অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’, ঝিনাইদহে গ্রেপ্তার ৫
Published: 11th, February 2025 GMT
ঝিনাইদহে অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ পরিচালনা করে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। ঝিনাইদহ সদর, শৈলকূপা ও কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের ছাবের আলীর ছেলে কামাল শেখ, শৈলকূপার কৌপাড়া গ্রামের শহিদ বিশ্বাসের ছেলে সাইদ বিশ্বাস, একই উপজেলার সাতগাছি গ্রামের আমিন আলীর ছেলে মুকুল আহমেদ, কালীগঞ্জের খড়িকাডাঙ্গা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে আতাউর রহমান ও একই উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার ৪০
কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, গতকাল সোমবার রাত ও মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে। তাদের আদালত সোপর্দ করা হবে।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল র ঝ ন ইদহ
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক