সোনালী ব্যাংকের লালমনিরহাট সদরের বড়বাড়িহাট শাখায় ছয় ফুট গভীর গর্ত খুঁড়ে চুরির চেষ্টা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরীদের গর্ত খোঁড়ার বিষয়টি নজরে আসে। তবে ব্যাংক থেকে কোনো টাকা খোয়া গেছে কি না, তা জানা যায়নি। 

এ ঘটনা তদন্তে রংপুর সোনালী ব্যাংকের বিভাগীয় অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মামুন-উর-রশিদ হেলালীর নির্দেশে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। 

এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে বড়বাড়িহাট সোনালী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত শাখা ব্যবস্থাপক রাজু মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

স্থানীয়রা জানায়, ব্যাংকের পেছেনের দেয়াল ঘেঁষে একটি সুড়ঙ্গ তৈরি করেন দুর্বৃত্তরা। ওই সুড়ঙ্গ দিয়ে ব্যাংকের ভোল্ড ঘরের পূর্ব পাশে রেকর্ড রুমে প্রবেশের চেষ্টা করে তারা। নিরাপত্তা প্রহরীরা টের পেয়ে চিৎকার করলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ব্যাংকের ভেতরে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও বাইরে ছিল না। 

স্থানীয়রা আরও জানায়, বছর পাঁচেক আগে এই শাখায় দুর্বৃত্তরা ছাঁদ কেটে ব্যাংকের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। 
 
নিরাপত্তা প্রহরী আসাদুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ব্যাংকের রেকর্ডরুমে  প্রবেশ করলে বড় একটি গর্ত দেখতে পাওয়া  যায়। পাশেই লোহার জগ ও শাবল পড়ে ছিল। ঘটনা আঁচ করতে পেরে তিনি ব্যাংক ব্যবস্থাপককে ফোন করেন। এসময় তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে চোরের দল পালিয়ে যায়। পরে দেওয়ালের পিছনে গিয়ে বড় একটি সুড়ঙ্গের সন্ধান মেলে। সেখানে ড্রিল মেশিন, করাতসহ বিভিন্ন সামগ্রী পড়ে ছিল। 

শাখা ব্যবস্থাপক রাজু মিয়া জানান, বড় একটি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছে ব্যাংকটি। এই শাখা থেকে কোন টাকা পয়সা ও জরুরি কাগজ খোঁয়া যায়নি। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

১০ ও ১১ মে সিটি ব্যাংকের সব সেবা বন্ধ থাকবে

ডেটা সেন্টার স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করতে লেনদেনসহ সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম দুই দিন বন্ধ রাখবে সিটি ব্যাংক। আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ব্যাংকটিকে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, ডেটা সেন্টার স্থানান্তর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সিটি ব্যাংককে সম্মতি দেওয়া হলো।

১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করা সিটি ব্যাংকের গ্রাহক গত বছর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখে। ২০০৭ সালে ব্যাংকটির গ্রাহক ছিল ৬৮ হাজার। ব্যাংকটির কর্মকর্তার সংখ্যা এখন ৫ হাজার ৩২১ জন। দেশের সবচেয়ে বেশি সাত লাখ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক রয়েছে সিটি ব্যাংকের। ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ডের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। গত বছর শেষে ব্যাংকটির আমানত বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। আর ঋণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। গত বছর শেষে হাজার কোটি টাকা মুনাফার মাইলফলক ছুঁয়েছে সিটি ব্যাংক। ব্যাংকটি গত বছর শেষে সমন্বিত মুনাফা করেছে ১ হাজার ১৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত মুনাফার পরিমাণ ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ