কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীনের সবশেষ অবস্থা জানালেন মেয়ে
Published: 3rd, February 2025 GMT
বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত শনিবার ভোরে হাসপাতালে ভর্তি হন দেশের । প্রাথমিকভাবে আইসিইউতে নেওয়া হলেও অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় তাকে কেবিনে রাখা হয়েছে।
ফরিদা পারভীনের সবশেষ অবস্থা জানিয়ে গণমাধ্যমে এমনটাই জানালেন শিল্পীর মেয়ে জিহান ফারিহা। তিনি জানান, ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থা এখন বেশ ভালো। দ্রুতই তাকে বাসায় নেওয়া হবে। তার কথায়, ‘হাসপাতালে ভর্তির সময়ই বাড়তি সতর্কতার জন্য আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। এখন তেমন কোনো জটিলতা নেই।’
এর আগে ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম জাফর নুমানি ফেসবুকে দেওয়া এক বার্তায় লিখেছিলেন, ‘কয়েকটি শারীরিক জটিলতা নিয়ে আমার আম্মা ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আম্মা অনেক দিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। এ ছাড়া আম্মার ফুসফুসে খানিকটা পানি জমেছে এবং কিছুটা নিউমোনিয়ার সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে আলহামদুলিল্লাহ অবস্থার অনেকটাই উন্নতি লক্ষ করা গেছে। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে পর্যবেক্ষণরত অবস্থায় আছেন। আমরা ছেলে-মেয়েরা সার্বক্ষণিক তার সঙ্গে অবস্থান করছি।’
জানা গেছে, বর্তমানে বক্ষব্যাধি, কিডনি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে আছেন এই গায়িকা। আর তার চিকিৎসার দায়িত্ব আছেন ডা.
উল্লেখ্য, ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। এ ছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডে চার নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রূপসী কাজীপাড়া এলাকার জৈনপুরী আশরাফিয়া টেক্সটাইল কারখানায় (মঞ্জু টেক্সটাইল) এ ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মে দিবসের কারণে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ। এ জন্য লাইনে গ্যাসের উচ্চ চাপ সৃষ্টি হয়ে মিটারে বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে আগুন ধরে চারজন নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
এ ঘটনায় দগ্ধ আবদুল হান্নান (৫০), কবির হোসেন (৪৫) ও সাইফুল ইসলামকে (২৫) রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ অন্যজনের নাম জানা যায়নি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
হাসপাতালের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনের শরীরের ৩৪ থেকে ৫৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাতের ডিউটি (দায়িত্ব) শেষে সকাল আটটার দিকে শ্রমিকেরা কারখানা ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস কক্ষে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। তখনই চারজন দগ্ধ হন। পরে কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ দাবি করে কারখানার মালিক মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পর আপাতত কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের সব চিকিৎসার ব্যয় কারখানা থেকে বহন করা হবে। তাঁদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।