শহরের ‘রহস্যময় রঙিন রেখার’ মুখোশ উন্মোচন
Published: 6th, February 2025 GMT
রাজধানী থেকে শুরু করে দূরদূরান্তের শহর পর্যন্ত, প্রতিটি স্থানের বিলবোর্ডে ভেসে উঠেছিল রহস্যময় রঙিন দাগ এবং কিছু অর্থবহ ইংরেজি শব্দ। কোনো ব্র্যান্ডের নাম, কোনো পরিচিত স্লোগান বা লোগো কিছুই ছিল না, এই সিম্পল ডিজাইন যেন পুরো দেশকে এক অদ্ভুত কৌতূহলের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়েছিল।
তার পাশাপাশি কিছু পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, নিউজের ইউটিউবের কাটসহ সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেখা গেয়েছিল সেই একই রহস্যের ছোঁয়া। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নেটিজেনরা পর্যন্ত পড়ে গিয়েছিল সে গোলক ধাঁধায়, অনেক প্রশ্ন কিন্তু কোনো উত্তর যেন মিলছেই না।
অবশেষে রহস্যের জট খুলল, যা ছিল আড়ালে, তা আজ দৃশ্যমান। গত ১ ফেব্রুয়ারি জানা গেল, এটি আসলে একটি জনপ্রিয় ব্যাংকের রি-ব্র্যান্ডিং প্রচারণার অংশ ছিল। আর সেই ব্যাংকটি আমাদের সকলের সুপরিচিত মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। দেশের সকল স্বনামধন্য বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক নতুন লোগো এবং ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি উন্মোচন করল।
গ্রাহকের নির্ভরতা ও বিশ্বাসের নতুন মেলবন্ধন তৈরি করেছে লোগোটি। রং থেকে শুরু করে টাইপোগ্রাফি পর্যন্ত প্রতিটি অংশ এমটিবি ব্যাংকের মূল্যবোধ এবং গ্রাহকদের নিকট তাদের সার্ভিসকে আরও সম্প্রসারণে অঙ্গীকার পরিলক্ষিত হয়।
লোগোতে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি উপাদান দৃশ্যমান করে বছরের পর বছর ধরে তাদের তৈরি সম্পর্কগুলোকে আরও দৃঢ় করতে প্রত্যয়ী। এমটিবি ব্যাংকের প্রচেষ্টা এখন দেশের প্রতিটি ব্যক্তি, কমিউনিটি, ব্যবসায়িক সম্প্রদায় বা উদ্যোক্তা সকলের পাশে থেকে দেশকে সামনের দিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
এমটিবি ব্যাংক বিশ্বাস করে প্রযুক্তি নির্ভর সমসাময়িক সহজ সমাধান জরুরি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: রহস য
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’