চাঁদপুরে সিএনজিচালকদের ৯ দফা দাবি
Published: 27th, January 2025 GMT
চাঁদপুর শহরে ৯ দফা দাবিতে সিএনজিচালক, মালিক ও শ্রমিকরা অবস্থান কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এ সময় সিএনজিচালক ও মালিকদের ৩টি সংগঠনের প্রায় ১ হাজার ৫০০ নেতাকর্মী ছিলেন।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি হয়।
জানা যায়, যানজট নিরসনে চাঁদপুর পৌর শহরে ১ ফেব্রুয়ারি হতে সিএনজি যাতে প্রবেশ না করে সে নির্দেশনাকে প্রত্যাখ্যান করেন সিএনজিমালিক ও চালকরা। তাই এর প্রতিবাদে মোট ৯ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর তারা স্মারকলিপি দেন। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোহসীন উদ্দিন।
এ সময় চাঁদপুর জেলা জাতীয়তাবাদী সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদল সভাপতি মুকবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হালিম মাতাব্বার, জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রিপন হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন পাঠান, জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম সুমন, সহ-সভাপতি মঞ্জুর আলমসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দাবি:
শহরে নির্বিঘ্নে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে। স্থায়ীভাবে প্রস্তাবিত ২টি স্থানে ছায়াবানির মোড় ও বাইতুল আমিন মসজিদের পিছনে সিএনজি স্ট্যান্ড নির্মাণ করতে হবে। পৌরসভা কর্তৃক অন্যান্য ৫টি সিএনজি স্ট্যান্ডের পার্কিং সাইনবোর্ড স্থাপন করা।যেমন, পাল বাজার সম্মুখে সিএনজির নির্ধারিত ষ্ট্যান্ডে, লেকের পাড় সিএনজি স্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনি ও চালকদের বিশ্রামাগার নির্মাণ করা, ওয়ারলেছে অনুমদিত সিএনজি স্ট্যান্ডে সাইন বোর্ড স্থাপন করা, বাবুরহাট মতলব রোডের মাথায় সিএনজি স্ট্যান্ডে পার্কিং সাইন বোর্ড স্থাপন করা, আদালত/কোর্টের সামনে সিএনজি স্ট্যান্ডে পার্কিং সাইনবোর্ড স্থাপন করাসহ অন্যান্য সব উপজেলায় সিএনজি অটোরিকশার জন্য ষ্ট্যান্ড নির্মাণ করা। বাসষ্ট্যান্ড বিষ্ণুদী রোডের মাথায় সড়ক ভবন সংলগ্ন সিএনজি পার্কিং স্ট্যান্ড সাইনবোর্ড স্থাপন করা, রিকোজিশান/থানায় ডিউটিরত সিএনজি চালকদের বেতন খোরাকি প্রদান করা। ইদানিং কালে ব্যাপক চুরি ছিনতাই বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমাদের সিএনজি অটোরিকশা মালিক শ্রমিকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। চুরি হওয়া সিএনজি দ্রুত উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, বিআরটিএ কর্তৃক সিএনজি অটোরিকশাচালক ও অন্যান্য চালকদের সহজ শর্তে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা,স্ট্যান্ড টার্মিনাল ব্যতিত ফরিদগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক অবৈধ টোল আদায় বন্ধ করা, মতলব ব্রিজ টোল আদায় বন্ধ করা।
ঢাকা/জয়/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স এনজ চ ল চ লকদ র
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস
স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’
সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
অনাহারে মৃত্যু ১৫৪গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।
গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।
ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।
বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।
গাজায় স্টিভ উইটকফশুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।