ওয়াশিংটনে পৌঁছেই তুলসী গ্যাবার্ডের সঙ্গে বৈঠক করলেন নরেন্দ্র মোদি
Published: 13th, February 2025 GMT
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেই আজ বৃহস্পতিবার সকালে দেশটির নতুন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করায় তুলসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি।
যুক্তরাষ্ট্রে নরেন্দ্র মোদির দুই দিনের সফরে অনেক কর্মসূচি রয়েছে। আজ সকালে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে তুলসীর সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে তাঁর কর্মব্যস্ত সফর শুরু হলো। পরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
তুলসী গ্যাবার্ডের সঙ্গে বৈঠক সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে মোদি লিখেছেন, ‘ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডের সঙ্গে বৈঠক করলাম। মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছি। তিনি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের দৃঢ় সমর্থক।’
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে তুলসী গ্যাবার্ডের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে মার্কিন সিনেট। তুলসী গ্যাবার্ডের মনোনয়নকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সবচেয়ে বিতর্কিত মনোনয়ন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুনতুলসী গ্যাবার্ড হলেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান, ট্রাম্পের আরেক বিজয়১০ ঘণ্টা আগেমোদি আজ সকালে ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছালে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী ভারতীয় তাঁকে স্বাগত জানান। তিনি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে এক্সে এক পোস্টে মোদি লেখেন, ‘শীতের ঠান্ডায় এ এক উষ্ণ অভিনন্দন। ঠান্ডা আবহাওয়া উপেক্ষা করে ওয়াশিংটন ডিসির প্রবাসী ভারতীয়রা আমাকে বিশেষভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুনট্রাম্পের সঙ্গে ‘ব্রোমান্স’ ফেরানোর চেষ্টায় মোদি৩ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: টন ড স
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসা পেয়ে বনে ফিরল বন্য হাতি
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাটাবাড়ি সীমান্তের পাহাড়ি জঙ্গলে তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিল একটি দলছুট ও অসুস্থ বন্য হাতি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে হাতিটির সন্ধান মেলে। চিকিৎসা দেওয়ার পর দুপুরে হাতিটি বনে ফিরে যায়।
গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বন্য প্রাণী বিভাগের একটি বিশেষজ্ঞ দল প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে অসুস্থ হাতিটিকে চিকিৎসা দেয়। হাতিটির সামনের ডান পায়ে ধারালো অস্ত্রের পুরোনো ক্ষত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ১০-১২ দিন আগে কেউ সেটিকে বল্লমজাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করে থাকতে পারেন। ক্ষতটি পরিষ্কার করে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয় এবং ব্যান্ডেজ করা হয়। পরে বিশেষ ইনজেকশন দিয়ে হাতিটিকে জাগিয়ে তোলা হয়। ২০-২৫ মিনিট পর হাতিটি ধীরে ধীরে জঙ্গলের ভেতরে হেঁটে চলে যায়।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, হাতিটির বয়স আনুমানিক ১০ থেকে ১২ বছর। এক সপ্তাহ ধরে দলছুট হয়ে জঙ্গলে একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছিল। গত মঙ্গলবার থেকে শেরপুর বন বিভাগ, মধুটিলা ইকোপার্ক রেঞ্জ ও স্থানীয় লোকজন হাতিটির খোঁজে জঙ্গলে অভিযান চালান। বুধবার বিকেলে সীমান্তবর্তী দাওধারা-কাটাবাড়ি এলাকার জঙ্গলে হাতিটির অবস্থান শনাক্ত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে হাতিটিকে জঙ্গলের পাশে একটি জলাশয়ের ধারে ঝিমোতে দেখা যায়। তখনই শুরু হয় তার চিকিৎসা।
বন্য হাতির চিকিৎসা অভিযানে আরও অংশ নেন গাজীপুর সাফারি পার্কের ল্যাব টেকনিশিয়ান আতিকুর রহমান ভূঁইয়া, ভেটেরিনারি সার্জন সাকিব হোসেন, সহকারী মোস্তফা কামাল, শেরপুর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. শাহিন কবির, বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. আবদুল্লাহ আল আমিন, মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. দেওয়ান আলী ও সমশ্চড়া বিট কর্মকর্তা মো. কাউসার হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাটাবাড়ি, বুরুঙ্গা ও কালাপানি এলাকায় এক সপ্তাহ ধরে ৩০-৩৫টি বন্য হাতির একটি দল পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। আহত হাতিটি দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ছিল।
প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শেরপুর কার্যালয় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. শাহিন কবির প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন আগে অসুস্থ হাতিটির খবর পান। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। গত মঙ্গলবার থেকে হাতিটির খোঁজ নিতে শুরু করেন। বুধবার বিকেলে সীমান্তবর্তী ধাওদারা-কাটাবাড়ি এলাকায় হাতিটির সন্ধান মেলে। বৃহস্পতিবার সকালে একটি জলাশয়ের কাছে হাতিটি দাঁড়িয়ে ঝিমাচ্ছিল। এ সময় চেতানাশক দিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে হাতিটি জঙ্গলে হেঁটে চলে গেছে। হাতিটি পর্যবেক্ষণ করতে বন বিভাগকে বলা হয়েছে।
মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. দেওয়ান আলী প্রথম আলোকে বলেন, হাতিটির সামনের ডান পায়ে বল্লম দিয়ে হয়তো ১০-১২ দিন আগে কেউ আঘাত করেছেন। হাতিটি অসুস্থ থাকায় দলছুট ছিল। খুঁডিয়ে খুঁডিয়ে জঙ্গলে একাই চলাফেরা করত। এখন থেকে হাতিটির ওপর নজরদারি থাকবে এবং প্রয়োজনে আবারও চিকিৎসা দেওয়া হবে।