ময়মনসিংহে শিশু ভ্যান চালককে গলাকেটে হত্যা
Published: 3rd, February 2025 GMT
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় মো. রিফাত (১২) নামে এক শিশু চালককে গলাকেটে হত্যা করে ভ্যানগাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। নিখোঁজের ছয় দিন পর সোমবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বড়গ্রাম ইউনিয়নের নরকোনা গ্রামের একটি সরিষা খেত থেকে মাটি খুঁড়ে তার বস্তাবন্দি গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রিফাত উপজেলার কাতলসার গ্রামের মো.
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি বিকেলে পাশের বাড়ির এক ব্যক্তির অটোভ্যান নিয়ে ভাড়ায় চালানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় রিফাত। সে তার মাকে ভ্যানে করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার পর সন্ধ্যায় আবার বেরিয়ে যায়। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল।
পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে ২৯ জানুয়ারি নিহতের বড় ভাই আরিফ হোসেন মুক্তাগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অনুসন্ধান চালিয়ে রোববার রাতে উপজেলার জয়রামপুর এলাকা থেকে মো. শাহেদের ছেলে মো. মিরাজ (১৭) নামের একজনকে আটক করে।
গ্রেপ্তারকৃত মিরাজ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে, সে রিফাতকে একটি ধানের মিলের খলায় নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে এবং ভ্যানগাড়িটি ছিনতাই করে। পরে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে বস্তায় ভরে সরিষা ক্ষেতে গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে রাখে।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে সোমবার নরকোনা গ্রামের সরিষা খেত থেকে মাটি খুঁড়ে রিফাতের মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, নিখোঁজের জিডি হওয়ার পর থেকেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। একজনকে আটক করার পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুর সীমান্তে গভীর রাতে আলো নিভিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
দিনাজপুরে বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ৯ শিশুসহ ১৫ জন জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের অচিন্তপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে তাঁদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
বিজিবির ফুলবাড়ী ২৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ বি এম জাহিদুল করিম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাহিদুল করিম জানান, গতকাল রাত আড়াইটার দিকে অচিন্তপুর সীমান্তের ২৮৫ নম্বর সীমানা পিলার এলাকায় হঠাৎ আলো নিভিয়ে দেয় বিএসএফ। এ সময় সেখানে বিজিবি সদস্যরা নিয়মিত টহলে ছিলেন। একপর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা ১৫ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেন। পরে বিজিবি ২৯ ফুলবাড়ী ব্যাটালিয়নের আওতায় অচিন্তপুর বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের আটক করে বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। আটক ১৫ জনের মধ্যে ৩ জন নারী ও ৩ জন পুরুষ, বাকিরা শিশু। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা সবাই নড়াইলের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ভারত থেকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর কয়েকজনের কাছ থেকে ব্যবহৃত মুঠোফোন ও নগদ অর্থ কেড়ে নেন বিএসএফ সদস্যরা।
বিজিবি জানায়, ওই ১৫ জন বর্তমানে অচিন্তপুর বিওপি ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। তাঁদের বিষয়ে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে বুধবার রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সিলেট, সুনামগঞ্জ, লালমনিরহাট ও ময়মনসিংহের সীমান্ত দিয়ে ৮৬ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সিলেটের জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ, সুনামগঞ্জের ছাতক, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে তাঁদের ঠেলে পাঠানো হয়। তাঁদের আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। বিজিবির সদর দপ্তর সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ১ হাজার ২১০ জনকে পুশ–ইন করেছে ভারত।