ওয়ানডে সিরিজ হারের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও বাজে শুরু করল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেটের বড় পরাজয় বরণ করেছে নিগার সুলতানার দল। এই হারের ফলে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে টাইগ্রেসরা।  

টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লাল-সবুজের দল সংগ্রহ করে ১৪৪ রান। জ্যোতির ব্যাট থেকে আসে দলের সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংস। ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো এই ইনিংসে তার স্ট্রাইকরেট ছিল ১৩৩-এর বেশি। শারমিন আক্তার সুপ্তার ৪১ বলে ৩৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস বাংলাদেশকে লড়াইয়ের মতো পুঁজি গড়তে সহায়তা করে।  

জবাবে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ১৬.

৫ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অধিনায়ক হেইলি ম্যাথুজ ৫৪ বলে অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। ৭টি চারের মার দিয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি। তার সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন দিয়ান্দ্রা ডটিন, যিনি করেন ২২ বলে ৫১ রান।

ওপেনার কিয়ানা জোসেফও শুরুতে ২১ বলে ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলের ভিত্তি গড়ে দেন।  বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র বোলার হিসেবে ফাহিমা খাতুন ২টি উইকেট নেন। তবে তার বোলিংয়েও উইন্ডিজের ব্যাটাররা জয়ের পথে কোনো বাধা তৈরি হতে দেননি।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি নেতাকে মারধর, খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি কারাগারে

খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাসান আল মামুন। খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে আদালত চত্বরে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম ও পচা আম নিক্ষেপ করেন। তার শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। পরে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেন সেনা সদস্যরা। 

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম বলেন, মামলাটিতে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার খুলনা মহানগর দায়রা জজ  আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি মামুন নিজেই
ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ফখরুল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ