Samakal:
2025-08-01@21:57:20 GMT

লেনদেন ফের ৪০০ কোটি টাকার নিচে

Published: 12th, February 2025 GMT

লেনদেন ফের ৪০০ কোটি টাকার নিচে

ঢাকার শেয়ারবাজারের লেনদেন ৫০০ কোটি টাকা ছাড়ানোর পরদিনই ফের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমেছে। গত মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫১৯ কোটি টাকার বেশি মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়, যা ছিল আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৯৯ কোটি টাকা বেশি। এর পরদিই গতকাল বুধবার ১২৮ কোটি টাকা কমে ৩৯১ কোটি টাকায় নেমেছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, টাকার অঙ্কে লেনদেন সবচেয়ে বেশি কমেছে ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল, তথ্যপ্রযুক্তি এবং কাগজ ও ছাপাখানা খাতের। সম্মিলিতভাবে মঙ্গলবার এসব খাতের মোট ২৬৮ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়, যা গতকাল ১৪৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় নেমেছে।

এর মধ্যে একক খাত হিসেবে সর্বাধিক পৌনে ৪৯ কোটি টাকা কমে ব্যাংক খাতের লেনদেন ৩৪ কোটি টাকায় নেমেছে। এ ছাড়া ওষুধ ও রসায়ন খাতের লেনদেন ৮৭ কোটি টাকা থেকে কমে নেমেছে ৪৯ কোটি ৬৩ লাখে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের লেনদেন সাড়ে ১১ কোটি টাকায় এবং কাগজ ও ছাপাখানা খাতের সাড়ে ১৮ কোটি টাকার নিচে নেমেছে।

সার্বিক হিসাবে কমার বিপরীতে টেলিযোগাযোগ, বস্ত্র, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং মিউচুয়াল ফান্ড খাতে লেনদেন বেড়েছে। এর মধ্যে টেলিযোগাযোগ খাতে লেনদেন ৯ কোটি টাকা বেড়ে সাড়ে ১৭ কোটি টাকা, মিউচুয়াল ফান্ড খাতের লেনদেন সোয়া ৫ কোটি টাকা বেড়ে প্রায় ১১ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইতে কমবেশি সব খাতে দর বৃদ্ধি পাওয়া শেয়ারের তুলনায় দর হারানো শেয়ার সংখ্যা বেশি ছিল। ব্যতিক্রম অবস্থা দেখা গেছে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে। তালিকাভুক্ত ৩৭ মেয়াদি ফান্ডের মধ্যে ২৫টির দর বেড়েছে, কমেছে দুটির। বাকি ১০টির দর ছিল অপরিবর্তিত। গড়ে ফান্ডগুলোর বাজারদর মঙ্গলবারের তুলনায় ২ শতাংশ হারে বেড়েছে। তুলনামূলক বেশি শেয়ারদর হারিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা, প্রকৌশল, তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কাগজ এবং ছাপাখানা খাতে।

সার্বিক হিসাবে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির মধ্যে ১১৭টির শেয়ারদর বেড়েছে। কমেছে ২০৪টির। অপরিবর্তিত ৩৬টির দর। এ এবং বি ক্যাটেগরির বেশির ভাগ শেয়ার দর হারালেও তুলনামূলক জেড ক্যাটেগরিভুক্ত বেশি শেয়ারের দর বেড়েছে।

ক্লোজিং প্রাইসের হিসাবে গতকাল ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাজারদর বেড়েছে ১৬ কোম্পানি ও ৪ মিউচুয়াল ফান্ডের। এর মধ্যে এ ক্যাটেগরির শেয়ার শুধু আরএকে সিরামিক, যার বাজারদর সাড়ে ৯ শতাংশ হারে বেড়েছে। জেড ক্যাটেগরির ১২ শেয়ারের দর বেড়েছে। এর মধ্যে নূরানী ডাইং, এমারেল্ড অয়েল ও অ্যাপোল ইস্পাত ছিল শীর্ষে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দর ব ড় ছ গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

সূচকের বড় উত্থান, হাজার কোটি ছাড়াল লেনদেন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সূচকের বড় উতত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।

এ দিনে ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন বেড়ে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে। তবে তবে সিএসইতে লেনদেন কমেছে। 

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৯১.২১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৪৩ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৬.২০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৭০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪৮.৯৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আরো পড়ুন:

৮ ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ

নেগেটিভ ইক্যুইটি বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা জমা দেওয়ার সময় বাড়াল বিএসইসি

ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১৫০টি কোম্পানির, কমেছে ১৬৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭টির।

এ দিন ডিএসইতে মোট ১ হাজার ৬৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭৪৩ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮৩.১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৩২৫ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৮১.৭১ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ২০২ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১১.৭৮ পয়েন্ট বেড়ে ৯৪৮ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৩৭৩.৬৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৪৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ২২৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১০৮টি কোম্পানির, কমেছে ৮৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭টির।

সিএসইতে ১১ কোটি ৭৮লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সূচকের বড় উত্থান, হাজার কোটি ছাড়াল লেনদেন