বিপিএল ফাইনালে তামিমকে ‘বিদায়’ জানাবে বিসিবি
Published: 6th, February 2025 GMT
আরও একটি বিপিএলের শেষ প্রান্তে এসে তামিম ইকবাল আজ জানিয়েছেন পরের বিপিএলেও তাঁর খেলার ইচ্ছা আছে। সেটা থাকাটাই স্বাভাবিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটকে তো নয়!
শুধু বিপিএল কেন, আসন্ন প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও তামিমের খেলার সম্ভাবনা আছে।। এ ছাড়া সুযোগ পেলে বিভিন্ন দেশে হওয়া সাবেক ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্ট লিজেন্ড লিগেও খেলার ইচ্ছা আছে তাঁর। কাজেই বাংলাদেশ দলের জার্সিতে না খেললেও এখনই ক্রিকেট মাঠ ছাড়ছেন না তামিম। অবশ্য গুঞ্জন সত্যি করে অদূর ভবিষ্যতে তিনি সংগঠক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলে কী হবে, সেটি ভিন্ন কথা।
তবে জাতীয় দলে যেহেতু আর খেলছেন না, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সিদ্ধান্ত নিয়েছে তামিম ইকবালকে বিদায়ী সম্মাননা জানানোর। আপাতত ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক কোনো ইভেন্ট নেই। বিপিএলের কালকের ফাইনালটাকেই তাই তামিমের বিদায়ী উপলক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছে বিসিবি। কাল সন্ধ্যায় মিরপুরে অনুষ্ঠেয় বিপিএল ফাইনালের আগে বা পরে তাঁর হাতে বিদায়ী স্মারক তুলে দেওয়া হবে। ফাইনালের দুই দলের একটি ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম।
বিপিএলের সিলেট পর্ব চলাকালীন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে তামিম থাকবেন কি থাকবেন না, এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সিলেটে নির্বাচকেরা তাঁর মতামত জানতে চাইলে তামিম জানিয়ে দেন তিনি আর জাতীয় দলে খেলবেন না। নির্বাচকেরা তাঁকে আরেকটু ভাবতে বললে তামিম দুই দিন সময় নেন। এরপর গত ১০ জানুয়ারি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান তিনি।
তামিম লিখেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।’ পরে বিপিএলের মধ্যেই এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন তিনি। আজ মিরপুরেও বলেছেন একই কথা।
এর আগে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তান সিরিজের মধ্যে অনেকটা অভিমান থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন তামিম। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে অবশ্য পরদিনই সিদ্ধান্ত পাল্টান। অবশ্য এরপর জাতীয় দলের হয়ে মাত্র দুই ওয়াডেই খেলেছেন তামিম। বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁকে শেষবার দেখা গেছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
গত জুনে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন নাজমুল হোসেন। এরপর বাংলাদেশ আর টেস্ট খেলেনি। মাঝে নানা ঘটনাপ্রবাহের পর সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন নাজমুল, টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যেতে রাজি হয়েছেন তিনি। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, ২০২৫-২০২৭ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চক্রের শেষ পর্যন্ত টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নাজমুল।
২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো টেস্ট দলের নেতৃত্ব পান নাজমুল। এখন পর্যন্ত তিনি ১৪টি টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর অধীনে বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের বিপক্ষে ওদেরই মাঠে দুটি টেস্ট জিতেছে। সব মিলিয়ে নাজমুলের নেতৃত্বে ৪ টেস্টে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, ড্র করেছে ১টি, হেরেছে ৯টি।
গত বছর তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন নাজমুল। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে সময় ভালো না যাওয়ায় এ বছরের শুরুতে সেই সংস্করণের নেতৃত্ব থেকে নিজেই সরে যান। এরপর গত জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে হুট করেই নাজমুলকে ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার রেশ ধরে নাজমুল টেস্ট সংস্করণের অধিনায়কত্বও ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন