কোটি ডলার লোকসান হতে পারে। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি চিঠির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, “ধরে নিচ্ছি যে, পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকবে যা আগামী বছর পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হতে পারে। তাতে যে বাড়তি খরচ হবে তার মধ্যে রয়েছে বিকল্প রুটে বিমানগুলোর দীর্ঘ উড্ডয়নের জন্য বর্ধিত জ্বালানি খরচ।

বিমান সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়েছে জানিয়েছে, ফ্লাইটের সময় যত বেশি হবে, যাত্রীদেরও তার উপর প্রভাব পড়বে। ফ্লাইট দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে নিষেধাজ্ঞার সময়কালে প্রতি বছর ৫৯ কোটি ১০ লাখ ডলারেরও বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। নয়াদিল্লি পরের দিনই সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়। এর জবাবে পাকিস্তান ভারতের বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়াসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়।

বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়কে লেখা চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ক্ষতি পোষাতে এয়ার ইন্ডিয়া সরকারের কাছে আনুপাতিক ভর্তুকির জন্য অনুরোধ করেছে। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, “প্রভাবিত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য ভর্তুকি একটি ভালো, যাচাইযোগ্য এবং ন্যায্য বিকল্প... পরিস্থিতির উন্নতি হলে ভর্তুকি প্রত্যাহার করা যেতে পারে।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ