নবদম্পতির জন্য ভালোবাসা দিবস বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এটি শুধু ভালোবাসা প্রকাশের দিন নয়; বরং নতুন জীবনকে আরও রোমান্টিক ও উষ্ণ করে তোলারও এক বিশেষ উপলক্ষ। এই দিনে নিজেদের ঘরটি সাজিয়ে তোলা হতে পারে এক সুন্দর অভিজ্ঞতা। নিচে কিছু কার্যকর টিপস দেওয়া হলো, যা ভালোবাসা দিবসে নবদম্পতির ঘর সাজাতে সহায়তা করবে।
থিম বেছে নিন
সাজসজ্জার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট থিম বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ক্ল্যাসিক রেড, রোমান্টিক প্যাস্টেল বা প্রকৃতির ছোঁয়া রাখা গ্রিন থিম বেছে নিতে পারেন। থিম অনুযায়ী ঘরের বাকি সাজসজ্জা মিলিয়ে নিলে পরিবেশ আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
রঙের মাধ্যমে ভালোবাসার আবহ: ঘরের পরিবেশ রোমান্টিক করতে রঙের ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ।
লাল ও গোলাপি: ভালোবাসার রং হিসেবে পর্দা, কুশন, বিছানার চাদরে লাল ও গোলাপি রঙের ছোঁয়া দিলে ঘর ভালোবাসার উষ্ণতায় ভরে উঠবে।
সফট প্যাস্টেল শেড: যদি অতিরিক্ত ঔজ্জ্বল্য না চান, তাহলে সফট প্যাস্টেল রঙের পর্দা, কুশন, বিছানার চাদর ব্যবহার করতে পারেন। এটি শান্ত ও মিষ্টি পরিবেশ সৃষ্টি করে।
মোমবাতির সাজ: হালকা আলো রোমান্টিক আবহ তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সুগন্ধি মোমবাতি ব্যবহার করলে ঘরে মিষ্টি সুবাস ছড়িয়ে পড়বে এবং পরিবেশ আরও উষ্ণ হয়ে উঠবে।
লাইটের আলোকসজ্জা: ফেয়ারি লাইট বা ছোট এলইডি লাইট দিয়ে শয্যার চারপাশ, জানালা বা দেয়ালে সাজিয়ে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনি স্টারি লাইট বা রঙিন অ্যাম্বিয়েন্ট লাইটও ব্যবহার করতে পারেন। এটি ঘরে মনোরম পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।
লাল গোলাপ: ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে লাল গোলাপ বিছানায় বা টেবিলে ছড়িয়ে দিন।
লিলি ও অর্কিড: এসব ফুলের মৃদু সৌরভ ঘরকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
তাজা ফুলের তোড়া: সেন্টার টেবিলে বা বেডসাইড টেবিলে তাজা ফুল রাখুন।
বিছানার সাজসজ্জা: বিছানায় সিল্ক বা সাটিনের বেডশিট ব্যবহার করুন, যা ঘরকে রাজকীয় লুক দেবে। মনোরম রঙের কুশন ও কমফোর্টার ব্যবহার করুন, যা আপনাদের আরাম দেবে এবং ঘরকে উষ্ণ করে তুলবে। ভালোবাসার আবহ বাড়াতে বিছানায় হার্ট-শেপ কুশন যোগ করুন।
ডাইনিং-এর আয়োজন: ভালোবাসা দিবসের ডিনার যেন বিশেষ হয়, সেজন্য টেবিল সেটআপও হতে হবে রোমান্টিক। রেড ও হোয়াইট টেবিল ক্লথ ব্যবহার করুন। ক্যান্ডল লাইট ডিনার আয়োজন করতে পারেন। সেখানে চকলেট, ফুল এবং হালকা মিষ্টি রাখতে পারেন।
সূত্র: ব্লিসলাইটস
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শাবানার আজ জন্মদিন
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি শাবানা। রবিবার (১৫ জুন) এ অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সিনেমার অবিস্মরণীয় এই তারকা। তার প্রকৃত নাম আফরোজা সুলতানা রত্না। কিন্তু সারা দেশের মানুষ তাকে হৃদয়ে ধারণ করে ‘শাবানা’ নামে।
মাত্র ১০ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে ‘নতুন সুর’ (১৯৬২) সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ে অভিষেক হয় শাবানার। সেখান থেকে শুরু—তারপর এক দীর্ঘ পথচলা, যেখানে শাবানা হয়ে ওঠেন একের পর এক যুগান্তকারী সিনেমার মুখ। চার দশকের ক্যারিয়ারে প্রায় ৩০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বাংলা সিনেমার আকাশে নিজেকে স্থায়ী নক্ষত্রে রূপান্তরিত করেন।
‘ভাত দে’, ‘অবুঝ মন’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘ওরা এগারো জন’, ‘চাঁপা ডাঙার বউ’, ‘আক্রোশ’, ‘রাঙা ভাবি’, ‘বাংলার নায়ক’—এমন অসংখ্য কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের মনে দাগ কেটেছেন শাবানা। জনপ্রিয়তা ও অভিনয়গুণে অনন্য এক শিল্পী, যিনি রোমান্স থেকে শুরু করে সমাজধর্মী, দেশপ্রেম বা পারিবারিক—সব ধরনের চরিত্রে নিজেকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন।
আরো পড়ুন:
‘অত্যাচারী’ স্বামীর মৃত্যুতে কারিশমার শোক, যা বললেন জয়া
দর্শক বলছেন আমি যেন শুভ ভাইকে বিয়ে করি: মন্দিরা
অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাবানা। প্রযোজক হিসেবেও পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। নাট্য ও সংস্কৃতি জগৎ থেকেও অর্জন করেছেন বাচসাস, নাট্যসভা, ললিতকলা একাডেমি ও কথক একাডেমি পুরস্কার।
ব্যক্তিজীবনে ১৯৭৩ সালে বিয়ে করেন সরকারি কর্মকর্তা ও প্রযোজক ওয়াহিদ সাদিককে। তিন সন্তানের জননী শাবানা ১৯৯৭ সালে হঠাৎ করেই অভিনয় জীবন থেকে বিদায় নেন। ২০০০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।
অভিনয়ে ফিরবেন কি না, সে প্রশ্ন বহুবার উঠেছে। কিন্তু শাবানা এমন এক নাম, যার অবদান আর স্মৃতিময়তা কখনো ম্লান হওয়ার নয়।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত