ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সরাসরি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার পথে একধাপ এগিয়ে আছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এবার তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে জিতলেই কিংবা পরিত্যক্ত হলে সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পাবে বাংলাদেশ। 

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১২টায় ওয়ার্নার পার্কে উইন্ডিজের বিপক্ষে লড়াইয়ে নামবেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। খেলাটি সরাসরি দেখা যাবে টফিতে।

তিন ম্যাচ সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। যেকোনো সংস্করণে উইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের এটি ছিল প্রথম জয়। সব মিলিয়ে ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে ২১ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তমে। স্বাগতিক ভারতসহ ছয়টি দল সরাসরি বিশ্বকাপে যাবে। 

আরো পড়ুন:

আইসিসির বর্ষসেরা একাদশে পাকিস্তানের ৩, ভারতের নেই কেউ

তবে কী ভাঙছে শেবাগের সংসার? 

সমান পয়েন্ট নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের অবস্থান বর্তমানে ষষ্ঠ স্থানে। বাংলাদেশ যদি আজ জিতে কিংবা ম্যাচটি পরিত্যাক্ত হয় তাহলে নিউ জিল্যান্ডকে টপকে ষষ্ঠ স্থানে চলে যাবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সঙ্গে সঙ্গে প্রথমবারের মতো সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার কৃতিত্ব অর্জন করবে বাংলাদেশের মেয়েরা। 

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে ভর করে ১৮৪ রান করে বাংলাদেশ। তাড়া করতে নেমে নাহিদা আক্তারদের ঘূর্ণিতে ১২৪ রানে থামে উইন্ডিজ। ৬০ রানের বড় জয়ে সিরিজে সমতার সঙ্গে বিশ্বকাপ যাত্রায় এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। 

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম

জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’

তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’

তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’

ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’

সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ