বনানীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুই সেনাসদস্যসহ গ্রেপ্তার ৪
Published: 23rd, January 2025 GMT
রাজধানীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুই সেনাসদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা মগবাজার এলাকায় ডাকাতির জন্য বনানীতে প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো– সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া রোজারিও এবং ডাকাত চক্রের সোর্স সালাম। গ্রেপ্তার দুই সেনাসদস্যের একজন কর্পোরাল, অন্যজন সৈনিক পদবির। তাদের সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্য দু’জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বনানী থানার ওসি রাসেল সরোয়ার বলেন, মঙ্গলবার রাতে বনানীর ১৭ নম্বর সড়কের স্টার কাবাবের সামনে একটি চক্র ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বনানী থানা পুলিশের একটি টহল দল জটলা দেখে সেখানে থামে। পুলিশ দেখে দুই সেনাসদস্যসহ তিনজন সেখান থেকে কৌশলে সটকে পড়ে। এ সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে দুই সেনাসদস্যকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দু’জনকে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
ওসি জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক রয়েছে। তার কাছে ক্যামেরা ও পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর পোশাক, জুতা ও পরিচয়পত্র এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। তাদের কাছে তালা ভাঙার সরঞ্জামও পাওয়া গেছে।
বিদেশি পিস্তলসহ ধরা তিনজন
গতকাল সবুজবাগের শহীদ জিয়া বাসাবো উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে বিদেশি পিস্তলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন– মো.
ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, দুষ্কৃতকারীরা অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশে অস্ত্র-গুলিসহ অবস্থান করছে– এমন খবরে সেখানে অভিযানে যায় ডিবি। ঘটনাস্থল থেকে পালানোর সময় সাঈদ, হৃদয় ও আনোয়ারকে একটি বিদেশি পিস্তল এবং পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় আকাশ, রফিক, সাকিব ও শান্ত নামে চারজন কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ও পলাতকদের বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে ব্যবহারের উদ্দেশে অবৈধ বিদেশি পিস্তল ও গুলি নিজেদের কাছে রেখেছিল তারা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ ই স ন সদস য গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে ইউনিয়নের ফরদাবাদ গ্রামে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন- মো. সোহেল মিয়া (৩০), মো. সাদ্দাম হোসেন (৩৪), মো. শিশু মিয়া (৫৫), মো. শাহপরান (২৪), মো. ইমন (২৫), মো. সালাউদ্দিন, আব্দুল আল মামুনসহ (২৩) ২০ জন।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে বিএনপির সম্মেলনে ২ পক্ষের সংঘর্ষ
মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২৫
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফরদাবাদ গ্রামের সালাউদ্দিন ও শিপন মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। ঈদের পর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিরোধ মীমাংসায় আজ সকালে গ্রামে শালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি, যা পরবর্তীতে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫-২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর চারজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, “ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ সদস্যরা। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ