সদর উপজেলার গোগনগর এলাকায় বিদ্যুতের তার চুরির হিড়িক পড়েছে। গত কয়েক মাসে অত্র এলাকার রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বাসা বাড়ির বিদ্যুতের তার চুরি হয়েছে একাধিকবার।

পুলিশে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান মিলছে না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। তাই বিদ্যুতের তার চুরি বন্ধ করতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে গোগনগর এলাকায় অবস্থিত সাইন ফ্লেক্সি প্যাক নামক একটি শিল্প কারখানার বিদ্যুতের তার চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে করে শনিবার কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ফ্যাক্টরির সিসি ক্যামেরায় চোরের ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে বলে জানান ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ। 

প্রতিষ্ঠানের মালিক বিষ্ণুপদ সাহা জানান, শুক্রবার ফ্যাক্টরি বন্ধ ছিলো। এ সুযোগে ফ্যাক্টরির বিদ্যুতের তার চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। শনিবার আমরা এসে দেখতে পাই বিদ্যুতের তার চুরি করে নিয়ে গেছে তাই আজকে আমরা উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করতে পারিনি। এতে আমাদের অনেক ব্যবসায়ীক ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের পাশে আরেকটা ফ্যাক্টরি নাম প্লাস্টিক টাচ ইন্ডাস্ট্রিজ। এটা একটা রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান। এই কারখানার বিদ্যুতের তারগুলো গত কয়েকদিন পূর্বে চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। এখনো সেই চোরকে ধরা সম্ভব হয়নি। আমাদের ধারণা এগুলো সব একই সিন্ডিকেটের কাজ। একজনকে ধরতে পারলে সবগুলোর খবর বের করা যাবে। তাই এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, শুধুমাত্র শিল্প কারখানা নয়, গত কয়েক মাসে এ এলাকায় অনেক বসতবাড়ির বিদ্যুতের তারও চুরি হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে কিন্তু পুলিশ এখনো কোন চোরকে ধরতে পারেনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরউদ্দিন বলেন, আমি এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। গত কিছুদিন পূর্বে একটা অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। পরে জানতে পারলাম সেটা ফতুল্লা থানার অন্তর্গত। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ