৯ গোলের থ্রিলারে শেষ হাসি বার্সেলোনার
Published: 22nd, January 2025 GMT
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হাইভোল্টেজ এক ম্যাচে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকাকে ৫-৪ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচটিতে টানটান উত্তেজনা, লাল কার্ড সবই দেখেছে দর্শকরা। নাটকীয় এই জয়ে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই বেনফিকাকে এগিয়ে দেন ভেনগেলিস পাভলিদিস। এরপর ২২ ও ৩০ মিনিটে আরও দুই গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। ৩০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে তার করা গোল বেনফিকাকে এনে দেয় ৩-১ ব্যবধান। বার্সেলোনার হয়ে প্রথমার্ধে একমাত্র গোলটি আসে রবার্ট লেভান্ডোভস্কির স্পটকিক থেকে।
বিরতির পর বার্সেলোনা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। ৬৪ মিনিটে রাফিনহা গোল করলে ব্যবধান কমে ৩-২। তবে, ৬৮ মিনিটে আরাউহোর আত্মঘাতী গোলে বেনফিকার এগিয়ে যাওয়ার ব্যবধান হয় ৪-২।
ম্যাচ প্রায় হাতছাড়া হওয়ার পর বার্সেলোনা দেখায় দুর্দান্ত লড়াইয়ের মানসিকতা। ৭৮ মিনিটে লেভান্ডোভস্কি পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের আসল নাটক শুরু পরের সময়টাতে। ৮৬ মিনিটে এরিক গার্সিয়ার গোল ম্যাচে আনে নাটকীয় সমতা। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে খেলা তখন ৪-৪! তবে যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে রাফিনহার গোল বার্সাকে এনে দেয় জয়। বেনফিকার ফুটবলার কাবরাল এক মিনিট পর লাল কার্ড দেখলে স্বাগতিক দলের সব প্রত্যাশা শেষ হয়ে যায়।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার কোনো দল ৪ গোল খেয়েও ম্যাচ জিতলো। ২০১৬ সালের নভেম্বরে লেগিয়া ওয়ারশের বিপক্ষে ৮–৪ গোলে জিতেছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জামালপুরে সমাজচ্যুতির ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন অভিযুক্ত মাতব্বররা
জামালপুর শহরে সাতটি পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘটনায় ভুল স্বীকার করে ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত মাতব্বররা। ঢাকঢোল পিটিয়ে ও মাইকিং করে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দেওয়ার দু’দিন পর রোববার রাতে বসে নতুন সালিশ বৈঠক। এতে সেই মাতব্বররা নিজেদের ভুল স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একসঙ্গে বসবাসের অঙ্গীকার করেন। পরে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়, সাতটি পরিবারের বিরুদ্ধে নেওয়া আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।
পারিবারিক বিরোধের জের ধরে জামালপুর শহরের দাপুনিয়া পশ্চিমপাড়ায় গত শুক্রবার রাতে বসে সালিশ বৈঠক। এতে ঘোষণা করা হয়, ‘মরহুম আজিজুল হক, ইসমাইল হোসেন মৌলভি, মুনসুর মিয়া, মানিক, জানিক, মজিবর ও নান্নুর পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। এসব পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কেউ মেলামেশা, লেনদেন বা সামাজিক সম্পর্ক রাখতে পারবে না। এ নিষেধ অমান্যকারীকেও একঘরে করে দেওয়া হবে।’ পরে মাইকে এলাকাজুড়ে তা প্রচার করা হয়। এতে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
পরদিন বিকেলে ইসমাইল হোসেন, মুনসুর মিয়াসহ ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানায় অভিযোগ দেন। তারা জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে প্রভাবশালীরা সালিশ ডেকে একতরফাভাবে মুনসুর মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন। জরিমানার টাকা না দেওয়ায় সাত পরিবারকে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দিয়ে একঘরে করে রাখা হয়েছে।
এই অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন। রোববার রাত ১০টার দিকে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে এলাকার কয়েকশ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন বলেন, উভয় পক্ষ এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অঙ্গীকার করেছে। অভিযোগকারীরা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।