গাজা নিয়ে ট্রাম্পের ‘ধোঁকা’, প্রত্যাখ্যান আরব নেতাদের
Published: 13th, February 2025 GMT
হোয়াইট হাউসে পাশাপাশি চেয়ারে বসে গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। বেশির ভাগ কথা ট্রাম্পই বলছিলেন, পাশে বিরস বদনে বসে বাদশাহ।
ট্রাম্পের ভাষ্য ছিল এমন, ‘গাজা আমাদের হবে। এলাকাটা তো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেব, তা ধরে রাখব, খুব যত্ন নেব।’
ঠিক কোন অধিকারে ট্রাম্প গাজার দখল নেবেন, এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি তোলা হলে তিনি জানান, ‘আমেরিকার নিজস্ব অধিকারে’। গাজায় কীভাবে আমেরিকার ‘নিজস্ব অধিকার’ বা ‘অথরিটি’ থাকে, তা বোঝা দুষ্কর। গাজার প্রায় ২৫ লাখ ফিলিস্তিনি কোথায় যাবে, তার উত্তর ট্রাম্প আগেই দিয়েছেন। তারা জর্ডান ও মিসরে যাবে, দরকার হলে অন্যান্য আরব দেশে চলে যাবে। যেখানেই যাক, তারা স্থায়ীভাবে চলে যাবে। তাদের জন্য চমৎকার আবাসনের ব্যবস্থা হবে। এত চমৎকার ব্যবস্থা হবে যে তাদের ফিরে আসার কোনো প্রয়োজনই হবে না।
ট্রাম্প কি কথাটা ভেবেচিন্তে বলছেন, না সবাইকে ‘ধোঁকা’ দিচ্ছেন?
মার্কিন থিঙ্কট্যাংক কার্নেগি এন্ডাউমেন্টের অন্যতম ভাষ্যকার এন্ড্রু লবের সৌদি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, এটি আসলে ধোঁকা, যার উদ্দেশ্য ইসরায়েলের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা আদায় করে নেওয়া। যুক্তরাজ্যের থিঙ্কট্যাংক চ্যাথাম হাউসও একই কথা বলেছে। তবে এই সংস্থার ভাষ্যকার আহম্মদ আবুদুহর মন্তব্য, ট্রাম্পের প্রস্তাব আলাপ-আলোচনার একটি কৌশল হোক বা না হোক, তা ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রশ্নে বড় ধরনের ক্ষতি করে ফেলেছে।
ট্রাম্পের মুখের ওপর বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ অবশ্য কোনো কঠিন কথা বলেননি। পরে সাংবাদিকদের নিজের অবস্থা খোলাসা করে জানান, জর্ডানের পক্ষে নতুন করে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু গ্রহণ সম্ভব নয়। গাজাবাসীকে নিজ বাসভূমে রেখেই তা পুনর্নির্মাণের একটি পরিকল্পনা তাঁদের রয়েছে।
ইসরায়েল অনেক আগে থেকেই ফিলিস্তিনিদের জর্ডানে ঠেলে দেওয়ার পক্ষে। ১৯৪৮ ও ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের একটা বড় অংশ সে দেশে এসে আশ্রয় নেয়। তারা এখন জর্ডানের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিকভাবে তারা এতটাই শক্তিশালী যে চাইলে শুধু ফিলিস্তিনি সমর্থন নিয়েই তারা সরকার গঠনে সক্ষম। বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ নিজ অস্তিত্বের স্বার্থেই তাঁর দেশে আর নতুন কোনো ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু চান না। ২০২৩ সালে তিনি বলেছিলেন, গাজার ফিলিস্তিনিদের জর্ডানে ঠেলে পাঠানো কোনোভাবেই মানা হবে না। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য প্রকৃত “রেড লাইন’’।’ প্রভাবশালী পত্রিকা মিডল ইস্ট আই বলেছে, এই প্রশ্নে প্রয়োজনে যুদ্ধে যেতেও প্রস্তুত জর্ডান।
দীর্ঘদিন থেকেই জর্ডান মার্কিন অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে আমেরিকার কাছ থেকে দেশটি বার্ষিক দেড় বিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্য পেয়ে থাকে। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশটির পক্ষে এই মার্কিন সাহায্য ছাড়া টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব। মিসরকেও যুক্তরাষ্ট্র প্রায় সমপরিমাণ সাহায্য দিয়ে থাকে। সে কথা মাথায় রেখে ট্রাম্প দুদিন আগে ধমক দিয়ে বলেছিলেন, গাজার ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ না করলে সে সাহায্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার অবশ্য মাথা নেড়ে বললেন, না তেমন কিছু হবে না। তিনি বলেন, ‘এমন করা আমাদের স্বভাবে নেই।’
অধিকাংশ দায়িত্বশীল মহলের মতে, গাজার ২৫ লাখ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা অসম্ভব। জোরপূর্বক সে চেষ্টা হবে ‘এথনিক ক্লিনজিং’ বা জাতিগত বিনাশ। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, এটি হবে সব আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
যতই হাস্যকর হোক, কথাটা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তাঁকে উপেক্ষা করা সহজ নয়। সবাই এখন তাকিয়ে আছে সৌদি যুবরাজ সালমান বিন মোহাম্মদ ট্রাম্পের প্রস্তাবে কী বলেন তা শোনার জন্য। সালমান নিজে মুখে তেমন কিছু না বললেও সে দেশের সরকার এককথায় ট্রাম্পের প্রস্তাব নাকচ করেছে। সৌদি শুরার অন্যতম সদস্য ইউসেফ বিন আল-সাআদুন ঠাট্টা করে বলেছেন, ট্রাম্প যদি চান তো সব ইসরায়েলিকে আলাস্কা বা চাইকি গ্রিনল্যান্ডেও পাঠাতে পারেন। সেটি হবে সবচেয়ে উত্তম সমাধান।
ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরে ও অনুগত দু-চারজন রিপাবলিকান নেতা ছাড়া ট্রাম্পের গাজা দখল নেওয়ার প্রস্তাব কেউ সমর্থন করেননি। গাজায় মার্কিন সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব তো কিছুতেই নয়। লন্ডনের টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, একজন ইসরায়েলি শিক্ষাবিদের প্রস্তাবের কথা জানার পর ট্রাম্প গাজা দখলের আজগুবি প্রস্তাব করেছেন। তবে ট্রাম্পের ভেতর মহলের কেউ কেউ বলছেন, ট্রাম্প আসলে পুরোনো ধ্যানধারণার বদলে নতুন কিছু করতে চান। ৭০ বছর ধরে অনেক আলাপ-আলোচনা হয়েছে, কাজ হয়নি। তিনি এখন সবাইকে একটু ঝাঁকি দেওয়ার জন্য এমন একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
গাজা পুনর্গঠনে কি হবে
এই তথাকথিত ‘ঝাঁকি’ দিতে গিয়ে ট্রাম্প একটি সম্পূর্ণ বিপরীত ফল পেতে পারেন। কোনো কোনো পর্যবেক্ষক বলছেন, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা আরব বিশ্বে প্রবল বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। এখন কোনো আরব সরকারই এমন কিছু করবে না, যা ফিলিস্তিনি স্বার্থের বিপক্ষে যায়। আম্মানভিত্তিক সাংবাদিক মোহাম্মদ বিন আল-আরাবিয়াত নিউ লাইনস ম্যাগাজিনে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে আরব দেশগুলো নতুন মূল্যায়ন শুরু করেছে। এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। ট্রাম্পের গাজা প্রস্তাবের পর তিনি যুবরাজ সালমানসহ অন্য আরব নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রকে এড়িয়ে এক অভিন্ন আরব পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা এই মতবিনিময়ের উদ্দেশ্য।
ওয়াশিংটনে বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে গাজা পুনর্গঠনের একটি রূপরেখা তাঁরা তৈরি করেছেন। গাজাবাসীকে না সরিয়েই দু-তিন বছরের মধ্যে সেখানকার ধ্বংসস্তূপের ওপর নতুন নির্মাণ সম্পন্ন করা সম্ভব। গাজার উত্তরে এখন কার্যত কোনো ফিলিস্তিনি নেই, ফলে সেখান থেকে পুনর্গঠন শুরু হবে।
ভাষ্যকার আল-আরাবিয়াত বলেছেন, বছর দশেক আগে ‘আরব বসন্তের’ সংকটকালে এই অঞ্চলের আরব নেতারা একে অপরের ওপর সহযোগিতার মাধ্যমে সে সংকট থেকে উদ্ধার পান। এখন ইসরায়েলি হামলার মুখে ও বিরূপ মার্কিন নেতৃত্বের কারণে তাঁদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব নতুন করে গড়ে উঠেছে। এই সহযোগিতার একটি প্রকাশ দেখা যাচ্ছে আসাদ-উত্তর সিরিয়ায়। মিসরের আমন্ত্রণে ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ আরব দেশগুলোর একটি শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন চলছে, যেখানে সিরিয়ার নতুন নেতা আহমদ আল-শারার যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৈঠকের একটা লক্ষ্য হবে ফিলিস্তিন প্রশ্নে মার্কিন ও ইসরায়েলি অবস্থানের মুখে একটি পাল্টা কিন্তু অভিন্ন আরব অবস্থান প্রশ্নে মতৈক্য প্রতিষ্ঠা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র জন য কর ছ ন বল ছ ন র ওপর র একট র গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস
স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’
সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
অনাহারে মৃত্যু ১৫৪গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।
গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।
ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।
বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।
গাজায় স্টিভ উইটকফশুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।