Prothomalo:
2025-06-16@08:42:19 GMT

আবার আগুন ভারতের মহাকুম্ভে

Published: 7th, February 2025 GMT

দুর্ঘটনা পিছু ছাড়ছে না ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের প্রয়াগরাজের (সাবেক এলাহাবাদ) মহাকুম্ভ মেলার। আজ শুক্রবার সকালে আবার আগুন লাগল সেখানে। মহাকুম্ভের সেক্টর ১৮–তে সকালে লাগা আগুন নেভাতে দ্রুত চলে যায়  ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। মেলাপ্রাঙ্গণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও প্রয়াগরাজের পুলিশ কর্তা সর্বেশ কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর নেই। আগুন নেভানো ও তা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেই চেষ্টা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস বিভাগ।

মহাকুম্ভে এই নিয়ে আগুন লাগল তিনবার। দুবার ঘটেছে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা।

আজ সকালে হঠাৎই দেখা যায় সেক্টর ১৮–তে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে ওপরের দিকে উঠছে। স্থানীয় পুলিশ চৌকির পরিদর্শক যোগেশ চতুর্বেদী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, খবর পাওয়ামাত্রই  ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে চলে যায়। আগুন লাগে তুলসী চকের কাছে শঙ্করাচার্য মার্গের হরিহরনন্দ আখড়ায়। আগুনের শিখা ও কালো ধোঁয়া দেখে পুণ্যার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আশপাশের আখড়া থেকে বেরিয়ে আসেন সবাই। খবর পেয়ে  ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে পরিস্থিতির সামাল দেন আগুন বেশি ছড়িয়ে পড়ার আগে। হুড়োহুড়িতে কেউ কেউ পড়ে গিয়ে সামান্য আহত হয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।  

আজকের আগুন কীভাবে লাগল, এ বিষয়ে পুলিশ বা মেলা কর্তৃপক্ষ এখনই কিছু জানাতে পারেনি।

মহাকুম্ভ শুরু হয়েছিল গত ১৩ জানুয়ারি। প্রথমবার আগুন লাগে ১৯ জানুয়ারি। মেলাপ্রাঙ্গণে পুড়ে গিয়েছিল অন্তত ৫০টি শিবির। তখন সন্দেহ করা হয়েছিল, রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন ধরেছে। সেই আগুনে কেউ হতাহত হয়েছিলেন বলে পুলিশ জানায়নি। তারপর ৩০ জানুয়ারি আগুন লাগে সেক্টর ২২–এ। সেই দুর্ঘটনায় ১৫টি তাঁবু পুড়ে যায়। এর এক দিন আগেই ঘটে যায় পদপিষ্ট হওয়ার দুটি ঘটনা। একটি ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যুর কথা রাজ্য সরকার ঘোষণা করলেও অন্য ঘটনাটির কথা আজও স্বীকার করেনি। তবে তদন্তকারী দল জানিয়েছে, দ্বিতীয় ঘটনাটির প্রচার সত্য কি না, তা তাদের বিবেচ্য। বেসরকারি মত এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি অবশ্য নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি। রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে মৃত্যুর সংখ্যা চেপে যাচ্ছে। সংসদেও বিরোধীরা এই দাবি জানিয়েছে। সরকার যথারীতি নীরব।

পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পর ৩ ফেব্রুয়ারি একটি হট এয়ার বেলুন ফেটে আহত হয়েছিলেন ৬ জন। মেলাপ্রাঙ্গণে যেকোনো দুর্ঘটনার প্রচার যত কম হয়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার সচেষ্ট। সরকারি দাবি, শুক্রবার পর্যন্ত ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ মানুষ প্রয়াগে স্নান সেরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দাবি ছিল, ৪০ কোটি পুণ্যার্থী প্রয়াগে আসবেন। পদপিষ্ট হওয়ার পরদিন তিনি জানিয়েছিলেন, পুণ্যার্থীরা ভীত হননি। স্নানযাত্রা অব্যাহত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হয় ছ ল র ঘটন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

দেশবাসী দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চায়: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষ ২০ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি এবং নতুন প্রজন্মও ভোট দিতে পারেনি। তাই, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চায়। 

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক পথেই এগিয়ে যাবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের যে ত্যাগ, সে পথেই দেশ অগ্রসর হবে।

প্রধান উপদেষ্টার মতো বিএনপিও রোজার আগে বিচার ও সংস্কারের অগ্রগতি চায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সংস্কারের বিষয়টি ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল। এ বিষয়ে ড. ইউনূস, তারেক রহমান এবং বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দ আগেই বলেছেন।

তিনি মনে করেন, ঐকমত্য হতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।

বিচার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বিচার বিভাগের ওপর নির্ভর করে। বিচার বিভাগ বিচার করবে এবং বিচারের আওতায় আনারও বিষয় আছে। যারা বিচারের আওতায় আসবে, তার জন্য আরো প্রায় ছয় মাস সময় আছে। আর যারা এর মধ্যে আসবে না, তাদের জন্য তো আগামী সরকার আছে।

সরকারের কি এখন নির্বাচনমুখী কর্মকাণ্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়া দরকার আছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আর কোনো পথ নেই। এ বিষয়ে সবাই ঐকমত্য পোষণ করছেন।

জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির অভিযোগ, একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকার বিশেষ সম্পর্ক করছে, বিএনপি বিষয়টি কীভাবে দেখছে? এ প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, “আমি একটা জিনিস মনে করি, আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তাহলে এখানে সবার মতামত নেওয়ার সুযোগ আছে। সুতরাং, সবাই তাদের মতামত দিতে পারে। আমার মনে হয়, এটাই আমাদের গণতন্ত্রের বড় পাওয়া, সবাই নিজেদের মতামত দেবে। এর মধ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”

বিএনপি এত দিন ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও এখন কেন ফেব্রুয়ারিতে গেল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক সময়। এবং এত সময়ও লাগার কোনো কারণ নেই। বিএনপি আগে ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব সমস্যার সমাধান করে নির্বাচনের কথা বলেছে। সুতরাং, ফেব্রুয়ারি আরো দীর্ঘ সময়। তবে, যদি ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হয়, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

আমীর খসরু বলেন, “আমি আগেও বলেছি, যত বেশি ঐকমত্যের মাধ্যমে আমরা নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারব, সেটা জাতির জন্য তত ভালো। আমরা যে ঐকমত্যের মধ্যে এসেছি, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়।”

তিনি আরো বলেন, “ঐকমত্য থাকার ফলেই আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় করতে পেরেছি। সুতরাং, আমরা চেষ্টা করব, যেখানেই সম্ভব ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব।”

তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠকে নির্বাচনে নিরপেক্ষতার বিষয়ে কোনো আলোচনা বা বার্তা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখনই নির্বাচন শুরু হবে, তখনই সরকার নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের ধারণা হলো— একটি নিরপেক্ষ সরকার। সুতরাং, নির্বাচনে সেই নিরপেক্ষতা সরকার নিশ্চিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বৈঠকে সংস্কারের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান বলেছেন, এখানে যতটুকু ঐকমত্য হবে, সংস্কারও ততটুকুই হবে। বাকি অংশটা নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির কাছে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। এটি এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না, নির্বাচনের পরেও এটি চলমান থাকবে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ