আহসান ভাটিকে ছক্কা হাঁকিয়ে বাউন্ডারি পার করলেন রায়ান বার্ল। সঙ্গে সঙ্গে সিলেট স্ট্রাইকার্সের রান টপকে যায় দুর্বার রাজশাহী। ড্রেসিংরুমের সামনে অধিনায়ক তাসকিন আহমেদকে জড়িয়ে সতীর্থরা মেতে ওঠেন উদযাপনে।

একটু বাড়তি উদযাপন তো করার কথাই। ক্রিকেটারদের পাওনা বুঝিয়ে না দিতে পারার দুর্নামের মাঝে টানা দুই জয়ে শেষ চারের দৌড়ে টিকে রইলো রাজশাহী। ১২ ম্যাচে দলটি পয়েন্ট ১২। পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান তিনে। 

দুই ম্যাচ বাকি থাকা খুলনা টাইগার্স যদি শেষ দুই ম্যাচের একটিতে হারে প্লে’অফে চলে যাবে রাজশাহী। তিন ম্যাচ বাকি থাকা চিটাগং কিংস আছে চতুর্থ স্থানে। তাদের পয়েন্ট ১০। প্লে’অফের দুটি স্থানের জন্য লড়াই করবে খুলনা-চিটাগং-রাজশাহী। আগেই নিশ্চিত করেছে রংপুর-বরিশাল। ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পাওয়া ঢাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

আরো পড়ুন:

প্লে’অফের দৌড়ে রাজশাহীর সামনে সুবর্ণ সুযোগ

‘টাকা থাকলে দল নেবে, না থাকলে নেবে না’—বলছেন মালান

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ১১৭ রান করে সিলেট। তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট হাতে রেখে ১৯ বল আগেই ম্যাচ জিতে রাজশাহী।

৩৪ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন রায়ান বার্ল। ২টি ছক্কা ও ৫টি চারে সাজান ইনিংস। ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর আকবরকে সঙ্গে নিয়ে খেলার হাল ধরেন বার্ল। আকবর ৪৩ রান করে আউট হন শেষ মুহুর্তে। সিলেটের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন তানজীম হাসান সাকিব-জন রস। 

এর আগে শেষ তিন ওভারে ৪১ রান নিয়ে শতরান পার হতে পারে প্লে’অফ থেকে ছিটকে যাওয়া সিলেট।

১১ বলে ১টি ছয় ও ২টি চারের মারে সুমন খান ২০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এ ছাড়া আহসান ভাটি ২১ বলে ২৫ ও জাকির হাসান ২৫ বলে ২৪ রান করেন। জাকের আলী ১৮ বলে ১৭ রান করেন।

শুরু থেকে উইকেটের মিছিলে বিপর্যস্ত ছিল সিলেট। ৭২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে। চার ব্যাটার ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরের মুখ দেখেননি।

রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেনে এসএম মেহরব। ৩ উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

র‍্যাংকিংয়ে মিরাজ-জাকেরদের অগ্রগতি

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে দারুণ পারফর্ম করলেও এখনও টেস্ট র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষ ২০-এ জায়গা হয়নি কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের। তবে দলগতভাবে বেশ কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেছে। ব্যাটিংয়ে উন্নতি করেছেন জাকের আলী, শান্ত ও মুমিনুল, বোলিংয়ে বড় ধাপ এগিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

বাংলাদেশের হয়ে সিরিজ সেরা মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ব্যাটে সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুই ম্যাচে ১৫ উইকেট তুলে নিয়ে ৪ ধাপ এগিয়ে এখন তিনি বোলিং র‍্যাংকিংয়ে ২৬তম স্থানে। অলরাউন্ডার র‍্যাংকিংয়ে তিনি এখন আছেন তিন নম্বরে।

ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত উন্নতি হয়েছে জাকের আলী, শান্ত ও মুমিনুল হকের। দুটি ইনিংসে ৫৬ ও ৪৭ রান করে মুমিনুল এগিয়েছেন ৫ ধাপ, এখন অবস্থান ৪৮তম। জাকের আলী এগিয়েছেন ১০ ধাপ, অবস্থান ৫০তম। শান্ত ৪ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৫৩তম স্থানে।

অন্যদিকে সিরিজে অসাধারণ পারফর্ম করে জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি উঠে এসেছেন র‍্যাংকিংয়ের সেরা ১৫ বোলারের তালিকায়। প্রয়াত হিথ স্ট্রিকের পর তিনিই প্রথম জিম্বাবুইয়ান বোলার হিসেবে টেস্ট রেটিংয়ে ছুঁয়েছেন ৭০০ পয়েন্টের মাইলফলক। বাংলাদেশ সফরেই তার এই অর্জন। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান বেনেট দুই ইনিংসে ৫৭ ও ৫৪ রান করে প্রথমবারের মতো ব্যাটিং র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষ ১০০-র মধ্যে ঢুকেছেন।

বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এখনও তালিকায় আছেন লিটন দাস, যদিও সিরিজে না থাকায় তিনি এক ধাপ পিছিয়ে যৌথভাবে এখন ৩৭তম। ফর্মহীনতায় ভোগা মুশফিকুর রহিম নেমে গেছেন ৪০তম স্থানে। বোলিং র‍্যাংকিংয়ে মিরাজের আগেই আছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম, যার অবস্থান ২৩তম। এছাড়া সাকিব আল হাসান এখনো শীর্ষ ৫০-এ আছেন, তাসকিন আহমেদ রয়েছেন ৫১ নম্বরে।

অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে জায়গা ধরে রেখেছেন সাকিব আল হাসান, যিনি দীর্ঘদিন ধরেই এই তালিকার নিয়মিত মুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ