শ্রীলঙ্কায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি সারছে অস্ট্রেলিয়া। শ্রীলঙ্কা সফরে থাকা দলটাকেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের মিশনে নামাবে অজিরা। স্টিভ স্মিথের ওই দল দুই ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার কাছে ৪৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে। 

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৪৬ ওভারে ২১৪ রান তুলে অলআউট হয়। জবাবে ৩৩.

৫ ওভারে ১৬৫ রানে আটকে গেছে অস্ট্রেলিয়া। 

শ্রীলঙ্কাকে এক হাতে জিতিয়েছেন দলটির অধিনায়ক আশালঙ্কা। ১৩৫ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর টেলেন্ডার ইশান মালিঙ্কাকে নিয়ে ৭৯ রানের জুটি গড়েন লঙ্কান অধিনায়ক। নিজে খেলেন ১২৬ বলে ১২৭ রানের অসাধারণ ইনিংস। ১৪টি চার ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকান তিনি। 

শ্রীলঙ্কা শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে। ৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ৩১ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। পঞ্চমে উইকেট জুটিতে আশালঙ্কা ও দুনিথ ওয়েল্লালাগের ৭৭ রানের জুটি হয়। ওয়েল্লালাগে ৩৪ বলে ৩০ রান করেন। বাকি গল্পটা আশালঙ্কার। 

জবাব দিতে নেমে অস্ট্রেলিয়া শূন্য রাতে প্রথম ও ৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায়। ঠিক ৩১ রানে শ্রীলঙ্কার মতো চতুর্থ উইকেট হারায় তারা। মাঝখানে অ্যালেক্স কেরি ও অ্যারন হার্ডি ৫২ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু তাদের কেউ আশালঙ্কা হতে পারেননি। কেরি ৩৮ বলে ৪১ রান করে ফিরে যান। হার্ডি ৩২ রানের ইনিংস খেলেন। শেন অ্যাবট ও অ্যাডাম জাম্পা ২০ রান করে যোগ করে হারের ব্যবধান ছোট করেন। 

শ্রীলঙ্কার হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মহেশ থিকসানা। তিনি ৪০ রানে ৪ উইকেট নেন। তবে প্রথম দুই উইকেট নিয়ে ধাক্কাটা দেন আসিথা ফার্নান্দো। দুই উইকেট নেন ওয়েল্লালগে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অ্যাবট ৩টি এবং স্পেন্সার জনসন, অ্যারন হার্ডি ও নাথান এলিস দুটি করে উইকেট নেন।    

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট হ র উইক ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

র‍্যাংকিংয়ে মিরাজ-জাকেরদের অগ্রগতি

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে দারুণ পারফর্ম করলেও এখনও টেস্ট র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষ ২০-এ জায়গা হয়নি কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের। তবে দলগতভাবে বেশ কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেছে। ব্যাটিংয়ে উন্নতি করেছেন জাকের আলী, শান্ত ও মুমিনুল, বোলিংয়ে বড় ধাপ এগিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

বাংলাদেশের হয়ে সিরিজ সেরা মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ব্যাটে সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুই ম্যাচে ১৫ উইকেট তুলে নিয়ে ৪ ধাপ এগিয়ে এখন তিনি বোলিং র‍্যাংকিংয়ে ২৬তম স্থানে। অলরাউন্ডার র‍্যাংকিংয়ে তিনি এখন আছেন তিন নম্বরে।

ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত উন্নতি হয়েছে জাকের আলী, শান্ত ও মুমিনুল হকের। দুটি ইনিংসে ৫৬ ও ৪৭ রান করে মুমিনুল এগিয়েছেন ৫ ধাপ, এখন অবস্থান ৪৮তম। জাকের আলী এগিয়েছেন ১০ ধাপ, অবস্থান ৫০তম। শান্ত ৪ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৫৩তম স্থানে।

অন্যদিকে সিরিজে অসাধারণ পারফর্ম করে জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি উঠে এসেছেন র‍্যাংকিংয়ের সেরা ১৫ বোলারের তালিকায়। প্রয়াত হিথ স্ট্রিকের পর তিনিই প্রথম জিম্বাবুইয়ান বোলার হিসেবে টেস্ট রেটিংয়ে ছুঁয়েছেন ৭০০ পয়েন্টের মাইলফলক। বাংলাদেশ সফরেই তার এই অর্জন। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান বেনেট দুই ইনিংসে ৫৭ ও ৫৪ রান করে প্রথমবারের মতো ব্যাটিং র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষ ১০০-র মধ্যে ঢুকেছেন।

বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এখনও তালিকায় আছেন লিটন দাস, যদিও সিরিজে না থাকায় তিনি এক ধাপ পিছিয়ে যৌথভাবে এখন ৩৭তম। ফর্মহীনতায় ভোগা মুশফিকুর রহিম নেমে গেছেন ৪০তম স্থানে। বোলিং র‍্যাংকিংয়ে মিরাজের আগেই আছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম, যার অবস্থান ২৩তম। এছাড়া সাকিব আল হাসান এখনো শীর্ষ ৫০-এ আছেন, তাসকিন আহমেদ রয়েছেন ৫১ নম্বরে।

অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে জায়গা ধরে রেখেছেন সাকিব আল হাসান, যিনি দীর্ঘদিন ধরেই এই তালিকার নিয়মিত মুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ