চাঁদপুর শহরে ৯ দফা দাবিতে সিএনজিচালক, মালিক ও শ্রমিকরা অবস্থান কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এ সময় সিএনজিচালক ও মালিকদের ৩টি সংগঠনের প্রায় ১ হাজার ৫০০ নেতাকর্মী ছিলেন।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি হয়।

জানা যায়, যানজট নিরসনে চাঁদপুর পৌর শহরে ১ ফেব্রুয়ারি হতে সিএনজি যাতে প্রবেশ না করে সে নির্দেশনাকে প্রত্যাখ্যান করেন সিএনজিমালিক ও চালকরা। তাই এর প্রতিবাদে মোট ৯ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর তারা স্মারকলিপি দেন। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোহসীন উদ্দিন।

এ সময় চাঁদপুর জেলা জাতীয়তাবাদী সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদল সভাপতি মুকবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হালিম মাতাব্বার, জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রিপন হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন পাঠান, জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম সুমন, সহ-সভাপতি মঞ্জুর আলমসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

দাবি:
শহরে নির্বিঘ্নে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে। স্থায়ীভাবে প্রস্তাবিত ২টি স্থানে ছায়াবানির মোড় ও বাইতুল আমিন মসজিদের পিছনে সিএনজি স্ট্যান্ড নির্মাণ করতে হবে। পৌরসভা কর্তৃক অন্যান্য ৫টি সিএনজি স্ট্যান্ডের পার্কিং সাইনবোর্ড স্থাপন করা।যেমন, পাল বাজার সম্মুখে সিএনজির নির্ধারিত ষ্ট্যান্ডে, লেকের পাড় সিএনজি স্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনি ও চালকদের বিশ্রামাগার নির্মাণ করা, ওয়ারলেছে অনুমদিত সিএনজি স্ট্যান্ডে সাইন বোর্ড স্থাপন করা, বাবুরহাট মতলব রোডের মাথায় সিএনজি স্ট্যান্ডে পার্কিং সাইন বোর্ড স্থাপন করা, আদালত/কোর্টের সামনে সিএনজি স্ট্যান্ডে পার্কিং সাইনবোর্ড স্থাপন করাসহ অন্যান্য সব উপজেলায় সিএনজি অটোরিকশার জন্য ষ্ট্যান্ড নির্মাণ করা। বাসষ্ট্যান্ড বিষ্ণুদী রোডের মাথায় সড়ক ভবন সংলগ্ন সিএনজি পার্কিং স্ট্যান্ড সাইনবোর্ড স্থাপন করা, রিকোজিশান/থানায় ডিউটিরত সিএনজি চালকদের বেতন খোরাকি প্রদান করা। ইদানিং কালে ব্যাপক চুরি ছিনতাই বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমাদের সিএনজি অটোরিকশা মালিক শ্রমিকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। চুরি হওয়া সিএনজি দ্রুত উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, বিআরটিএ কর্তৃক সিএনজি অটোরিকশাচালক ও অন্যান্য চালকদের সহজ শর্তে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা,স্ট্যান্ড টার্মিনাল ব্যতিত ফরিদগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক অবৈধ টোল আদায় বন্ধ করা, মতলব ব্রিজ টোল আদায় বন্ধ করা।

ঢাকা/জয়/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স এনজ চ ল চ লকদ র

এছাড়াও পড়ুন:

দেশবাসী দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চায়: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষ ২০ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি এবং নতুন প্রজন্মও ভোট দিতে পারেনি। তাই, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চায়। 

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক পথেই এগিয়ে যাবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের যে ত্যাগ, সে পথেই দেশ অগ্রসর হবে।

প্রধান উপদেষ্টার মতো বিএনপিও রোজার আগে বিচার ও সংস্কারের অগ্রগতি চায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সংস্কারের বিষয়টি ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল। এ বিষয়ে ড. ইউনূস, তারেক রহমান এবং বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দ আগেই বলেছেন।

তিনি মনে করেন, ঐকমত্য হতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।

বিচার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বিচার বিভাগের ওপর নির্ভর করে। বিচার বিভাগ বিচার করবে এবং বিচারের আওতায় আনারও বিষয় আছে। যারা বিচারের আওতায় আসবে, তার জন্য আরো প্রায় ছয় মাস সময় আছে। আর যারা এর মধ্যে আসবে না, তাদের জন্য তো আগামী সরকার আছে।

সরকারের কি এখন নির্বাচনমুখী কর্মকাণ্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়া দরকার আছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আর কোনো পথ নেই। এ বিষয়ে সবাই ঐকমত্য পোষণ করছেন।

জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির অভিযোগ, একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকার বিশেষ সম্পর্ক করছে, বিএনপি বিষয়টি কীভাবে দেখছে? এ প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, “আমি একটা জিনিস মনে করি, আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তাহলে এখানে সবার মতামত নেওয়ার সুযোগ আছে। সুতরাং, সবাই তাদের মতামত দিতে পারে। আমার মনে হয়, এটাই আমাদের গণতন্ত্রের বড় পাওয়া, সবাই নিজেদের মতামত দেবে। এর মধ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”

বিএনপি এত দিন ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও এখন কেন ফেব্রুয়ারিতে গেল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক সময়। এবং এত সময়ও লাগার কোনো কারণ নেই। বিএনপি আগে ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব সমস্যার সমাধান করে নির্বাচনের কথা বলেছে। সুতরাং, ফেব্রুয়ারি আরো দীর্ঘ সময়। তবে, যদি ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হয়, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

আমীর খসরু বলেন, “আমি আগেও বলেছি, যত বেশি ঐকমত্যের মাধ্যমে আমরা নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারব, সেটা জাতির জন্য তত ভালো। আমরা যে ঐকমত্যের মধ্যে এসেছি, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়।”

তিনি আরো বলেন, “ঐকমত্য থাকার ফলেই আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় করতে পেরেছি। সুতরাং, আমরা চেষ্টা করব, যেখানেই সম্ভব ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব।”

তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠকে নির্বাচনে নিরপেক্ষতার বিষয়ে কোনো আলোচনা বা বার্তা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখনই নির্বাচন শুরু হবে, তখনই সরকার নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের ধারণা হলো— একটি নিরপেক্ষ সরকার। সুতরাং, নির্বাচনে সেই নিরপেক্ষতা সরকার নিশ্চিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বৈঠকে সংস্কারের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান বলেছেন, এখানে যতটুকু ঐকমত্য হবে, সংস্কারও ততটুকুই হবে। বাকি অংশটা নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির কাছে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। এটি এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না, নির্বাচনের পরেও এটি চলমান থাকবে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ