Prothomalo:
2025-05-01@11:58:42 GMT

আবার আগুন ভারতের মহাকুম্ভে

Published: 7th, February 2025 GMT

দুর্ঘটনা পিছু ছাড়ছে না ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের প্রয়াগরাজের (সাবেক এলাহাবাদ) মহাকুম্ভ মেলার। আজ শুক্রবার সকালে আবার আগুন লাগল সেখানে। মহাকুম্ভের সেক্টর ১৮–তে সকালে লাগা আগুন নেভাতে দ্রুত চলে যায়  ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। মেলাপ্রাঙ্গণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও প্রয়াগরাজের পুলিশ কর্তা সর্বেশ কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর নেই। আগুন নেভানো ও তা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেই চেষ্টা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস বিভাগ।

মহাকুম্ভে এই নিয়ে আগুন লাগল তিনবার। দুবার ঘটেছে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা।

আজ সকালে হঠাৎই দেখা যায় সেক্টর ১৮–তে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে ওপরের দিকে উঠছে। স্থানীয় পুলিশ চৌকির পরিদর্শক যোগেশ চতুর্বেদী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, খবর পাওয়ামাত্রই  ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে চলে যায়। আগুন লাগে তুলসী চকের কাছে শঙ্করাচার্য মার্গের হরিহরনন্দ আখড়ায়। আগুনের শিখা ও কালো ধোঁয়া দেখে পুণ্যার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আশপাশের আখড়া থেকে বেরিয়ে আসেন সবাই। খবর পেয়ে  ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে পরিস্থিতির সামাল দেন আগুন বেশি ছড়িয়ে পড়ার আগে। হুড়োহুড়িতে কেউ কেউ পড়ে গিয়ে সামান্য আহত হয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।  

আজকের আগুন কীভাবে লাগল, এ বিষয়ে পুলিশ বা মেলা কর্তৃপক্ষ এখনই কিছু জানাতে পারেনি।

মহাকুম্ভ শুরু হয়েছিল গত ১৩ জানুয়ারি। প্রথমবার আগুন লাগে ১৯ জানুয়ারি। মেলাপ্রাঙ্গণে পুড়ে গিয়েছিল অন্তত ৫০টি শিবির। তখন সন্দেহ করা হয়েছিল, রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন ধরেছে। সেই আগুনে কেউ হতাহত হয়েছিলেন বলে পুলিশ জানায়নি। তারপর ৩০ জানুয়ারি আগুন লাগে সেক্টর ২২–এ। সেই দুর্ঘটনায় ১৫টি তাঁবু পুড়ে যায়। এর এক দিন আগেই ঘটে যায় পদপিষ্ট হওয়ার দুটি ঘটনা। একটি ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যুর কথা রাজ্য সরকার ঘোষণা করলেও অন্য ঘটনাটির কথা আজও স্বীকার করেনি। তবে তদন্তকারী দল জানিয়েছে, দ্বিতীয় ঘটনাটির প্রচার সত্য কি না, তা তাদের বিবেচ্য। বেসরকারি মত এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি অবশ্য নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি। রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে মৃত্যুর সংখ্যা চেপে যাচ্ছে। সংসদেও বিরোধীরা এই দাবি জানিয়েছে। সরকার যথারীতি নীরব।

পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পর ৩ ফেব্রুয়ারি একটি হট এয়ার বেলুন ফেটে আহত হয়েছিলেন ৬ জন। মেলাপ্রাঙ্গণে যেকোনো দুর্ঘটনার প্রচার যত কম হয়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার সচেষ্ট। সরকারি দাবি, শুক্রবার পর্যন্ত ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ মানুষ প্রয়াগে স্নান সেরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দাবি ছিল, ৪০ কোটি পুণ্যার্থী প্রয়াগে আসবেন। পদপিষ্ট হওয়ার পরদিন তিনি জানিয়েছিলেন, পুণ্যার্থীরা ভীত হননি। স্নানযাত্রা অব্যাহত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হয় ছ ল র ঘটন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬: সূচি ও ভেন্যু ঘোষণা

নারী ক্রিকেটের বৈশ্বিক মঞ্চে আবারও আলো ছড়াতে প্রস্তুত হচ্ছে ইংল্যান্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবং ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) যৌথভাবে ঘোষণা করেছে ২০২৬ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়সূচি ও ভেন্যুর তালিকা। ১২ জুন শুরু হয়ে এই ক্রিকেট উৎসব চলবে ৫ জুলাই পর্যন্ত, যার সমাপ্তি ঘটবে ঐতিহ্যবাহী লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে জমকালো ফাইনালের মাধ্যমে।

এই আসরে প্রথমবারের মতো ১২টি দল অংশ নিচ্ছে, যারা দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মোট ৩৩টি ম্যাচে। ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য ২৪ দিনের রোমাঞ্চকর এক প্রতিযোগিতা অপেক্ষা করছে।

টুর্নামেন্টের সূচি উন্মোচনের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয় লর্ডসে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, ইসিবি প্রধান রিচার্ড গুল্ড, ইংল্যান্ড নারী দলের কোচ চার্লট এডওয়ার্ডস এবং বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার।  
 
বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে সাতটি ঐতিহাসিক ও আধুনিক ভেন্যুতে— লর্ডস (লন্ডন), ওল্ড ট্রাফোর্ড (ম্যানচেস্টার), হেডিংলি (লিডস), এজবাস্টন (বার্মিংহাম), হ্যাম্পশায়ার বোল (সাউদাম্পটন), দ্য ওভাল (লন্ডন) এবং ব্রিস্টল।

আরো পড়ুন:

স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সুপার সিক্স অনুর্ধ্ব-১৯ মেয়েরা 

অস্ট্রেলিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েও বাংলাদেশের হৃদয় ভাঙা হার 

আগামী আসরে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল: স্বাগতিক ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। বাকি চারটি দল আসবে কোয়ালিফায়ার পর্ব পেরিয়ে, যেখানে বাংলাদেশসহ আরও বেশ কিছু দলকে লড়াই করতে হবে মূলপর্বে জায়গা পাওয়ার জন্য।

আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ এক বার্তায় জানান, “২০১৭ সালে নারী ক্রিকেট ইতিহাসে যে অধ্যায় লর্ডসে রচিত হয়েছিল, এবার আমরা সেই আবহে ফিরে যেতে চাই। ২০২৮ সালের অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির দিকেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

ইসিবি প্রধান রিচার্ড গুল্ড বলেন, “আমরা গর্বিত যে বিশ্বের সেরা কয়েকটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারছি। নারী ক্রিকেটকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আর লর্ডসে ফাইনাল আয়োজন—এটা প্রতিটি ক্রিকেটারের স্বপ্নপূরণের এক সম্ভাবনা।”

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ