জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার, আসনপ্রতি লড়বেন ৪২ জন
Published: 13th, February 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ডি ইউনিটের (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের) ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবার ডি ইউনিটের ৫৯০ আসনের বিপরীতে মোট ২৪ হাজার ৯৫৬ জন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। ফলে একটি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৪২ জন।
দুটি আলাদা পালায় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পালায় পরীক্ষা হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টায়। দ্বিতীয় পালায় পরীক্ষা হবে বেলা সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে চারটায়।
ভর্তি পরীক্ষা হবে মোট ১০০ নম্বরের। এর মধ্যে বহুনির্বাচনী অংশ থাকবে ২৪ নম্বর, লিখিত পরীক্ষা হবে ৪৮ নম্বরের। আর এসএসসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ ১২ নম্বর এবং এইচএসসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ ১৬ নম্বর রাখা হয়েছে।
ডি ইউনিটের (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের) অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, নৃবিজ্ঞান, লোকপ্রশাসন ও ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ।
ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো.
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সানজিদা ফারহানা বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে দুই শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে শেষ হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া অভিভাবকদের বসার জন্য বাহাদুর শাহ পার্কে ৫০০ আসনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং ওয়াসার ৪টি সুপেয় পানির ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে।’
১৫ ফেব্রুয়ারি (কলা অনুষদ) বি ইউনিটের, ২২ ফেব্রুয়ারি (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের) এ ইউনিট এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) সি ইউনিটের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
গত ৩১ জানুয়ারি ই ইউনিট (চারুকলা অনুষদ) দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। চার বছর পর এবার নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন ট র বর ষ র পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
রাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থীর সনদ-ছাত্রত্ব বাতিল
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে কোটাবিরোধী আন্দোলনকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, র্যাগিংসহ নানা অভিযোগ এনে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল এমন ১০ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, ছাত্রত্ব ও সনদপত্র বাতিল করেছে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বহিষ্কৃতরা হলেন, বিশ্বজিৎ শীল, সাইদুজ্জামান পাপ্পু, জাহাঙ্গীর আলম অপু, মহিউদ্দিন মুন্না, হাসু দেওয়ান, আকিব মাহমুদ, আবির, অন্তু কান্তি দে, জাকির হোসেন ও রিয়াদ।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি ড. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ১০ শিক্ষার্থীর মধ্যে যাদের শিক্ষাজীবন শেষ হয়েছে, তাদের সনদপত্র বাতিল করা হয়েছে। যারা এখনো অধ্যয়নরত তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ছাত্রলীগের বিচারসহ ৯ দাবি জবি ছাত্রদলের
রাবিতে প্রভাষক হলেন জাসদ ছাত্রলীগ নেতা, ক্ষোভ
ভিসি আরো জানান, ২০২৪ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানান অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়, যা সর্বশেষ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় অনুমোদিত হয়েছে। গত পরশু তাদের ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃত ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আকিব মাহমুদ বলেন, ‘‘জুলাই-আগস্ট মাসে এমন কোনো ঘটনা ক্যাম্পাসে ঘটেনি, যে কারণে আমাদের বহিষ্কার করা হতে পারে। ক্যাম্পাসে কোটা প্রত্যাহার দাবিতে একদিন বৈষম্যবিরোধী ব্যানারে প্রোগ্রাম হয়েছে, সেদিনও কিছু হয়নি। আমরা সম্পূর্ণভাবে ভিসি ও ছাত্রদল-শিবিরের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। একদিন নিশ্চয়ই এই অবিচারের বিচারও হবে।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘‘কিছু শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমাদের কিছু বলার নেই। শুধু জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ঘটনাই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক ঘটনাও আছে অভিযোগে। তারই প্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’’
২০১৫ সালে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন পর্যন্ত কমিটি দেয়নি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তবে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের ব্যানারে নানান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যেত। বহিষ্কৃত ও সনদ বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকজন ৫ আগস্টের আগে শিক্ষাজীবন শেষ করেন। গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কিছু দিন কারাবরণ শেষে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে দেশ ছেড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করা বহিষ্কৃত ১০ জনের একজন বিশ্বজিৎ শীল।
ঢাকা/শংকর/বকুল