সেতু থেকে পড়ে নিখোঁজের ১৫ ঘণ্টা পর ইছামতী নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
Published: 11th, July 2025 GMT
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার একটি সেতু থেকে পড়ে ইছামতী নদীতে নিখোঁজের প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে যন্ত্রাইল এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত যুবকের নাম তানজিদ হোসেন (২৬)। তিনি উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের আজিজপুর গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ইছামতী নদীর ওপর নির্মিত নবাবগঞ্জ-যন্ত্রাইল ব্রিজের রেলিংয়ে একা বসে ছিলেন তানজিদ। একপর্যায়ে সেখান থেকে নদীতে লাফিয়ে পড়েন তিনি। পথচারীদের কয়েকজন দৌড়ে গিয়ে তানজিদকে ডুবতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের জানায়। পরে পুলিশকে খবর পাঠালে সেখানে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেও রাত ৯টা পর্যন্ত তাঁর সন্ধান মেলেনি। পরে আজ সকাল সাতটা থেকে ইছামতী নদীতে উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ডল। একপর্যায়ে যন্ত্রাইল এলাকা থেকে তাঁর মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
তানজিদের বাবা চান মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলেটা কেমনে পড়ে গিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিল? কিছুদিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর একটি হাত পঙ্গু হয়ে যায়। আমার ধারণা, সে লাফ দেয়নি। হাতে ভর রাখতে না পেরে নিচে পড়ে গেছে।’
নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক রাজিবুল ইসলাম জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় তানজিদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শিয়াল মারার ফাঁদে জড়িয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শিয়াল মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রূপবান বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে ‘সুন্দরবন প্রজেক্ট নামে একটি মুরগির খামার’ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
রূপবান বেগম শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের জহুর আলী মোল্লার স্ত্রী।
এদিকে শিয়াল মারার ফাঁদে জড়িয়ে গৃহবধূর মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে প্রজেক্টের কর্মচারীরা পালিয়ে যান।
নিহত গৃহবধূর ছেলে আব্দুর সবুরের ভাষ্য, সকালে তার মা ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে সুন্দরবন প্রজেক্টের মধ্যে গিয়েছিলেন। আগের দিন প্রজেক্টের ম্যানেজার মাকসুদ ঘাস কেটে নেওয়ার জন্য তার মাকে বলেছিলেন।
আব্দুর সবুর বলেন, ‘দুপুর গড়িয়ে গেলেও মাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। একপর্যায়ে প্রতিবেশীসহ আশপাশে বাড়িতে খুঁজতে থাকি। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে আব্দুর রহমানসহ স্থানীয় গ্রামবাসীরা প্রজেক্টের মধ্যে বিদ্যুতের তারে আটকে থাকা মায়ের মরদেহ দেখে খবর দেন।’
দুর্ঘটনার সময় প্রজেক্টে উপস্থিত থাকা মাকসুদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সুন্দরবন প্রজেক্টর মালিক নুর ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তিনি প্রজেক্টের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। শিয়ালের উপদ্রব বেশি হওয়ায় রাতে প্রজেক্টের চারপাশে জিআই তার দিয়ে তৈরি ফাঁদে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখা হয়। ভুলবশত মাকসুদ সকালে বিদ্যুতের সংযোগ খুলে রাখেননি।
শ্যামনগর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।