Samakal:
2025-07-30@14:27:45 GMT

নবদম্পতির ঘর

Published: 11th, February 2025 GMT

নবদম্পতির ঘর

নবদম্পতির জন্য ভালোবাসা দিবস বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এটি শুধু ভালোবাসা প্রকাশের দিন নয়; বরং নতুন জীবনকে আরও রোমান্টিক ও উষ্ণ করে তোলারও এক বিশেষ উপলক্ষ। এই দিনে নিজেদের ঘরটি সাজিয়ে তোলা হতে পারে এক সুন্দর অভিজ্ঞতা। নিচে কিছু কার্যকর টিপস দেওয়া হলো, যা ভালোবাসা দিবসে নবদম্পতির ঘর সাজাতে সহায়তা করবে।
থিম বেছে নিন
সাজসজ্জার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট থিম বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ক্ল্যাসিক রেড, রোমান্টিক প্যাস্টেল বা প্রকৃতির ছোঁয়া রাখা গ্রিন থিম বেছে নিতে পারেন। থিম অনুযায়ী ঘরের বাকি সাজসজ্জা মিলিয়ে নিলে পরিবেশ আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
রঙের মাধ্যমে ভালোবাসার আবহ: ঘরের পরিবেশ রোমান্টিক করতে রঙের ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ।
লাল ও গোলাপি: ভালোবাসার রং হিসেবে পর্দা, কুশন, বিছানার চাদরে লাল ও গোলাপি রঙের ছোঁয়া দিলে ঘর ভালোবাসার উষ্ণতায় ভরে উঠবে।
সফট প্যাস্টেল শেড: যদি অতিরিক্ত ঔজ্জ্বল্য না চান, তাহলে সফট প্যাস্টেল রঙের পর্দা, কুশন, বিছানার চাদর ব্যবহার করতে পারেন। এটি শান্ত ও মিষ্টি পরিবেশ সৃষ্টি করে।
মোমবাতির সাজ: হালকা আলো রোমান্টিক আবহ তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সুগন্ধি মোমবাতি ব্যবহার করলে ঘরে মিষ্টি সুবাস ছড়িয়ে পড়বে এবং পরিবেশ আরও উষ্ণ হয়ে উঠবে।
লাইটের আলোকসজ্জা: ফেয়ারি লাইট বা ছোট এলইডি লাইট দিয়ে শয্যার চারপাশ, জানালা বা দেয়ালে সাজিয়ে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনি স্টারি লাইট বা রঙিন অ্যাম্বিয়েন্ট লাইটও ব্যবহার করতে পারেন। এটি ঘরে মনোরম পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।
লাল গোলাপ: ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে লাল গোলাপ বিছানায় বা টেবিলে ছড়িয়ে দিন।
লিলি ও অর্কিড: এসব ফুলের মৃদু সৌরভ ঘরকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
তাজা ফুলের তোড়া: সেন্টার টেবিলে বা বেডসাইড টেবিলে তাজা ফুল রাখুন।
বিছানার সাজসজ্জা: বিছানায় সিল্ক বা সাটিনের বেডশিট ব্যবহার করুন, যা ঘরকে রাজকীয় লুক দেবে। মনোরম রঙের কুশন ও কমফোর্টার ব্যবহার করুন, যা আপনাদের আরাম দেবে এবং ঘরকে উষ্ণ করে তুলবে। ভালোবাসার আবহ বাড়াতে বিছানায় হার্ট-শেপ কুশন যোগ করুন।
ডাইনিং-এর আয়োজন: ভালোবাসা দিবসের ডিনার যেন বিশেষ হয়, সেজন্য টেবিল সেটআপও হতে হবে রোমান্টিক। রেড ও হোয়াইট টেবিল ক্লথ ব্যবহার করুন। ক্যান্ডল লাইট ডিনার আয়োজন করতে পারেন। সেখানে চকলেট, ফুল এবং হালকা মিষ্টি রাখতে পারেন। 
সূত্র: ব্লিসলাইটস

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঘর ত র পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

রাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থীর সনদ-ছাত্রত্ব বাতিল

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে কোটাবিরোধী আন্দোলনকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, র‌্যাগিংসহ নানা অভিযোগ এনে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল এমন ১০ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, ছাত্রত্ব ও সনদপত্র বাতিল করেছে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বহিষ্কৃতরা হলেন, বিশ্বজিৎ শীল, সাইদুজ্জামান পাপ্পু, জাহাঙ্গীর আলম অপু, মহিউদ্দিন মুন্না, হাসু দেওয়ান, আকিব মাহমুদ, আবির, অন্তু কান্তি দে, জাকির হোসেন ও রিয়াদ।  

বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি ড. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ১০ শিক্ষার্থীর মধ্যে যাদের শিক্ষাজীবন শেষ হয়েছে, তাদের সনদপত্র বাতিল করা হয়েছে। যারা এখনো অধ্যয়নরত তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।  

আরো পড়ুন:

ছাত্রলীগের বিচারসহ ৯ দাবি জবি ছাত্রদলের

রাবিতে প্রভাষক হলেন জাসদ ছাত্রলীগ নেতা, ক্ষোভ

ভিসি আরো জানান, ২০২৪ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানান অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়, যা সর্বশেষ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় অনুমোদিত হয়েছে। গত পরশু তাদের ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। 

বহিষ্কৃত ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আকিব মাহমুদ বলেন, ‘‘জুলাই-আগস্ট মাসে এমন কোনো ঘটনা ক্যাম্পাসে ঘটেনি, যে কারণে আমাদের বহিষ্কার করা হতে পারে। ক্যাম্পাসে কোটা প্রত্যাহার দাবিতে একদিন বৈষম্যবিরোধী ব্যানারে প্রোগ্রাম হয়েছে, সেদিনও কিছু হয়নি। আমরা সম্পূর্ণভাবে ভিসি ও ছাত্রদল-শিবিরের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। একদিন নিশ্চয়ই এই অবিচারের বিচারও হবে।’’  

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘‘কিছু শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমাদের কিছু বলার নেই। শুধু জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ঘটনাই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক ঘটনাও আছে অভিযোগে। তারই প্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’’ 

২০১৫ সালে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন পর্যন্ত কমিটি দেয়নি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তবে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের ব্যানারে নানান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যেত। বহিষ্কৃত ও সনদ বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকজন ৫ আগস্টের আগে শিক্ষাজীবন শেষ করেন। গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কিছু দিন কারাবরণ শেষে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে দেশ ছেড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করা বহিষ্কৃত ১০ জনের একজন বিশ্বজিৎ শীল।

ঢাকা/শংকর/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ