স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি: ফের মহাসড়ক অবরোধ
Published: 22nd, January 2025 GMT
স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে ফের বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে মহাসড়কটি অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) প্রায় ৫ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এতে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা।
গত ১৮ নভেম্বর ও ১৮ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও প্রশাসনের আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও আশানুরূপ সিদ্ধান্ত না আসায় এবার শিক্ষার্থীরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, “প্রশাসন বারবার শুধু আমাদের আশ্বাসই জানিয়ে আসছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দৃষ্টিগত এখনো কিছু করতে পারেনি। উপরন্তু হল না থাকায় আবাসন সংকটের পাশাপাশি মহিলা কলেজ ও কমিউনিটি সেন্টারে ক্লাস চলায় আমরা একাডেমিকভাবেও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। আমাদের শ্রেণিকক্ষ সংকট।”
এনিয়ে, কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করে। পরে তা স্থগিত করা হয়। কিন্তু কি কারণের স্থগিতা করা হয়েছে তা জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় ছাত্রসমাজ। এতে শাহজাদপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বুধবার (২২ জানুয়ারী) সকালে শাহজাদপুরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে উপজেলা ভবনের সামনে এসে মানববন্ধন করেন তারা।
২০১৫ সালের ৮ মে বিশ্বকবির ১৫৪তম জন্মবার্ষিকীতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। ১১ মে মন্ত্রী সভার বৈঠকে ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ আইন, ২০১৫’-এর খসড়া অনুমোদন পাওয়ার পর ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই সংসদে পাস হয় ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আইন’। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাবির আইন বিভাগের অধ্যাপক ড.
ঢাকা/হাবিবুর/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
সিজু নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় পুকুর থেকে সিজু মিয়ার (২৫) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে সাংবাদিকদের এ কথা জানান রংপুর রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ম্যানেজম্যান্ট) রুনা লায়লা ও গাইবান্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শরিফুল আলম।
আরো পড়ুন:
অধ্যাপক জওহরলাল বসাকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
‘এইচ টি ইমামের’ বন্ধ কারখানায় ডাকাতির চেষ্টা, আটক ৬
এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণই আমাদের লক্ষ্য।” সিজু নিহত হওয়ার পর স্থানীয়ভাবে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় ঢুকে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মহসিন আলীকে ছুরিকাঘাত করে পার্শ্ববর্তী সাঘাটা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুরে ঝাঁপ দেন সিজু মিয়া। পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুকুরের কচুরিপানার ভেতর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করে।
পরদিন শনিবার পুকুরে সিজুকে পিটিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সেই দিনই গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কর্যালয় ঘেরাও এবং সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। গত রবিবার সিজু নিহতের প্রতিবাদে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন সচেতন নাগরিক ও স্থানীয়রা।
নিহত সিজু গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাগুরিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন।
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ