Samakal:
2025-08-01@21:59:32 GMT

নমনীয় হচ্ছেন সাবিনারা

Published: 12th, February 2025 GMT

নমনীয় হচ্ছেন সাবিনারা

মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন যান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের রুমে। ১৫ মিনিট পর বের হওয়া সাবিনার কাছে আলোচনার বিষয়বস্তু জানতে চাইলে তাঁর উত্তর, ‘অন্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয়েছে।’ 

প্রসঙ্গ যে এখন ১৮ নারী ফুটবলারের কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, তা অনুমেয়। যদিও সাবিনার সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি ব্যক্তিগত পর্যায় বলে এড়িয়ে গেছেন সভাপতি তাবিথ। তবে বাফুফের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, নারী ফুটবলারদের চলমান আন্দোলনের সময় মিডিয়ার সঙ্গে তাদের কথাগুলো ভালোভাবে দেখছে না ফেডারেশন। সেই বিষয়ে সতর্ক করতেই সাবিনাকে তলব। এর বাইরে অনুশীলনে ফেরার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে ক্যাম্পে থাকা ৩৬ ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর বিদ্রোহীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

কঠোর মনোভাব থেকে আগের চেয়ে মেয়েরা নমনীয় হয়েছেন বলে গতকাল সমকালকে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারী ফুটবল দলের এক কোচিং স্টাফ, ‘ওদের আমরা বুঝিয়েছি। দিন শেষে তারা নিজেরাই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। যতটুকু বুঝতে পারলাম, তারা আগের চেয়ে নমনীয়।’

দুই সপ্তাহ গড়িয়েছে কোচ পিটার বাটলারের ডাকে অনুশীলনে ফেরেননি বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলার। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের অনুরোধেও সায় মেলেনি সাবিনা খাতুনদের কাছ থেকে। দেশের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানও এর পর চলে যান হার্ডলাইনে। সবার ধারণা ছিল, দেশের বাইরে যাওয়ার আগে নারী ফুটবলে চলমান সংকট দূর করবেন তাবিথ। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত সেই সম্ভাবনা দেখা যায়নি। 

বিষয়টি জানতে চাইলে বাফুফে সভাপতি তাবিথ গতকাল সমকালের কাছে এভাবে ব্যাখ্যা দেন, ‘আমি মনে করি, প্রশ্নটি কিছুটা প্রভাবিত করার মতো। আমি যেখানেই থাকি বা যে সময়ই হোক না কেন, সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি এবং সমাধান খুঁজে বের করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’

অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তাঁর উত্তর, ‘আমাদের আলোচনা সব সময় ব্যক্তিগত থাকে। তাই আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’ 

৩৬ ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করা বাফুফে সভাপতি আশাবাদী, আন্দোলনরত খেলোয়াড়রাও অনুশীলনে যোগ দেবেন, ‘গত বছর যেখানে ৩০ জনের চুক্তি হয়েছিল, সেখানে এবার আমাদের ৫৫ জনের চুক্তি প্রক্রিয়াধীন আছে। ব্যক্তিগতভাবে ফুটবলাররা তাদের পেশাদারিত্বের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং ফেডারেশনের আশ্বাসে অনুশীলনে যোগ দেবে। তারা পেশাদার খেলোয়াড় এবং ফেডারেশনও তাদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ফ টবল ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’

সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

অনাহারে মৃত্যু ১৫৪

গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।

গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।

ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।

বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।

গাজায় স্টিভ উইটকফ

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ