তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি সাংবাদিকদের
Published: 22nd, January 2025 GMT
তামাকের স্বাস্থ্যগত ও আর্থিক ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ এবং সুস্থ তরুণ সমাজ গঠনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি জানিয়েছে সাংবাদিক সংগঠন এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশ-এটিজেএফবি।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিএমএ ভবনের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন সভাকক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আয়োজিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বিষয়ে এটিজেএফবির এক কর্মশালায় তারা আরো জানান, আইনের সংশোধনী পাস হলে মৃত্যু কমবে, এসডিজি গোল অর্জিত হবে, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ তরান্বিত হবে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিসিআইসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান মো.
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫’ আইনে পাবলিক প্লেস ও রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোন থাকার কারণে পরোক্ষ ধুমপানজনিত ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অধূমপায়ীরা। এতে করে ৮৫% হারে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে স্মোকিং জোনকে ব্যবহার করে ৭৩% রেস্তোরাঁতে তামাক কোম্পানি বিজ্ঞাপনসামগ্রী প্রদর্শন করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধিত খসড়াটি পাস হলে রেস্তোরাঁসহ সকল পাবলিক প্লেসে স্মোকিং জোন বাতিল, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনী, খুচরা বিক্রি, ই-সিগারেট ও তামাক কোম্পানির সিএসআর নিষিদ্ধসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বেশ কিছু দুর্বল দিক দূর হবে ও আইনটি বিশ্বমানে উন্নীত হবে।
এ সময় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীটি দ্রুত পাসের প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে গণমাধ্যমকর্মীদের লেখনীর মাধ্যমে নীতিনির্ধারকদের বিষয়টি সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে আহ্বান জানান মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
ইকবাল মাসুদ বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোধনীর জন্য যে খসড়াটি প্রণয়ন করেছে, সেটি পাশ হলে দেশে আইনটি এফসিটিসির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও শক্তিশালী হবে।’’
কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি নিয়াজ মোর্শেদ, ঢাকা মেইলের সিনিয়র রিপোর্টার ইমরুল কায়েস, ভোরের ডাকের ইমরুল কাওসার, বিটিভির খালিদ আহসান ও সাইফুল্লাহ সুমন, যায়যায়দিনের সিনিয়র সাংবাদিক আলতাব হোসেন, ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার রাসেদুল হাসান, কালের কণ্ঠের মাসুদ রুমী বিডি নিউজের গোলাম মর্তুজা ঢাকা পোস্টের আদনান রহমান, দেশ রূপান্তরের সারোয়ার আলম, বৈশাখী টিভির রীতা নাহারসহ অনেকে।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
না’গঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের আড়াই কোটি টাকার অনুদান ও সঞ্চয়পত্র প্রদান
জুলাই গণঅভ্যত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন জুলাই যোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত আর্থিক অনুদানের চেক ও তিন শহীদ পরিবারের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ আর্থিক অনুদানের চেক ও সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মানিত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আহত জুলাই যোদ্ধা ও তাঁদের পরিবার, শহিদ পরিবারের সদস্যগণ, ছাত্র প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।
এ সময় ৪ জন শহিদ পরিবারের সদস্যের প্রত্যেককে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন যোদ্ধাকে এককালীন ১ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীর সন্তানরা আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। তাঁদের সাহসিকতা, আত্মত্যাগ ও অদম্য চেতনা আমাদের জাতি পুনর্গঠনের অনুপ্রেরণা। আমরা বিশ্বাস করি, এই যোদ্ধাদের সাহসিকতা দিয়েই গড়ে উঠবে একটি নতুন, উদ্ভাসিত বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন-অগ্রগতির যাত্রায় আমরা তরুণ সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করি। সম্মিলিত প্রচেষ্টাই গড়ে তুলবে একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল নারায়ণগঞ্জ।
এদিকে এ অনুষ্ঠানটি শুধু অনুদান বিতরণ নয়, বরং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান জানানোর এক অনবদ্য প্রয়াস হয়ে উঠেছিল।