বেইজিং ঘোষণা ও কর্মপরিকল্পনায় নারীর অগ্রযাত্রায় ১২টি ইস্যুকে চিহ্নিত করা হয়। এই ইস্যুগুলোর মধ্যে নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলায় বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়। এ বছর বেইজিং ঘোষণার ৩০ বছর পূর্তি হচ্ছে, তবে নারীর অগ্রযাত্রায় এখনো কিছু বাধা পরিলক্ষিত হচ্ছে, যার মধ্যে নারীর প্রতি সহিংসতা অন্যতম।

গতকাল বুধবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে বেইজিং+৩০: নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তরুণ সমাজের ভাবনা বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন।

কর্মশালায় বেইজিং ঘোষণার প্রেক্ষাপট উপস্থাপনা করেন আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম। তিনি বলেন, নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশীয় এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে নারী আন্দোলনের অব্যাহত কর্মসূচি গ্রহণের মধ্য দিয়ে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয় এবং নারীবান্ধব নীতিমালা গ্রহণে বেশকিছু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যার মধ্যে ১৯৯৫ সনের বেইজিং ঘোষণা ও কর্মপরিকল্পনা অন্যতম।  

সংগঠনের লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা বলেন, বেইজিং কর্মপরিকল্পনা ঘোষণার  প্রতি ৫ বছর পরপর নারীর অগ্রগতির দিকগুলো পুনরায় পর্যালোচনা করতে হয়, যেখানে নারীর প্রতি সহিংসতার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়। সকল প্রকার সহিংসতা রোধ করতে কোন কোন বিষয়গুলো প্ররোচিত করে এবং করণীয় কী- এই দিকগুলোর প্রতি আমাদের জোর দিতে হবে।

কর্মশালায় গত বছর নভেম্বর মাসে বেইজিং+৩০ নিয়ে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে যোগদানের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অনারারি প্রফেসর ড.

নাজমুন্নেসা মাহতাব। তিনি বলেন, এবারে চাটি বিষয় ইকোনমিক অ্যান্ড সোশাল জাস্টিস, নেতৃত্ব দানে নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং সহিংসতা প্রতিরোধে সুপারিশসমূহ উপস্থাপনের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয় ঠিকই তবে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের দিকটি উহ্যই থেকে যায়।

আলোচনা শেষে কর্মশালায় পাঁচটি দলে বিভক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা নারীর প্রতি সহিংসতা (সাইবার সহিংসতা) গৎবাঁধা রীতিনীতি, যৌন নিপীড়ন ও উত্ত্যক্তকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন: অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক এবং বাল্যবিয়ে ও কন্যা শিশু অনুষ্ঠিত দলীয় কাজে অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মতামতও সুপারিশসমূহ উপস্থাপন করেন। দলীয় কাজ পরিচালনায় সহযোগিতা করেন ঢাবির উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ফারিয়া জাহান, মহিলা পরিষদের লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি ও লবি পরিচালক দীপ্তি শিকদার এবং সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আফরুজা আরমান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটি অফিসার পদে নিয়োগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (আইবিএ) আইটি অফিসার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেলের (QAC) অধীনে এই নিয়োগ দেওয়া হবে।

পদের নাম: আইটি অফিসার

পদসংখ্যা: ০১

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম সিজিপিএ–৩.০০ (৪.০০ স্কেলে)–সহ চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। একাডেমিক জীবনের কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ থাকা যাবে না।

প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে (যেমন কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স, একাডেমিক প্রশাসন, মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন বা ডেটা অ্যানালাইসিস) স্বনামধন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পূর্ণকালীন তিন বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ৪১ মিনিট আগেবয়সসীমা

সর্বোচ্চ ৪০ বছর।

বেতন–ভাতা

আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীদের স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রের সঙ্গে বিস্তারিত সিভি, সব শিক্ষাগত ও অভিজ্ঞতার সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি এবং দুই কপি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুনইউরোপে পাইলটদের বেতন কোন দেশে কত ৮ ঘণ্টা আগে

আবেদনের ঠিকানা

পরিচালক,

ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ),

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-১০০০।

আবেদনের শেষ তারিখ

১৩ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ