প্রাদেশিক ব্যবস্থা চালু হলে সিলেটকে পৃথক প্রদেশ রাখার দাবি
Published: 13th, February 2025 GMT
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সিলেট বিভাগকে প্রদেশ হিসেবে না রাখার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বৃহত্তর সিলেট গণদাবি পরিষদ নামের একটি সংগঠন। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, বৃহত্তর সিলেটের চার জেলা নিয়ে পৃথক প্রদেশ ঘোষণার দাবি সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের। অথচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সিলেটের নাম নেই। প্রাদেশিক ব্যবস্থা চালু হলে সেখানে সিলেটকে পৃথক প্রদেশ রাখতেই হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট নগরের সুরমা মার্কেট এলাকায় সংগঠনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় বক্তারা এ দাবি জানিয়েছেন। সভায় বক্তারা সিলেট বিভাগে হাইকোর্টের বেঞ্চ জরুরি ভিত্তিতে স্থাপনের দাবি জানান। এ ছাড়া সিলেটের মানুষের চাহিদা পূরণ করে এখানে উৎপাদিত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের দাবিও তাঁরা করেছেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো.
বক্তারা বলেন, সিলেট-আখাউড়া ডাবল রেললাইন এবং সিলেট-ছাতক রেললাইন জরুরি ভিত্তিতে চালু করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন কেন তা বন্ধ রাখা হলো, তা তদন্ত করে বের করা উচিত। একই সঙ্গে রেলওয়ে লাইনের উভয় পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বাসাবাড়ি, দোকান, বিপণিবিতান উচ্ছেদ করাও প্রয়োজন। পাশাপাশি সিলেট নগরের বিভিন্ন রাস্তা জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার ও মেরামত করা দরকার।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল