বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংগীত স্বীকৃতি গ্র্যামি। যা গত ৬৬ বছর ধরে প্রদান করে আসছে। যথারীতি এবারও সেই প্রস্তুতি প্রায় শেষ। গত নভেম্বরেই ঘোষণা হয়েছে মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ও অনুষ্ঠানের তারিখ। মাঝে লস অ্যাঞ্জেলেসে ঘটা ইতিহাসের ভয়াবহ দাবানলের কারণে এ অনুষ্ঠান পেছাতে পারে বলেও ধারণা করা হয়েছিল। অবশেষে জানা গেল, অনিশ্চয়তা ছাপিয়ে নির্দিষ্ট তারিখেই ২ মার্চ ৬৭তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের আসর বসতে যাচ্ছে লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্রিপ্টো ডটকম অ্যারেনায়। তবে অনুষ্ঠান আয়োজনে থাকছে ব্যতিক্রম বিষয়।
আয়োজকরা এর মধ্যে জানিয়েছেন, এবারের আয়োজনে শুধু সংগীতের আনন্দই ঘিরে থাকছে না, থাকবে আগুনে পোড়া বিষণ্নতা আর সেই ছাইচাপা শহরটাকে ফের সবুজে ফেরানোর যৌথ সংকল্প ও উদ্যোগ। সম্প্রতি আয়োজন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন সংগীতের এই মর্যাদাপূর্ণ আসরে গাইবেন কারা।
জানা গেছে, ২৫ বছর বয়সী মার্কিন গায়িকা এবার গ্র্যামির মঞ্চ মাতাবেন তরুণ মার্কিন গায়িকা সাবরিনা কার্পেন্টার। গত বছর বিশ্বসংগীতে নাটকীয় উত্থান ঘটেছে ‘এসপ্রেসো’, ‘প্লিজ প্লিজ প্লিজ’, ‘গুড লাক, বেবি’র মতো গান গাওয়া এই কণ্ঠশিল্পী। এ বছরে গ্র্যামিতে এই কণ্ঠশিল্পী একাধিক বিভাগে মনোনয়নও পেয়েছেন।
সাবরিনা ছাড়াও এবারের আসরে গান পরিবেশন করবেন ব্রিটিশ তারকা চার্লি এক্সসিএক্স। তিনি গাইবেন গত বছরে প্রকাশ হওয়া তাঁর ষষ্ঠ স্টুডিও অ্যালবাম ‘ব্র্যাট’-এর গানগুলো। এবারের আসরে সাত মনোনয়ন পেয়েছেন চার্লি। গত বছর আলোচিত তরুণ গায়ক বেনসন বুন।
২২ বছর বয়সী এই শিল্পীর অ্যালবাম ফায়ারওয়ার্কস অ্যান্ড রোলারব্লেডস মুক্তির পর বিশ্বজুড়ে তরুণদের রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছিল। তাঁকেও পারফর্ম করতে দেখা যাবে এবারের আসরে। এ ছাড়াও থাকছে আরও দুই তরুণ গায়িকা রে ও ডোচির পারফরম্যান্স। আরেক আলোচিত গায়িকা বিলি আইলিশও গাইবেন। তিনিও এবারের আসরে সাত মনোনয়ন পেয়েছেন। তরুণ শিল্পীরা ছাড়াও থাকবে শাকিরা, টেডি সুইমসের গান।
গ্র্যামিতে এবার সর্বোচ্চ ১১টি মনোনয়ন পেয়েছেন বিয়ন্সে। বিয়ন্সে এবারের আসরে পারফর্ম করবেন কিনা, নিশ্চিত নয়। এবারের গ্র্যামি সঞ্চালনা করবেন কমেডিয়ান ট্রেভর নোয়া।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’