সাড়ে ১৩ ঘণ্টা পর বরিশালে বাস-শ্রমিক মালিক ও জেলাপ্রশাসকের সাথে বৈঠকে দাবি মেনে নেওয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন শ্রমিকরা। এরপর থেকেই বরগুনা-ঢাকাসহ বরগুনার সাথে সারাদেশের বাস চলাচল শুরু হয়েছে। 

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে সাতটায় ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা বাস মালিক- শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা কবির হোসেন। 

ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বরগুনার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারগুলো। 

ইমরান পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার বাপ্পি মিয়া বলেন, “সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। রাত সাড়ে সাতটার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর থেকেই যাত্রীদের ভিড় দেখা দিয়েছে। রাত সাড়ে আটটা থেকে প্রথম সারাদেশের বাস চলাচল শুরু হবে।” 

বরগুনা বাস মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, “বরিশালে নেতৃবৃন্দের সাথে প্রশাসনের ও শিক্ষার্থীদের বৈঠক শেষে প্রশাসন নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার পর আমরা বরিশাল বিভাগের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছি। রাত সাড়ে আটটা থেকে সারাদেশে বাস চলাচল শুরু হবে। টিকিট বিক্রি চলছে।” 

তিনি আরও বলেন, “বাস শ্রমিক ও বাসের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা বাধ্য হয়ে ধর্মঘট দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেছিলাম সকাল থেকে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের জান-মালের স্বার্থে ধর্মঘটের বিকল্প ছিল না। তারপরও যাত্রী ভোগান্তির কারণে আমরা ক্ষমা চাচ্ছি।” 

প্রসঙ্গত, বরগুনা-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন অন্তত দেড় শতাধিক বাস চলাচল করে।

ঢাকা/ইমরান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য না করার নির্দেশনা সিলেট জেলা বিএনপির

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য কিংবা তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি। দলের কেউ এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম।
এদিকে দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার–বহিভূর্ত মন্তব্য করায় গতকাল রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদুর রহমানকে (আছকির) সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে জেলা বিএনপি। এ ছাড়া অনলাইন গণমাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ার জন্য জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফখরুল ইসলামকে (ফারুক) সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট জেলা বিএনপির আওতাধীন কিছু ইউনিটের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কার্যক্রমে অনভিপ্রেত ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বনাথ উপজেলা, বিশ্বনাথ পৌরসভা ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, কটূক্তি ও বিভাজন সৃষ্টিকারী পোস্ট প্রচারিত হয়েছে। যা দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের পরিপন্থী।

বিএনপি সব সময় সংগঠনের ঐক্য, শালীনতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি বিশ্বাস করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দলের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর কাছ থেকে বিভেদমূলক আচরণ, বিদ্বেষ ছড়ানো বা প্রকাশ্যে অপপ্রচার কখনোই কাম্য নয়। অতএব জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটের নেতা-কর্মীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে, যেন ভবিষ্যতে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য বা শেয়ার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন।

যোগাযোগ করলে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু নেতা-কর্মীকে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জেলা বিএনপি একটি নির্দেশনা দিয়েছে। তা অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ