অবশেষে বাস পেলেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা
Published: 23rd, January 2025 GMT
রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরান ঢাকার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন যাবত জর্জরিত ছিল বিভিন্ন সমস্যায়। এর মধ্যে অন্যতম নিজস্ব পরিবহন সেবা।
পরিবহনের অভাবে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীদের পড়তে হতো বিভিন্ন ভোগান্তিতে। এবার তাদের মিলবে স্বস্তি। প্রথমবারের মতো তারা দুটি দ্বিতল বাস পেয়েছেন।
প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পর প্রথমবারের মতো নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা পেয়ে উচ্ছ্বসিত সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, বাস, হল ও ক্যান্টিনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছিলেন। ২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তির পর কলেজের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পায়। এজন্য শিক্ষার্থীদের হল, বাস ও ক্যান্টিনের দাবি আরো জোরালো হয়।
এর আগে, দায়িত্ব পালনকারী অধ্যক্ষরা বারবার আশ্বাস দিলেও সফলতার মুখ দেখাতে পারেননি। তবে সোহরাওয়ার্দী কলেজের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে কলেজে দুইটি দোতলা বিআরটিসির বাস আসে। এ বাস দুইটি উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়। এ সময় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শরিফুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে নতুন বাস আসা নিঃসন্দেহে একটি আনন্দদায়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এটি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতকে আরও সহজ, নিরাপদ এবং সময়সাশ্রয়ী করবে। নতুন বাস যুক্ত হওয়ায় এখন থেকে ক্লাসে উপস্থিতি বাড়বে এবং যাতায়াতজনিত চাপ কমবে।”
তিনি বলেন, “এ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও নজরে রাখা উচিত, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাস রুট। নতুন বাসগুলোর রুট প্ল্যান যেন সবার জন্য সুবিধাজনক হয়। এছাড়া নিয়মিত বাসের পরিচর্যা এবং রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। বাসগুলোতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি স্থাপন হলে আরো ভালো হবে।”
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ফাইয়াজ ফায়েল বলেন, “শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে এক দারুণ সুখবর। দুইটি দোতলা বাসের সংযোজন শুধু শিক্ষার্থীদের যাতায়াতকে সহজ ও আরামদায়ক করবে না, বরং তাদের দৈনন্দিন ক্যাম্পাসে যাতায়াতের একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা পরিবহন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিল। অবশেষে তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হলো।” এরপর অধ্যক্ষ বাস দুইটি চলাচলের সময়সূচি ও রুট ঘোষণা করেন।
ঘোষণা অনুযায়ি- প্রথম বাস শহীদ আব্দুল্লাহ, এটি সকাল ৭টা ১০মিনিটে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকে যাত্রা শুরু করে কাঠেরপুল, কোনাপাড়া, মাতুয়াইল, মিঠাপাড়ি, কাজলা, যাত্রাবাড়ি, ধোলাইখাল হয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ক্যাম্পাসে আসবে।
দ্বিতীয় বাস মুক্তি, ঠিক একই সময়ে বাড্ডা থেকে যাত্রা শুরু করে রামপুরা ব্রিজ হয়ে রামপুরা বাজার, মালিবাগ, খিলগাঁও, বাসাবো, মুগদা, মানিকনগর, সায়েদাবাদ হয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ক্যাম্পাসে আসবে।
আবার, কলেজ থেকে ঠিক দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ক্যাম্পাস থেকে উপরের উল্লেখিত রুটে যাত্রা করবে বাস দুইটি।
ঢাকা/ইয়াছিন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবার বিগ ব্যাশে বাবর আজম
বিশ্ব ক্রিকেটে ব্যাট হাতে বহুবার তোলপাড় করা বাবর আজম এবার অস্ট্রেলিয়ার জমজমাট বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) পা রাখতে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন গুঞ্জনের পর অবশেষে এই পাকিস্তানি তারকাকে নিজেদের স্কোয়াডে টেনে নিয়েছে সিডনি সিক্সার্স। নতুন মৌসুমে (২০২৫) তাকে দেখা যাবে গোলাপি জার্সিতে।
এটাই বাবরের প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশে খেলার অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। সিডনি সিক্সার্সের সঙ্গে তার এই চুক্তিটি হয়েছে প্রি-সাইনিং অপশনের মাধ্যমে, যেখানে প্রতিটি দল আন্তর্জাতিক ড্রাফট শুরুর আগেই একজন বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে নিতে পারে। ১৯ জুন শুরু হতে যাওয়া আন্তর্জাতিক ড্রাফটের আগেই সিক্সার্স বাবরের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করে।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাবরের মতো বিশ্বমানের অভিজ্ঞ একজন টপ অর্ডার ব্যাটারকে পাওয়ার অর্থই হলো দলে গভীরতা ও ভারসাম্য বাড়ানো। এই তারকার সঙ্গে একই দলে থাকছেন স্টিভ স্মিথ, শন অ্যাবটের মতো অভিজ্ঞ অজি খেলোয়াড়রা, যা দলের শক্তিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।
গত মৌসুমে একমাত্র সিডনি সিক্সার্সই ছিল এমন দল, যারা কোনো বিদেশি তারকাকে আগেভাগে দলে নেয়নি। এবার তারা সেই ঘাটতি পূরণ করল বাবরের মতো একজন ক্রিকেট সেনসেশনকে নিয়ে।
তবে বাবরের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেকবার। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে তার জায়গা এখন অনিশ্চিত, ব্যাটেও অনুজ্জ্বল সময় কাটছে। তবু, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নতুন এই চ্যালেঞ্জ বাবরের জন্য এক নতুন দরজা খুলে দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
চুক্তির পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় বাবর জানান, “এটা আমার জন্য দারুণ এক সুযোগ। বিগ ব্যাশ বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি লিগ এবং সিডনি সিক্সার্স একটি সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি। এই দলে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। আমি চাই দলের জয়ে অবদান রাখতে, ভক্তদের ভালোবাসা কুড়াতে এবং এই অভিজ্ঞতা আমার পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে।”
অস্ট্রেলিয়ায় বাবরের প্রথম আগমনকে ঘিরে ইতোমধ্যেই পাকিস্তানি ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইছে। অনেকেই বলছেন, হয়তো এটাই সেই ‘নতুন শুরু’, যেটা বাবরের ক্যারিয়ার আবার উজ্জ্বল করে তুলতে পারে।
ঢাকা/আমিনুল