ঘন কুয়াশায় শরীয়তপুর-চাঁদপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
Published: 23rd, January 2025 GMT
কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত থেকে নদী ও আশপাশের এলাকাজুড়ে প্রচণ্ড কুয়াশা দেখা দেয়। ধীরে ধীরে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় নদীপথে দুর্ঘটনা এড়াতে মধ্যরাত থেকে এ নৌ-রুটে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিআইডব্লিউটিসি নরসিংহপুর ফেরিঘাটের সহ-ব্যবস্থাপক মো.
তিনি বলেন, “ঘন কুয়াশার কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে বুধবার রাত ২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে মাঝপথে কোনো ফেরি নোঙর করে রাখতে হয়নি। কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু করা হবে।”
তিনি আরো বলেন, “যানবাহন পারাপারের জন্য এই রুটে ছোট-বড় পাঁচটি ফেরি রয়েছে। এই রুটে যানবাহন কম চলায় বর্তমানে ফেরিগুলো যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করে।”
জেলার বিভিন্ন রাস্তায় ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। কাজের তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ গায়ে জড়িয়েছেন শীতের পোশাক। সন্ধ্যার পর থেকেই মৃদু হিমেল বাতাস পরের দিন সকাল পর্যন্ত বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা।
ঢাকা/আকাশ/ইমন
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজধানীমুখী মানুষের ভিড়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট
ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীমুখী মানুষের ভিড়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট। আজ শুক্রবার সকাল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা—রাজবাড়ী, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ থেকে আসা কর্মজীবীরা বিভিন্ন যানবাহনে ঘাটে পৌঁছে লঞ্চে নদী পার হচ্ছেন। মাত্র তিন থেকে চার মিনিটে প্রতিটি লঞ্চ যাত্রী বোঝাই করে পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে।
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থেকে আসা পোশাকশ্রমিক মো. সাব্বির হোসেন হাত ধরে নববধূর সঙ্গে লঞ্চে উঠছিলেন। তিনি জানান, ঢাকার হেমায়েতপুরের একটি পোশাক কারখানায় দুজনেই কাজ করেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর এটাই তাঁদের একসঙ্গে কর্মস্থলে ফেরার প্রথম যাত্রা।
সাব্বির বলেন, বালিয়াকান্দি থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় রাজবাড়ী হয়ে দৌলতদিয়ায় এসেছেন। রাস্তায় তেমন ভোগান্তি না থাকলেও লঞ্চঘাটে এসে ভিড়ে পড়েছেন। শনিবার থেকে তাঁদের কারখানা খুলছে, তাই আজই রওনা হয়েছেন। ভিড়ের মধ্যে যাতে কেউ হারিয়ে না যায়, সে জন্য এক হাতে লাগেজ ও আরেক হাতে নববধূর হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন।
রাজবাড়ীর কালুখালী থেকে আসা আরেক পোশাকশ্রমিক মিম আক্তার বলেন, তিনি সাভারের একটি কারখানায় কাজ করেন। ছুটিতে বাড়ি এসে ঈদ করেছেন। শনিবার কারখানা খুলবে—জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাগনেকে সঙ্গে নিয়ে আজই রওনা হয়েছি। দেরি করলে ঝামেলা হতে পারে।’
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, কাঠের সেতু পেরিয়ে সারিবদ্ধভাবে যাত্রীরা পন্টুনে দাঁড়াচ্ছেন। টিকিটকর্মীরা সেতুতে উঠে টিকিট দিচ্ছেন। প্রতিটি লঞ্চ কয়েক মিনিটেই যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে। ঘাটে আনসার, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর সদস্যদের সহায়তায় ভিড় সামলানো হচ্ছে।
দৌলতদিয়া নৌ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্য মাসুদ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার ভিড় কম ছিল, তবে আজ শুক্রবার সকাল থেকে চাপ বাড়ছে। শনিবার থেকে অফিস ও কারখানা খোলার কারণে অনেকে আজই ফিরছেন।
ঘাট ইজারাদারের প্রতিনিধি আবদুল আউয়াল জানান, বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রী চলাচল শুরু হলেও আজ সকাল থেকে ঘাটে ভিড় বেড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে যাত্রীর সংখ্যা আরও বাড়ছে। এই চাপ শনিবার পর্যন্ত থাকতে পারে।
বিআইডব্লিউটিএর আরিচা কার্যালয়ের টার্মিনাল সুপারভাইজার মো. শিমুল হোসেন বলেন, যাত্রীদের নির্বিঘ্ন পারাপারের জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২০টি লঞ্চের মধ্যে ১৮টি চলাচল করছে। অতিরিক্ত চাপ পড়লে বাকি দুটি লঞ্চও চালু করা হবে।