ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার একটি সেতু থেকে পড়ে ইছামতী নদীতে নিখোঁজের প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে যন্ত্রাইল এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

মৃত যুবকের নাম তানজিদ হোসেন (২৬)। তিনি উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের আজিজপুর গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ইছামতী নদীর ওপর নির্মিত নবাবগঞ্জ-যন্ত্রাইল ব্রিজের রেলিংয়ে একা বসে ছিলেন তানজিদ। একপর্যায়ে সেখান থেকে নদীতে লাফিয়ে পড়েন তিনি। পথচারীদের কয়েকজন দৌড়ে গিয়ে তানজিদকে ডুবতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের জানায়। পরে পুলিশকে খবর পাঠালে সেখানে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেও রাত ৯টা পর্যন্ত তাঁর সন্ধান মেলেনি। পরে আজ সকাল সাতটা থেকে ইছামতী নদীতে উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ডল। একপর্যায়ে যন্ত্রাইল এলাকা থেকে তাঁর মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

তানজিদের বাবা চান মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলেটা কেমনে পড়ে গিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিল? কিছুদিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর একটি হাত পঙ্গু হয়ে যায়। আমার ধারণা, সে লাফ দেয়নি। হাতে ভর রাখতে না পেরে নিচে পড়ে গেছে।’

নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক রাজিবুল ইসলাম জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় তানজিদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঝগড়া থামাতে গিয়ে বিকাশ (৪৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) ফতুল্লার রামারবাগ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত বিকাশ সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানার বড়গাও গ্রামের বারীন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি পরিবারের সঙ্গে রামারবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ইঁদুর মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল বর্গাচাষির

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দুপুরে বিকাশের মামাতো বোন ও তার স্বামীর মধ্যে ঝগড়া লাগে। যা একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। একই বাড়িতে পাশাপাশি ভাড়া থাকার সুবাদে ঝগড়ার বিষয়টি শুনতে পেয়ে বিকাশ বোনের ঘরে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তিনি ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে জানালার সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বিকাশ। পরে তাকে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেহানুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিকাশ তার মামাতো বোন ও বোনের স্বামীর ঝগড়া থামাতে গিয়ে জানালার সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে যান। খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মামাতো বোন শিল্পীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।’’

ঢাকা/অনিক/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফতুল্লায় ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের