ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কে বড় গর্তে জমেছে বৃষ্টির পানি, দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তি
Published: 10th, July 2025 GMT
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে ১৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে শুরু হয়ে সরাইল উপজেলার বেড়তলা, শান্তিনগর, বিশ্বরোড মোড়, কুট্টাপাড়া মোড় হয়ে বাড়িউরা পর্যন্ত এ যানজট সৃষ্টি হয়। এ প্রতিবেদন লেখার সময় আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টায় অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট ছিল।
সরেজমিন দেখা গেছে, সরাইল বিশ্বরোড মোড় গোলচত্বর, শান্তিনগর ও আশুগঞ্জের খড়িয়ালায় তীব্র যানজট। এসব এলাকায় সড়কে বড় বড় গর্ত থাকায় সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। গত তিন মাসে একাধিকবার এসব গর্তে ইট–বালু দিয়ে সংস্কার করা হলেও টেকেনি। টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে গর্তগুলো আরও বড় আকার ধারণ করেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ সূত্র জানায়, ভারতকে ট্রানজিট–সুবিধা দিতে আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। ভারতীয় ঋণে ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ভারতের এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দেশ ছেড়ে চলে যান। প্রায় তিন মাস পর তাঁরা ফিরে এলেও কাজের গতি আর আগের মতো হয়নি।
আজ সকালে সরেজমিন আরও দেখা যায়, বিশ্বরোড গোলচত্বর থেকে আশুগঞ্জ গোলচত্বর পর্যন্ত সাড়ে ১০ কিলোমিটার সড়ক যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ দূরপাল্লার অনেক যানবাহন আটকা পড়েছে। এ যানজট কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ও সরাইল-নাসিরনগর-লাকাই আঞ্চলিক মহাসড়কেও প্রভাব ফেলেছে। মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কমে গেছে। নারী-পুরুষসহ যাত্রীরা বৃষ্টিতে ভিজে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন।
সিলেট থেকে ঢাকাগামী পণ্যবাহী ট্রাকচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। মনে হচ্ছে এখান থেকে নড়তে সারা দিন চলে যাবে। বৃষ্টি হলেই এই জায়গায় ভোগান্তি বাড়ে।’
যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সরাইল থানা, সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে বিশ্বরোড মোড় থেকে আশুগঞ্জ গোলচত্বর পর্যন্ত সাড়ে ১০ কিলোমিটার সড়ক যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। লোকাল বাসগুলো কোনো নিয়ম মানছে না। এ ছাড়া যানজটের কারণে আমরা কোথাও মুভও করতে পারছি না। চার লেন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ না হলে এ অবস্থার উন্নতি কঠিন।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘আবারো ইরানে হামলা চালাবে ইসরায়েল’
তেহরানের হুমকি পেলে ইসরায়েল আবারো ইরানে হামলা চালাবে। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এ কথা বলেছেন।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা দপ্তরের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তেহরান, তাবরিজ, ইসফাহান কিংবা যেখান থেকেই ইসরায়েলকে হুমকি বা ক্ষতি করার চেষ্টা করা হলে, সেখানেই ইসরায়েলের লম্বা হাত আপনার কাছে পৌঁছাবে। লুকানোর কোনো জায়গা নেই।”
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “যদি আমাদের ফিরে আসতে হয়, তাহলে আমরা আরো শক্তির সাথে ফিরে আসব।”
তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ধ্বংস করতে ইসরায়েল জুন মাসে ইরানের ওপর হামলা চালায়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানও পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েলে। ১২ দিনের যুদ্ধ আরো বিস্তৃত আঞ্চলিক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করে। শত্রুতা বন্ধ করার জন্য ২৩ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও ইরান যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে।
ঢাকা/শাহেদ