৬০ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
Published: 29th, January 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে ৬০ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের গন্ধরাবপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম জুয়েল মিয়া (৪০)। তিনি উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আউশ মিয়ার ছেলে।
ডিবি পুলিশ জানায়, ভারত থেকে গাঁজা নিয়ে আসার সময় একদল মাদক পাচারকারীকে ধাওয়া করে ডিবি সদস্যরা। এ সময় বাকিরা পালিয়ে গেলেও আটক করা হয় জুয়েল মিয়াকে।
হবিগঞ্জ ডিবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নন্দন কান্তি ধর বলেন, ‘‘অভিযানে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৯ লাখ টাকা। গ্রেপ্তার জুয়েলের বিরুদ্ধে ৮-১০টি মাদক ও ডাকাতি মামলা রয়েছে। এছাড়া, তিনি একটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে এখন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরো একটি মামলা হবে।’’
ঢাকা/আজহারুল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তালাকপ্রাপ্ত নারীর ঘরে আটক পুলিশ সদস্য বললেন, ‘কালিমা পড়ে বিয়ে করেছি’
রাজশাহীতে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীর ঘর থেকে পুলিশের এক কনস্টেবলকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর তালাইমারি বাদুড়তলা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম টি এম নাসির উদ্দিন। তিনি পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের বেইজড ওয়ারলেস অপারেটর। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত তিনি নগরীর মতিহার থানায় ছিলেন।
ওই কনস্টেবলের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। সেখানে তার স্ত্রী-সন্তান আছে। যে নারীর ঘরে তাকে পাওয়া গেছে তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।
কনস্টেবল নাসির দাবি করেন, আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি ওই নারীকে কালেমা পড়ে বিয়ে করেছেন।
মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, ‘‘তালাকপ্রাপ্ত নারী তার মায়ের বাড়িতেই থাকতেন। সেখানে রাতে আমাদের কনস্টেবল যান। তখন স্থানীয়রা দুজনকে ঘরে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। আমরা গিয়ে তাদের থানায় এনেছি।’’
ওসি বলেন, ‘‘কনস্টেবল দাবি করেছেন, তিনি কালেমা পড়ে ওই নারীকে বিয়ে করেছেন। আগের স্ত্রীও বিষয়টি অবগত। তবে, বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি নেই। এখন তিনি রেজিস্ট্রি করে নিতে চাচ্ছেন। দুজনে থানায় আছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’
‘‘এক্ষেত্রে, কনস্টেবল নাসিরের আগের স্ত্রীর কোনো আপত্তি থাকলে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবেন।’’- যোগ করেন ওসি আবদুল মালেক।
রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘‘বিষয়টা আমার জানা নাই। এ রকম হয়ে থাকলে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/কেয়া/রাজীব