তামাকের স্বাস্থ্যগত ও আর্থিক ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ এবং সুস্থ তরুণ সমাজ গঠনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি জানিয়েছে সাংবাদিক সংগঠন এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশ-এটিজেএফবি। 

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিএমএ ভবনের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন সভাকক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আয়োজিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বিষয়ে এটিজেএফবির এক কর্মশালায় তারা আরো জানান, আইনের সংশোধনী পাস হলে মৃত্যু কমবে, এসডিজি গোল অর্জিত হবে, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ তরান্বিত হবে। 

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিসিআইসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান মো.

মোস্তাফিজুর রহমান, বাসস-এর বিশেষ প্রতিনিধি ও এটিজেএফবি সভাপতি তানজিম আনোয়ার এবং এটিজেএফবি সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান টিভির চিফ রিপোর্টার বাতেন বিপ্লব।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫’ আইনে পাবলিক প্লেস ও রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোন থাকার কারণে পরোক্ষ ধুমপানজনিত ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অধূমপায়ীরা। এতে করে ৮৫% হারে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। 

অন্যদিকে স্মোকিং জোনকে ব্যবহার করে ৭৩% রেস্তোরাঁতে তামাক কোম্পানি বিজ্ঞাপনসামগ্রী প্রদর্শন করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধিত খসড়াটি পাস হলে রেস্তোরাঁসহ সকল পাবলিক প্লেসে স্মোকিং জোন বাতিল, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনী, খুচরা বিক্রি, ই-সিগারেট ও তামাক কোম্পানির সিএসআর নিষিদ্ধসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বেশ কিছু দুর্বল দিক দূর হবে ও আইনটি বিশ্বমানে উন্নীত হবে।    

এ সময় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীটি দ্রুত পাসের প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে গণমাধ্যমকর্মীদের লেখনীর মাধ্যমে নীতিনির্ধারকদের বিষয়টি সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে আহ্বান জানান মো. মোস্তাফিজুর রহমান। 

ইকবাল মাসুদ বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোধনীর জন্য যে খসড়াটি প্রণয়ন করেছে, সেটি পাশ হলে দেশে আইনটি এফসিটিসির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও শক্তিশালী হবে।’’

কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি নিয়াজ মোর্শেদ, ঢাকা মেইলের সিনিয়র রিপোর্টার ইমরুল কায়েস, ভোরের ডাকের ইমরুল কাওসার, বিটিভির খালিদ আহসান ও সাইফুল্লাহ সুমন, যায়যায়দিনের সিনিয়র সাংবাদিক আলতাব হোসেন, ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার রাসেদুল হাসান, কালের কণ্ঠের মাসুদ রুমী বিডি নিউজের গোলাম মর্তুজা ঢাকা পোস্টের আদনান রহমান, দেশ রূপান্তরের সারোয়ার আলম, বৈশাখী টিভির রীতা নাহারসহ অনেকে।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর প্রোপাগান্ডা মিথ্যা প্রমাণ করেছে স্বাধ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, “বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় মিডিয়ায় ভয়ঙ্কর প্রোপাগান্ডা ইতোমধ্যে মিথ্যা প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ সরকার এবং স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকার ও গণমাধ্যমকর্মীরা।”

আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতনের’ ভুয়া অভিযোগ তুলে ভারতীয় মিডিয়ায় শুরু হয় ভয়ঙ্কর প্রোপাগান্ডা। প্রকৃত তথ্য দিয়ে সেসব প্রোপাগান্ডা ইতোমধ্যে মিথ্যা প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ সরকার এবং স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকার ও গণমাধ্যমকর্মীরা।’

এ সংক্রান্ত একটি ডকুমেন্টারি আপলোড করে পোস্টে বলা হয়েছে, ‘এই ডকুমেন্টারিতে আরো বিস্তারিতভাবে হিন্দুসহ নাগরিকদের সেই সময়কার বাস্তব অভিজ্ঞতা ও প্রোপাগান্ডার নেপথ্যের সত্য তুলে ধরেছেন নির্মাতা ও অভিনেতা দীপক কুমার গোস্বামী এবং শাহরিয়ার সজীব।’

আরো পড়ুন:

চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্ত সাংবাদিক ফারজানা-শাকিল দম্পতি

সাংবাদিক মনিরুজ্জামানের মায়ের মৃত্যু, বিএসআরএফের শোক

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পোস্টে আরো বলা হয় যে, ‘বাংলাদেশ সব ধর্মের মানুষের দেশ এবং হাসিনার পতনও হয়েছিল সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সম্মিলিত প্রতিরোধেই।’

সূত্র: বাসস

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পাথর কোয়ারি চালুর দাবি
  • বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর প্রোপাগান্ডা মিথ্যা প্রমাণ করেছে স্বাধ