বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে টিভি উৎপাদনে বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে আসছে ওয়ালটন। গ্রাহকদের জন্য নিশ্চিত করছে সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা। এরই ধারাবাহিকতায় টিভি সার্ভিসিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রকৌশলী, টেকনিশিয়ান ও সংশ্লিষ্টদের জন‌্য মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।

কর্মশালার মাধ্যমে বিভিন্ন স্তরের সব সার্ভিস প্রকৌশলীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে এবং সার্ভিসিংয়ে দক্ষতা বাড়াতে অংশগ্রহণকারীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, কর্মশালায় সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা আরো বৃদ্ধি, সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে গ্রাহকদের সঙ্গে কথোপকথন ও আচার-আচরণসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। 

গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে গত ২৮ জানুয়ারি শুরু হয়েছে ‘টিভি সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার কারিগরি এবং সফট স্কিল প্রশিক্ষণ কর্মশালা-২০২৫’। ওয়ালটন ট্রেইনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং টিভি সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালা ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী বিভিন্ন ব্যাচে চলবে। 

প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন প্রসঙ্গে ওয়ালটনের ট্রেইনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের কর্মকর্তা রওশন আলী বুলবুল বলেছেন, “টিভি সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারদের সুপ্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশব্যাপী গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

ওয়ালটনের টিভি সার্ভিসের প্রধান ব্রজগোপাল কর্মকার জানিয়েছেন, বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সকল পর্যায়ের সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যই প্রতি বছরের মতোই এ কর্মশালার আয়োজন। পাশাপাশি, সার্ভিস ইঞ্জিনিয়াররা যাতে সার্ভিস দিতে আরো পারদর্শী ও মেরামতের ব্যাপারে নিজে সচেতন হন এবং গ্রাহকদের ভালো সার্ভিস দিতে পারেন, সেজন্য এ উদ্যোগ।

প্রশিক্ষণ সম্পর্কে চিফ সার্ভিস অফিসার নিয়ামুল হক বলেছেন, “গ্রাহকসন্তুষ্টিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সার্ভিস দিতে আমাদের এ কার্যক্রম বছরব্যাপী চলবে।”

প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পর্কে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বলেছেন, “ওয়ালটন শুধু পণ্য বিক্রয়ই করে না, গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রাহকদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন উন্নত সেবা দিতেই বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা ওয়ালটন সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারদের উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেওয়ার এ উদ্যোগ। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা ও সক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে।”

গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টির জন্য তিন দিনের মধ্যে সার্ভিস সম্পন্ন করার লক্ষ্যে টিভি সার্ভিস সেকশন কাজ করছে। এ কর্মশালায় সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারদের যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তা গ্রাহকসন্তুষ্টি বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা করছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র হকদ র

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।

সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।

জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।

তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।

এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ  রিকোভারীবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ