Samakal:
2025-06-16@10:50:59 GMT

ফাইনালের নায়ক দেশি না বিদেশি 

Published: 7th, February 2025 GMT

ফাইনালের নায়ক দেশি না বিদেশি 

বিপিএলের সেই স্বর্ণালি সময়ের কথা আলাদা। যৌবনে খেলে গেছেন ক্রিস গেইল। বিমান থেকে নেমে মাঠে এসে হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। মঈন আলী, এবিডি ভিলিয়ার্স, সুনীল নারিনরা বিপিএলের নাম উজ্জ্বল করেছেন। সে সময় বিদেশিদের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশের টি২০ লিগে আগের জৌলুস নেই। সাদামাটা বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে হয়েছে খেলা। 

শাহিন শাহ আফ্রিদির পর বড় তারকা বলতে নিউজিল্যান্ডের জিমি নিশাম। পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার প্রথম পাঁচ ম্যাচ খেলে গেছেন। ফাইনাল খেলতে এসেছেন কিউই অলরাউন্ডার নিশাম। একাদশ বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটার আনায় এখন পর্যন্ত বরিশালই সেরা। বৈশ্বিক বিবেচনায় খুব বড় তারকা নন তারা। বরং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেশি ক্রিকেটাররাই একাদশ বিপিএলের বড় তারকা। আজকের বিপিএল দেশি না বিদেশি ক্রিকেটাররা মাতায়, সেদিকে চোখ থাকবে সবার।

খেলোয়াড় ও খেলার মানে বরিশাল এখন পর্যন্ত আসরের সেরা দল। দেশি তারকায় ঠাসা দলটির রিজার্ভ বেঞ্চেও রয়েছেন জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন। বলার অপেক্ষা রাখে না বরিশালের ফাইনাল জয়ের নায়ক হওয়ার মতো ক্রিকেটারের অভাব নেই। তবে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় ডেভিড মালান ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হতে পারেন। ক্লিক করে গেলে তামিম ইকবালও সেরা ইনিংস খেলতে পারেন। তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট জ্বলে উঠলে দেখা যেতে পারে নায়কোচিত পারফরম্যান্স। 

তবে টি২০ খেলায় কাইল মায়ার্সকে ফেলে দেওয়া যাবে না। অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দিয়ে ফাইনালের নায়ক হতে পারেন তিনিও। গতবার যেমন শিরোপা জয়ে ভূমিকা ছিল তাঁর। জিমি নিশাম টি২০ খেলার ভেতরে থাকায় আশার ভেলায় ভাসাতে পারেন বরিশালের সমর্থকরা। সেদিক থেকে দেখলে বরিশালে দেশি-বিদেশি সমান। চিটাগং কিংসের ক্ষেত্রে সেটা খাটে না। কিংসের তারকা দেশি ক্রিকেটাররা। শরিফুল ইসলাম, শামীম হোসেন পাটোয়ারি সময়ের আলোচিত। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ছন্দ ফিরে পাওয়ায় চিটাগংয়ের জন্য ভালো। শামীম হোসেন তো বরিশালের বিপক্ষে বরাবরই ভালো খেলেন। তাই খাজা নাফাইয়া, গ্রাহাম ক্লার্ক, হুসাইন তালাত ও বিনুরা ফার্নান্দোর চেয়ে দেশিদের নায়ক হওয়ার সুযোগ বেশি।

খুলনার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ সমকালকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এবার বিপিএলে দেশিরাই তারকা। মাঠের পারফরম্যান্সেও সে প্রভাব দেখা গেছে। ৫১১ রান নিয়ে শীর্ষে খুলনার নাঈম শেখ। ২৫ উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে সেরা দুর্বার রাজশাহীর তাসকিন আহমেদ। বরিশালের অধিনায়ক তামিম আশা করেন দেশিদের কাঁধে ভর করে পাড়ি দেবেন ফাইনালের বৈতরণী। 

সেট একাদশে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি। রংপুর রাইডার্সের মতো ভুল করতে চায় না দলটির ম্যানেজমেন্ট। তাই প্লে-অফে বেশি বিদেশি আনার দিকে ঝোঁকেনি বরিশাল। তামিমের কণ্ঠেই শোনা যাক কারণটা, ‘আমি সেট দলে খুব একটা ওলটপালট করার পক্ষে না। যারা খেলছেন, এতদিন সার্ভিস দিয়েছেন তাদের সুযোগ পাওয়া উচিত।’ 

কোচ মিজানুর রহমান বাবুলেরও ভরসার জায়গায় দেশি ক্রিকেটার, ‘লোকাল ক্রিকেটাদের উন্নতি হয়েছে। টুর্নামেন্টে সবাই ভালো খেলছে। ফাইনালেও দেশিরা ভালো করবে বলে আমার বিশ্বাস।’ নাজমুল হোসেন শান্ত ভালো না করায় রিজার্ভ বেঞ্চে। ডান-বাঁহাতির কৌশল কাজে লাগাতে তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তামিম। দু’জনের মধ্যে বোঝাপড়াও ভালো। তাই ফাইনালে সাফল্যের ফুল ফোটাতে পারেন দেশিরাই।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল প রফরম য ন স ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়

অভাগাদের বছরে ‘কুফা’ কাটানোর তালিকায় সর্বশেষ নাম দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসে গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টেস্টের রাজদণ্ড হাতে পেয়েছে টেম্বা বাভুমার দল। প্রোটিয়াদের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্য দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসর শেষ হয়েছে।

তবে এর রেশ থাকতেই চলে এসেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসর বা চক্র। ২০২৫-২৭ চক্রের শুরুটা হচ্ছে বাংলাদেশকে দিয়েই। আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এটিই প্রথম সিরিজ।

ক্রিকেটের অভিজাত এই সংস্করণে বাংলাদেশ প্রায় ২৫ বছর পার দিলেও রেকর্ড ভালো নয়। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আসার পর থেকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ক্রমশ উন্নতির দিকে।

প্রথম চক্রে (২০১৯-২১) কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দ্বিতীয় চক্রে (২০২১-২৩) মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ঐতিহাসিক জয় বাদ দিলে বলার মতো কিছু নেই। প্রথম দুই চক্র শেষ করতে হয়েছে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে।

তবে তৃতীয় চক্রে (২০২৩-২৫) বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বেশ আশাব্যঞ্জক। ১২ টেস্ট খেলে জিতেছে চারটিতে। এর মধ্যে গত বছর পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের সুখস্মৃতিও আছে। পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান ছিল সাত নম্বরে; পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপরে। তিন চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশ খেলেছে ৩১ টেস্ট। জিতেছে পাঁচটি, ড্র করে দুটি আর হেরেছে ২৪টি।

এবার কী হবে? শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে আশার বাণীই শুনিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল। তিনি বলেছেন, ‘গত চক্রে আমরা চারটা ম্যাচ জিতেছি। আমাদের একটু উন্নতি হয়েছে। লক্ষ্য থাকবে এই চক্রে কীভাবে আরও একটা-দুইটা ম্যাচ বেশি জিততে পারি।’ সেটা কতটুকু সম্ভব, সময়ই বলে দেবে।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগের তিন চক্রের মতো এবারও অংশ নিচ্ছে ৯ দল। প্রত্যেক দল খেলবে ছয়টি করে সিরিজ—তিনটি নিজেদের মাঠে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। পয়েন্ট সিস্টেমেও কোনো পরিবর্তন আসেনি (জিতলে ১২, ড্র করলে ৪, টাই করলে ৬ পয়েন্ট)।

তবে এবার ম্যাচের সংখ্যা গত দুবারের চেয়ে একটি বেড়েছে। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৭১টি, সিরিজ ২৭টি। প্রত্যেক সিরিজেই সর্বনিম্ন দুই ও সর্বোচ্চ পাঁচটি ম্যাচ হবে।

চতুর্থ চক্রের ফাইনালও লর্ডসে আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ম্যাচ হবে ২০২৭ সালের জুনে। ফাইনালের আগে শেষ সিরিজ হবে সেই বছরের মার্চে; পাকিস্তানে দুটি টেস্ট খেলতে যাবে নিউজিল্যান্ড।

এবার সবচেয়ে বেশি ২২ ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। সবচেয়ে কম ১২টি করে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা, যাদের সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে এবারের চক্র। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ দলের টেস্ট সিরিজ এই একটিই। নাজমুল-মুশফিক-তাইজুলদের বাকি পাঁচ সিরিজই ২০২৬ ও ২০২৭ সালে। সব সিরিজেই দুটি করে ম্যাচ।

২০২৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ মার্চে, ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেই বছরের আগস্টে দল যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। ২০০৩ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেটিই হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের প্রথম টেস্ট সিরিজ।

এই চক্রে বাংলাদেশের ঘরের মাঠে দ্বিতীয় সিরিজ খেলবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে; খেলতে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের মাসে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। বাংলাদেশের শেষ সিরিজ দেশের মাটিতেই; ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসবে ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালের পর এটিই হবে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ।

অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো খবর হলো ২০২৫-২৭ চক্রে বাংলাদেশ যে ছয় দলের বিপক্ষে খেলবে, এর চারটির বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে তারা হারেনি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করেছে আর পাকিস্তানকে করেছে ধবলধোলাই (দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়)। সিরিজ হেরেছে শ্রীলঙ্কা আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন অধিনায়ক কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তামিমের
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়
  • ব্রাজিলে আলোকাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • ব্রাজিলে আলো কাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির 
  • কোচ কাবরেরার পদত্যাগ দাবি, অনিশ্চয়তায় ভবিষ্যৎ