সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৬৬ জনের নামে বগুড়ায়  হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২০০ জনকে। বুধবার বগুড়া সদর থানায় রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ মামলা করেন। রফিকুল ইসলাম গাবতলী উপজেলার দূর্গাহাটা এলাকার টুল্লু ফকিরের ছেলে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মঈনুদ্দীন।

মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, সাবেক এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুর রহমান দুলু, রফি নেওয়াজ খান রবিন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিস পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক, মাহফুজুল ইসলাম রাজ, শাজাহানপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ছোহরাব হোসেন ছান্নু, আনোয়ার হোসেন রানা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়, নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, অসীম কুমার রায়, আল রাজি জুয়েল, মাশরাফি হিরো, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা, চেয়ারম্যান আবু জাফর, সোহেল, আহসান হাবিব সবুজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত, নাছিমুল বারী নাছিম, জুলকার নাইন, ফিরোজ আহমেদ রিজু, বিউটি বেগম, তৌহিদুর রহমান মানিক, আমিনুল ইসলাম দুদু, রেজ্জাকুল ইসলাম রিজু, হোসাইন শরিফ সঞ্চয়, এস এম রুপম, মহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম শহিদ, বেলাল, আব্দুল গফুর হাজী, এসকেন্দার আলী শাহানা প্রমুখ।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছিল। ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে শহরের কাঁঠালতলা এলাকায় আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনাসহ ৫ নম্বর পর্যন্ত এবং ২৭-২৯ নম্বর আসামিদের হুকুম ও নির্দেশে ৬-৭ নং আসামির নেতৃত্বে বাকি আসামিরা আন্দোলনের ওপর ককটেল নিক্ষেপ, গুলিবর্ষণ ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে বাদীর ছেলের ডান পাশের কোমরে নিচের উরুতে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাদী তার ছেলের চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় মামলা দায়ের করতে বিলম্ব করেছে বলেও উল্লেখ করেন।

এর আগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বগুড়ায় সাতটি হত্যা ও দুটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম র রহম ন আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে নারীর ঘরে আটক পুলিশ সদস্য

রাজশাহীতে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীর ঘর থেকে পুলিশের এক কনস্টেবলকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। এ সময় তারা কালেমা পড়ে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নগরীর তালাইমারি বাদুড়তলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের নগরীর মতিহার থানায় সোপর্দ করা হয়। ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম টি এম নাসির উদ্দিন। তিনি পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের বেইজড ওয়ারলেস অপারেটর।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, কনস্টেবল নাসির উদ্দিন বিবাহিত। সিরাজগঞ্জে তার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। তালাইমারি এলাকার এক তালাকপ্রাপ্ত নারীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে নাসির ওই নারীর বাসায় যান। ওই সময় এলাকাবাসী ও কয়েকজন নামধারী সাংবাদিক তাদের আটক করে। নাসির কালেমা পড়ে ওই নারীকে বিবাহ করেছেন বলে দাবি করেন। তবে বিয়ের কোনো দলিল দেখাতে পারেননি। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

ওসি আব্দুল মালেক বলেন, এ ঘটনায় কনেস্টেবল নাসিরের নামে বিভাগীয় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তাদের বলা হয়েছে রেজিস্ট্রেশন করে বিয়ে করতে হবে। উভয়ের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র এডিসি রাকিবুল হাসান বলেন, বেশকিছু দিন ধরেই তারা একসঙ্গে ছিলেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার নোটিশ করেছে। গত রাতে আটক করার পর তারা বলেছে, কালেমা পড়ে বিয়ে করেছে। বিয়ের দলিল না থাকায় কেউ তাদের কথা বিশ্বাস করিনি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ