স্ত্রী-সন্তানদের দেশে রেখেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যাচ্ছেন কোহলিরা
Published: 14th, February 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ হারার পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) দলের ওপর বেশ কিছু কঠোর নিয়ম আরোপ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় ক্রিকেটাররা স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে রাখার সুযোগ পাবেন না।
বিসিসিআইয়ের নতুন ভ্রমণনীতিতে বলা হয়েছে, ন্যূনতম ৪৫ দিনের সফরে ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্যরা সর্বোচ্চ ১৪ দিন সঙ্গে থাকতে পারবেন। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারতের সফর তিন সপ্তাহের হওয়ায় ক্রিকেটারদের পরিবারকে সঙ্গে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সিনিয়র-জুনিয়র সবার জন্যই এই নিয়ম কার্যকর হবে। বিসিসিআইয়ের এক সূত্র বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, 'নিয়মে পরিবর্তন হলে সেটা ভিন্ন বিষয়। তবে এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ক্রিকেটারদের স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে থাকার অনুমতি নেই। যেহেতু সফরের মেয়াদ এক মাসের কম, তাই বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি কোনো ক্রিকেটার পরিবারকে সঙ্গে রাখতে চান, তাহলে তার খরচ নিজেকেই বহন করতে হবে।'
বোর্ডের এমন সিদ্ধান্ত ক্রিকেটারদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। কেননা, এর আগে বড় টুর্নামেন্ট বা দীর্ঘ সিরিজে পরিবারকে সঙ্গে রাখার সুযোগ পেয়েছেন তারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
‘সময় পাল্টে গেছে, একটা ভিডিও ক্লিপ দিয়েও এখন জাতীয় দলে ডাক পাওয়া যায়’
সব খেলোয়াড়েরই ইচ্ছা থাকে দেশের হয়ে খেলার। বেশি খেলার সুযোগ, বেশি আয়ের সুযোগ কিংবা ব্যাপক পরিচিতি যতই ক্লাব বা লিগের খেলার মধ্য দিয়ে আসুক না কেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার গৌরব সব ক্রীড়াবিদের কাছে বিশেষ কিছু।
আর সেই গৌরবের অংশীদার হতে একজন খেলোয়াড়কে ধারাবাহিক সাফল্য, পরিশ্রম, নিবেদন ও অপেক্ষার বড় পরীক্ষায় পাস করতে হয়। তবে যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা এই ধারা এখন বদলে গেছে মনে করেন স্টিভেন ফিন। ইংল্যান্ডের এই সাবেক ক্রিকেটারের মতে, এখন একজন খেলোয়াড়ের একটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স বা একটি বিশেষ মুহূর্তই তাঁকে দলে ঢোকার সুযোগ এনে দিতে পারে। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে জাতীয় দলে ঢোকার ক্ষেত্রে একটা ভিডিও ক্লিপই যথেষ্ট হয়ে ওঠে।
ইংল্যান্ডের হয়ে ২০১০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ৩৬টি টেস্টসহ ১২৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ফিন। ৩৬ বছর বয়সী এই সাবেক পেসার বিবিসিতে লেখা কলামে বলেছেন ইংল্যান্ড দলে জায়গা পেতে তখন কী পরিমাণ দৃঢ় সংকল্প থাকতে হতো, ‘জেমস অ্যান্ডারসন আর স্টুয়ার্ট ব্রডের জায়গা পাকা ছিল। ফলে টিম ব্রেসনান, গ্রাহাম অনিয়নস, ক্রিস ট্রেমলেট, ক্রিস ওকস, আমি এবং আরও কয়েকজন বাকি একটি জায়গার জন্য লড়ছিলাম। এই প্রতিযোগিতা তৈরি করেছিল ক্ষুধা আর সংকল্প।
কারণ, আমি জানতাম বাকি সবাইও ঠিক একই চেষ্টা করছে। একের পর এক ভালো পারফরম্যান্স করা এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে সপ্তাহের পর সপ্তাহ নিজের সামর্থ্য দেখিয়ে প্রমাণ করতে হতো যে আপনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ সামলাতে প্রস্তুত।’
স্টিভেন ফিন