এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়েছে। খুচরা পর্যায়ে আলুর দামও কিছুটা বাড়তি। অন্যদিকে বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি।

বিক্রেতারা জানান, শবে বরাত ঘিরে মুরগির চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দামে। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি বাজারে গরুর মাংসের চাহিদাও কিছুটা বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও হাতিরপুল বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে জানা যায়, গতকাল এক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২০০–২১০ টাকায়। গত সপ্তাহে ব্রয়লার বিক্রি হয়েছিল ১৯০–২০০ টাকায়। অর্থাৎ কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়েছে। তবে সোনালি মুরগির দামে পরিবর্তন দেখা যায়নি। গতকাল এক কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৮০–৩১০ টাকায়। ফার্মের মুরগির ডিমের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল এক ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১২৫–১৩৫ টাকায়। এদিকে শবে বরাত কেন্দ্র করে গরুর মাংসের চাহিদাও বেড়েছে। বাজারভেদে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০–৮০০ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, শবে বরাত ঘিরে মুরগির চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দামে। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি বাজারে গরুর মাংসের চাহিদাও কিছুটা বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে আলুর দাম কেজিতে পাঁচ টাকার মতো বেড়েছে। গতকাল ঢাকার তিনটি খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকায়। গত সপ্তাহে আলু বিক্রি হয়েছিল ১৮ থেকে ২০ টাকায়। অবশ্য কারওয়ান বাজারে গতকালও ২০ টাকায় আলু বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতারা জানান, পাইকারিতে আলুর দাম দুই টাকার মতো বেড়েছে।

অন্যদিকে মসলাপণ্যের মধ্যে আদার দাম কিছুটা বেড়েছে। এখন প্রতি কেজি দেশি আদা ১৪০–১৫০ টাকা ও আমদানি করা আদা ২৪০–২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দাম গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি ২০ টাকার মতো কম ছিল। অবশ্য দেশি নতুন পেঁয়াজের দামে কোনো পরিবর্তন নেই। বাজারে এখন পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি। এ কারণে দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গতকাল খুচরা পর্যায়ে এক কেজি পেঁয়াজ ৪৫–৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সয়াবিন তেল কেনার জন্য বাধ্য হয়ে এসব শর্ত মেনে নিয়েছিমুদিদোকানি সাইফুল ইসলাম

শীতের মৌসুমের শেষ দিকে এসে বাজারে দু–একটি সবজির দামে বাড়তি প্রবণতা দেখা গেছে। যেমন গতকাল প্রতিটি ফুলকপি ৩০ টাকা ও ব্রকলি ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে এ দাম ৫–১০ টাকা কম ছিল। বেগুনের দামও কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। মানভেদে এক কেজি বেগুন এখন ৪০–৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে আলুর দাম কেজিতে পাঁচ টাকার মতো বেড়েছে। গতকাল ঢাকার তিনটি খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকায়। গত সপ্তাহে আলু বিক্রি হয়েছিল ১৮ থেকে ২০ টাকায়।সয়াবিনের সংকট কাটেনি

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট বেড়ে যায়। এরপর মাসের প্রায় অর্ধেক সময় চলে গেলেও এই সংকট কাটেনি। খুচরা বিক্রেতারা জানান, বিভিন্ন ভোজ্যতেল কোম্পানির ডিলার বা সরবরাহকারীরা তাদের নিয়মিত তেল সরবরাহ করছে না। গত নভেম্বর মাসেও বোতলজাত সয়াবিনের তীব্র সংকট হয়েছিল। পরে দাম লিটারে আট টাকা বাড়ানোর পর তেলের সংকট কিছুটা কেটেছিল, যা ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে আবার বেড়েছে।

রাজধানীর হাতিরপুল বাজারের মুদিদোকানি সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, টানা তিন দিন চাওয়ার পর গতকাল দুপুরে তাঁর দোকানে পাঁচ লিটারের দুই কার্টন সয়াবিন তেল দিতে রাজি হয় একটি কোম্পানির ডিলার। তবে প্রতিটি বোতলে তারা পাঁচ টাকা কমিশন কমিয়েছে। পাশাপাশি ওই ব্র্যান্ডেরই ছয় বোতল শর্ষের তেল কেনার শর্ত দিয়েছে। সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সয়াবিন তেল কেনার জন্য বাধ্য হয়ে এসব শর্ত মেনে নিয়েছি।’

সয়াবিনের সংকট নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রেতারাও। রাজধানীর ধানমন্ডির বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন গতকাল দুই লিটার সয়াবিন তেল কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে অন্তত পাঁচটি দোকানে ঘুরেছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘টিভিতে দেখলাম উপদেষ্টা বলছেন, বাজারে সয়াবিনের সাপ্লাই (সরবরাহ) ঠিক আছে; কিন্তু বাজারে এসে দেখি, সয়াবিন নেই।’

গতকাল প্রতিটি ফুলকপি ৩০ টাকা ও ব্রকলি ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে এ দাম ৫–১০ টাকা কম ছিল। বেগুনের দামও কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। মানভেদে এক কেজি বেগুন এখন ৪০–৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট ক র মত আল র দ ম সরবর হ হয় ছ ল ২০ ট ক এক ক জ ১০ ট ক গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

২০২৬ সালে বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম আরও ৭% কমতে পারে, বাংলাদেশে কেন কমছে না

চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে দাম কমার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুসারে, চলতি বছরে সামগ্রিকভাবে পণ্যমূল্য ৭ শতাংশ কমবে। আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালে পণ্যমূল্য আরও ৭ শতাংশ কমবে। এ দাম হবে ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

কিন্তু বাংলাদেশের বাজারে তার প্রভাব নেই। দেশে মূল্যস্ফীতির হার এখনো ৮ শতাংশের ঘরে। যদিও একসময় তা দুই অঙ্ক ছাড়িয়ে গিয়েছিল। গত সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ হয়েছে। দেশের মানুষকে এখনো বাড়তি দামেই পণ্য ও সেবা কিনতে হচ্ছে। আগামী বছর নিত্যপণ্যের দাম কমবে কি না, সেই নিশ্চয়তাও নেই। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমলেও দেশে এর প্রভাব কম।

বিশ্বব্যাংকের ‘কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক অক্টোবর ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২০২৫ সালের শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। যার মূল কারণ হিসেবে তারা চিহ্নিত করেছে জ্বালানির দাম কমে যাওয়া। সেই সঙ্গে আরও কিছু কারণ চিহ্নিত করেছে তারা। সেগুলো হলো চীনে তেলের চাহিদা বৃদ্ধির গতি কমে যাওয়া এবং বিশ্ববাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় তেলের দামে বড় ধরনের পতন ঘটা। খাদ্যপণ্যের দাম বছরের শুরু থেকে ধীরে ধীরে কমতে থাকে, কিন্তু বছরের প্রথমার্ধে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে পানীয় পণ্যের দাম হঠাৎ অনেকটা বেড়ে যায়। এ ছাড়া বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে। মূলত রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে নিরাপদ বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে মানুষ সোনার দিকে ছুটেছেন।

বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্য নির্ধারণে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে জ্বালানি তেলের দাম। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে জ্বালানির দাম আগের বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে আরও ১০ শতাংশ কমবে। ২০২৭ সালে তা আবার প্রায় ৬ শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস ২০২৬ সালে কৃষিপণ্য, খাদ্য ও কাঁচামালের দাম কমবে। চলতি বছরেও এসব পণ্যের দাম কমেছে।

জ্বালানি তেল

বিশ্বব্যাংকের ২০২৬ সালের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা বাড়ায় গ্যাসের দাম কিছুটা বাড়লেও তেলের দাম কমে যাবে এবং সেই প্রভাবকে ছাপিয়ে যাবে। ২০২৫ সালে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম হতে পারে ব্যারেলপ্রতি গড়ে ৬৮ ডলার; ২০২৪ সালের ৮১ ডলারের তুলনায় যা বেশ কম। ২০২৬ সালে এই দাম আরও কমে ব্যারেলপ্রতি গড়ে ৬০ ডলারে নামতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।

এই পূর্বাভাস অনুযায়ী, তেলের ব্যবহার বৃদ্ধির হার আরও কমবে—মূলত চীনের চাহিদা কমে যাওয়া, বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড গাড়ির দ্রুত প্রসার ও বৈশ্বিক তেল সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।

২০২৫ সালে বৈশ্বিক তেলের বাজারে সরবরাহ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০২৬ সালে তা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২০ সালের সর্বোচ্চ মাত্রার তুলনায় প্রায় ৬৫ শতাংশ বেশি হবে এ সরবরাহ।

কৃষিপণ্য

বিশ্বব্যাংক গ্রুপের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কৃষিপণ্যের মূল্যসূচক ২০২৫ সালে স্থিতিশীল আছে। ২০২৬ সালে তা সামান্য ২ শতাংশ ও ২০২৭ সালে আরও ১ শতাংশ কমবে।

খাদ্যপণ্যের দাম, যেমন শস্য, তেল, প্রোটিনজাত খাবারসহ অন্যান্য খাদ্যের দাম সাম্প্রতিক সীমার কাছাকাছি থাকবে। তবে মাঝেমধ্যে সামান্য কিছুটা ওঠানামা থাকবে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রধান ফসলগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধির হার আবার দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতায় ফিরে আসছে।

২০২৫ সালের বাকি সময়ে সয়াবিনের দাম কমবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের যে সয়াবিন সাধারণত চীনে রপ্তানি হয়, তা এবার কম দামে অন্য ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে হতে পারে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্রে হচ্ছে এই সয়াবিন। চীন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সয়াবিন কিনছে না। ফলে ২০২৬ ও ২০২৭ সালে এই পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্ববাজারে দাম কমে গেলে যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিন চাষের পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে, তবে ব্রাজিল তার সয়াবিন আবাদ আরও বাড়ানোর পথে রয়েছে। পানীয় পণ্যের দাম ২০২৬ সালে ৭ শতাংশ ও ২০২৭ সালে প্রায় ৫ শতাংশ কমবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এদিকে চলতি বছর সারের দাম সামগ্রিকভাবে ২১ শতাংশ বাড়তি। চাহিদা বৃদ্ধি, বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা ও কিছু অঞ্চলে সরবরাহ–ঘাটতির কারণে এ দাম বেড়ে যাওয়া। ২০২৬ ও ২০২৭ সালে দাম প্রায় ৫ শতাংশ কমতে পারে। তবু ২০১৫-১৯ সালের গড় দামের তুলনায় তা অনেক বেশি থাকবে। এর কারণ হলো উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া, রপ্তানি সীমাবদ্ধতা ও চলমান আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা।

চীন ইতিমধ্যে নাইট্রোজেন ও ফসফেট সার রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। অন্যদিকে পটাশ সরবরাহকারী বড় দেশ বেলারুশ এখনো ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে। রাশিয়া ও বেলারুশ—উভয় দেশই সারের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোপিত নতুন শুল্কের সম্মুখীন।

দেশে কেন দাম বেশি

বিশ্ববাজারে দাম কমলেও দেশের বাজার দাম না কমার অন্যতম প্রধান কারণ ডলারের দামের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন। গত তিন বছরে ডলার দাম অনেকটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে দেশের অনেক আমদানি পণ্যে শুল্ক বেশি বলে মনে করেন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনার কারণে দাম কমছে না। বাজারে চাহিদা কত বা কখন কোন পণ্য আমদানি করতে হবে, সে বিষয়ে যথাযথ তথ্যের ঘাটতি আছে। ফলে সময়মতো পণ্য আমদানি হয় না।

আরেকটি বিষয় হলো দেশে যেসব পণ্য আমদানি করা হয়, তার অনেক কিছু উৎপাদিতও হয়। কিন্তু বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় এসব পণ্যের সরবরাহে টান পড়েছে। বাজারের পণ্যমূল্যে তার প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন মোস্তাফিজুর রহমান।

তিন বছর আগে দেশে ডলারের দাম ছিল ৮৬ টাকা। এখন তা বেড়ে ১২২ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েক মাস ধরে আমদানির ঋণপত্র খোলাও কমেছে। এতে আমসদানিতে চাপ পড়ছে।

দেশের বাজার উচ্চ মূল্যের কারণ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক সেলিম রায়হান বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশের বাজারে তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। জ্বালানি ও পরিবহন ব্যয়, শুল্ক ও করের চাপ ও বাজার ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতার কারণে দাম কমছে না। পাইকারি থেকে খুচরা পর্যন্ত অতি মুনাফা ও অস্বচ্ছ বাণিজ্যিক শৃঙ্খলের কারণেও বাজারে কৃত্রিমভাবে উচ্চমূল্য বিরাজ করছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে টাকার অবমূল্যায়ন। ফলে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে এবং আন্তর্জাতিক মূল্যহ্রাসের সুফল ভোক্তাপর্যায়ে পড়ছে না।

সেলিম রায়হান আরও বলেন, এ ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার কারণ ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বিনিয়োগকারীরা নতুন ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। পণ্য পরিবহন ও আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সরবরাহ শৃঙ্খল দুর্বল হয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বাজারে পণ্যের ঘাটতি ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

দেশে তিন বছর ধরেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। সম্প্রতি তা কিছুটা কমলেও সেপ্টেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গত আগস্ট মাসে এই হার ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে
  • জ্বালানি খাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন
  • বাজারে আগাম সবজি আসতে দেরি, দাম চড়া
  • নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • টমাহক কত দূরে আঘাত হানতে পারে, রাডারে কেন ধরা পড়ে না
  • সামুদ্রিক মাছে ভরপুর আড়ত, দাম কেমন
  • ২০২৬ সালে বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম আরও ৭% কমতে পারে, বাংলাদেশে কেন কমছে না
  • যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশে আতঙ্ক-উত্তেজনা, ট্রাম্প আসলে কী চান
  • ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিতে পেন্টাগনের সায়, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প