নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করলে শান্তিতে নোবেলজয়ী তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার সঙ্গে আলোচনায় রাজি চীন। বেইজিং আশাবাদী, দালাই লামা ‘সঠিক পথে ফিরবেন’। আজ সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানায়।

তিব্বতে চীনা শাসনের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর ১৯৫৯ সালে ভারতে চলে যান দালাই লামা। এ বছর ৯০ বছর বয়স হয়েছে তাঁর। মৃত্যুর পূর্বে তিব্বতে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।

চীনের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন বলেন, মাতৃভূমি বিভক্ত করার অবস্থান যদি দালাই লামা ত্যাগ করেন, তবে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত চীন।

এর আগে চীনের সঙ্গে আলোচনায় দালাই লামার দূত হিসেবে কাজ করেছিলেন তাঁর ভাই জিয়ালো থন্ডাপ। গত শনিবার ৯৭ বছর বয়সে তিনি ভারতের কালিমপং শহরে মারা গেছেন। এ প্রসঙ্গে গুয়ো বলেন, দালাই লামাকে স্বীকার করতে হবে, তিব্বত ও তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের রাজনৈতিক নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করেন দালাই লামা। তিব্বতের ওই সরকারকে চীন স্বীকৃতি দেয়নি। তার পর থেকে চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা বন্ধ।

দালাই লামার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর উত্তরসূরির প্রশ্নটিও ক্রমে জরুরি হয়ে উঠেছে। চীন জোর দিয়ে বলছে, তারা তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে দালাই লামার উত্তরসূরি বেছে নেবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ