চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৬ গোল খেয়ে দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে যাত্রা শুরু করেছিল ব্রাজিল। এমন করুণ দশার পর অনেকে প্রতিযোগিতায় ব্রাজিলের শেষও দেখে ফেলেছিল। কিন্তু সেই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ব্রাজিল। বিশেষ করে চূড়ান্ত পর্বে এসে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছে দেশটি। টানা তিন ম্যাচ জিতে এখন শিরোপার স্বপ্নও দেখছে তারা।

অন্যদিকে ব্রাজিলকে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা পাওয়া আর্জেন্টিনাও আছে দারুণ ছন্দে। চূড়ান্ত পর্বে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে তালিকার দুইয়ে থাকলেও পয়েন্ট কিন্তু ব্রাজিলের সমান ৩ ম্যাচে ৯। ফলে শিরোপা জয়ের দারুণ সম্ভাবনা আছে তাদেরও। আর শিরোপা নিয়ে এই দোলাচলের মীমাংসা হয়ে যেতে পারে কাল সকালেই।

চূড়ান্ত পর্বের ম্যাচে শুক্রবার সকালে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। অর্থাৎ ব্রাজিলের জন্য ম্যাচটি আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার পাশাপাশি শিরোপা নিশ্চিত করারও। সেটি করতে পাররে এক ঢিলে দুই পাখিও মারা হবে ‘সেলেসাও’দের।

আরও পড়ুনইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে ব্রাজিলকে হারাল আর্জেন্টিনা২৫ জানুয়ারি ২০২৫

কালকের ম্যাচটি অবশ্য ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার শেষ ম্যাচ নয়। চূড়ান্ত পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রাজিল খেলবে চিলির বিপক্ষে আর আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে। বর্তমানে ৩ ম্যাচে দুই দলেরই পয়েন্ট ৯।

আগের ম্যাচে ব্রাজিলের কাছে ৬–০ গোলে হেরেছিল ব্রাজিল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন র চ ড় ন ত পর ব

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ