যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে কাজ করার অভিযোগে জানুয়ারিতে ৬০৯ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির অভিবাসন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। যা এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় ৭৩ শতাংশ বেশি। খবর এএফপির।

যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন লেবার সরকারের অবৈধ অভিবাসন এবং মানবপাচারকারী চক্র মোকাবেলা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাদের আটক করা হয়।

সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ৬০৯ জনকে আটক করা হয়েছে। যে সংখ্যা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ছিল ৩৫২ জন। নেইল বার, রেস্টুরেন্ট, কার ওয়াস এবং দোকানসহ ৮০০টিরও বেশি জায়গায় এই অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আরো পড়ুন:

আপত্তিকর বার্তা দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী বরখাস্ত

‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওয়াশিংটনে জাইমা রহমান

গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন পথ দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছিলেন, যার মধ্যে ছিল ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া এবং বৈধভাবে মঞ্জুর করা ভিসার অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান করা।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কেবল জানুয়ারির ৩১ দিনেই ১ হাজার ৯৮ জন ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে।

২০২৪ সালে কিয়ার স্টারমার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাৎক্ষণিকভাবে তার রক্ষণশীল পূর্বসূরী ঋষি সুনাকের যুক্তরাজ্যে অনথিভুক্ত অভিবাসন রোধ করার পরিকল্পনা বাতিল করে নতুন আগতদের রুয়ান্ডায় নির্বাসিত করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেন, “নিয়োগকর্তারা অনেক দিন ধরেই অবৈধ অভিবাসীদের শোষণ করছেন। অনেক লোক অবৈধভাবে এসে কাজ করছেন। তাদের বিরুদ্বে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমাদের সীমান্ত নিরাপত্তাকে দুর্বল করে দেওয়া এবং দীর্ঘদিন ধরে পার পেয়ে যাওয়া অপরাধী চক্রগুলোকে ধ্বংস করার জন্য আমরা নতুন কঠোর আইনের পাশাপাশি রেকর্ড মাত্রায় আইনের প্রয়োগ বৃদ্ধি করছি।”

গত বছরের জুলাই মাসে লেবার সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত, ৫ হাজার ৪২৪টি পরিদর্শনের মাধ্যমে ৩ হাজার ৯৩০ জনকে অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে।

এছাড়া, মোট ১ হাজার ৯০টি দেওয়ানি জরিমানার নোটিশও জারি করেছে। দোষী সাব্যস্ত হলে, নিয়োগকর্তাদের প্রতি কর্মীর জন্য ৬০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একই সময়ের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ইতিহাসের বৃহত্তম ‘রিটার্ন’ ফ্লাইটগুলোর মধ্যে চারটিও পরিচালিত হয়েছে, ৮০০ জনেরও অবৈধ অভিবাসীকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

অবৈধ অভিবাসী কমানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমার একটি নতুন সীমান্ত নিরাপত্তা কমান্ডও প্রতিষ্ঠা করেছেন। ইউরোপোলসহ ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে এ বিষয়ে সহযোগিতা জোরদার করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রবীন সাংবাদিক আব্দুল্লার শয্যাপাশে বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম

বন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সিনিয়র  স্টাফ রিপোর্টার অসুস্থ্য প্রবীন সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহ খোঁজ খবর নিলেন বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্দর কলাবাগস্থ তার নিজ বাড়িতে এসে তারা এ খোঁজখবর নেন । ওই সময় সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহর পাশে কিছুক্ষণ সময় কাটান ও তার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু,বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক জি.এম. সুমন একই কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক  আমির হোসেন,বন্দর প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি মেহেদী হাসান রিপন,দৈনিক সংবাদ চর্চা পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি শেখ আরিফসহ বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য,সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহ গত শনিবার সকাল এগারোটার দিকে প্রচন্ড ভাইরাস জ্বড়ে অসুস্থ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে বাড়িতে টানা ৬ দিন যাবৎ তিনি অসুস্থ্য হয়ে শয্যাশায়ী রয়েছেন।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা.ফারুক আহেমেদের নিবির পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। তবে বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হলেও শংকা কাটেনি বলে জানা গেছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ