বিশ্বব্যাপী মার্কিন দূতাবাসে কর্মী কমাবে ট্রাম্প প্রশাসন
Published: 14th, February 2025 GMT
বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দূতাবাস থেকে কর্মী কমানো হবে বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এ বিষয়ে জানাশোনা আছে- এমন তিনটি সূত্র বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, কিছু দূতাবাসে মার্কিন কর্মী এবং স্থানীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের ১০ শতাংশ হারে কমানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার নাগাদ দূতাবাসের কর্মীদের একটি তালিকা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে পাঠানোর কথা রয়েছে। এরপর পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব আমেরিকান ডিপ্লোমেসির তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোয় মার্কিন কূটনীতিক ও স্থানীয় কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হয়। দূতাবাসগুলো যে দেশে অবস্থিত, সেই দেশ থেকেই বেশির ভাগ কর্মী নেওয়া হয়।
কর্মী কমানোর বিষয়ে পরিকল্পনা শুরু করতে দূতাবাসগুলোকে নির্দেশ দেওয়ার খবর প্রথম প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ। এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ে মন্তব্য করে না তারা।
এমন সময় দূতাবাসের কর্মী কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের বহর ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫